আর্কাইভ থেকে ব্যাংকিং ও বীমা

গেলো বছর ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

গেলো বছরের শুরু থেকেই ডলারের টান পড়ে ব্যাংকগুলোতে। সঙ্কট সামলাতে মজুত থেকে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তাতেও সমাধান না আসায় নিয়ন্ত্রণ করা হয় আমদানি। ফলে জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদে ঋণপত্র খোলা কমে অন্তত ২২ শতাংশ।

কিন্তু কাজে আসেনি কোনো উদ্যোগই। উল্টো বেড়েছে ডলার সংকট। যে কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও সাড়া দিতে পারছে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যেমন রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ব্যাংকে এই মুহূর্তে ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে ডলারের চাহিদা রয়েছে ২৭ কোটি ডলারের। অথচ হাতে আছে মাত্র এক কোটির কিছু বেশি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) প্রেসিডেন্ট সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, কিছু কিছু ব্যাংক তাদের সামর্থের বাইরে ঋণপত্র খুলেছে। যেজন্য তৈরি হয়েছে এমন অবস্থা। সবাইকে তো সব রকমের ব্যবসা করার তো প্রয়োজন নেই। ৬৫ ব্যাংক যদি ফরেন ট্রেড ব্যবসা করতে যায়, বিশেষ করে এই কঠিন সময়ে সম্ভপর না।

অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংস্থাটির মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, এরই মধ্যে ৬টি ব্যাংককে মঞ্জুর করা হয়েছে ১০ কোটি ডলার। যা দিয়ে দায় মেটানো হবে রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা, জ্বালানি তেলসহ কিছু নিত্যপণ্যের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পণ্য আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন হাজার কোটি ডলারের ওপরে।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন