আর্কাইভ থেকে ফুটবল

অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টারে ইতালি

বিশ্ব ফুটবলেরই সবচেয়ে সফলতম দলগুলোর একটি ইতালি। দলের অবস্থা যেমনই হোক বা যেকোনো একটা মাঝারিমানের দল নিয়েও প্রায় প্রতিটা টুর্নামেন্টেই ফেভারিটের ছোট তালিকায় রাখতে হয়। এবারও ব্যাতিক্রম নয় দলটি। উদীয়মানদের নিয়ে গড়া এই দলটাই আছে দারুণ ছন্দে। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো ইউরোর নকআউট পর্বে খেলতে নামা অস্ট্রিয়াকে অতিরিক্ত সময়ের দুই বদলির গোলে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ডেনমার্কের পর দ্বিতীয় দলে হিসেবে কোয়ার্টারে চলে গেল রবার্তো মানচিনির ইতালি।

দ্বিতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ফেভারিটের তকমা নিয়ে খেলতে আসা ইতালি কিংবা প্রথমবার নক আউটে আসা অস্ট্রিয়া কোনো দলই জালের ঠিকানা খুজে পায়নি। এরপর বর্ধিত ৩০ মিনিটের মধ্যেই দুই দল মিলিয়ে গোল করেছেন তিনটি। তিনটি গোলই আবার করেছেন দুই দলের তিন বদলি খেলোয়াড়।

প্রথমবার নকআউটে নাম লেখানো অস্ট্রিয়া প্রেসিং ফুটবল দিয়ে ইতালিকে অনেকটাই চেপে ধরে। প্রেসিংয়ের পাশাপাশি যেনো গতির মিশেলে দর্শকদের দারুণ খেলা উপহার দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার খেলোয়াড়েরা। খানিক পর ইতালিও তাতে যোগ দিল। আক্রমণ আর পালটা আক্রমণে দারুণ উপভোগ্য হয়ে ম্যাচ। এরপর ইতালি কিছুটা সুবিধা নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালায়। লরেনৎসো ইনসিনিয়ে, দমেনিকো বেরার্দি ও চিরো ইম্মোবিলে মাঝে মাঝেই সুযোগ সৃষ্টি করছিলেন। কিন্তু সফল হতে পারছিলেন না। প্রথমার্ধের বাকিটা সময়ও খেলা একই ছন্দে এগিয়েছে। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও অনেকটা প্রথমার্ধের মতো করেই শুরু করে অস্ট্রিয়া। আক্রমণ করতে থাকা অস্ট্রিয়া ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ফল পেলেও অফসাইডে থাকায় বাতিল হলো সে গোল।

একের পর এক আক্রমণ করেছে অস্ট্রিয়া। ইতালিও অনেক চেষ্টা করেও কোনোভাবেই সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলো না। এভাবেই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা। 

অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হতেই যেনো সব পালটে গেলো। বদলি নামা ফেদেরিকো কিয়েসা অস্ট্রিয়া রক্ষণের ভুলের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করলেন। ৯৫ মিনিটে আলাবা পরাস্ত করে এগিয়ে নিলেন ইতালিকে।
আরেক বদলি খেলোয়াড় মাত্তেও পেসিনার গোলে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই ব্যবধান ২-০ হলো। ইউরোতে এর আগে অতিরিক্ত সময়ে কখনো গোল না করা দলটাই ১৫ মিনিটের মধ্যে করে বসল দুই গোল।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের ১১৪ মিনিটে কর্নার থেকে মাথার আলতো স্পর্শে গোল করে বসলেন অস্ট্রিয়ানদের হয়ে বদলি নামা কালাইজিচ। এরপর ১১৬৮ মিনিট পর কোনো গোল হজম করা ইতালি রক্ষণে আর কোনো চিড় ধরাতে পারেনি অস্ট্রিয়া।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন