দেশে মজুত গ্যাস দিয়ে ১১ বছরের চাহিদা মেটানো সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী
বর্তমানে দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯.০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এ পরিমাণ মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। বললেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে (জুন, ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯.০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। সর্বশেষ (০১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত (২পি) ২৮.৫৯ টিসিএফ। শুরু থেকে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯.৫৩ টিসিএফ। সে হিসেবে বর্তমানে (০১ জুলাই, ২০২২) উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের (২পি) পরিমাণ ৯.০৬ টিসিএফ। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রসমূহ হতে দৈনিক গড়ে প্রায় ২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুতকৃত গ্যাস দ্বারা প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে এলপিজি'র চাহিদা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে সরকারি পর্যায়ে উৎপাদন মাত্র ২ শতাংশ। বাকি চাহিদা বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক প্রতি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি'র মূল্য, মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের হ্রাস/বৃদ্ধি এবং মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সমন্বয় করে দেশে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় করা হয়।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক পর্যায়ে ৪০ লাখ ৬২ হাজার প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। বাকি আবাসিকে পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে।