আর্কাইভ থেকে তথ্য-প্রযুক্তি

যত টাকায় বিক্রি হলো টুইটারের পাখি!

জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে আলোচনায়। গতবছর ধনকুবের ইলন মাস্ক চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার অধিগ্রহণের পর কোম্পানিকে নিজের মত করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকো শহরে অবস্থিত কোম্পানির সদর দপ্তরের বেশকিছু আসবাবপত্র নিলামে তুলেছে টুইটার। এর মধ্যে ১০ ফুট উঁচু নিয়ন আলো সমৃদ্ধ পাখির লোগোর জনপ্রিয় একটি ভাস্কর্য প্রায় এক লাখ ডলারের চড়া মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে।

নিলামটি দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টা ধরে অনলাইনে আয়োজিত হয়েছে। নিলামের দায়িত্বে ছিলেন হেরিটেজ গ্লোবাল পার্টনারস ইনক নামের একটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, নিলামটি তাদের সংস্থার পক্ষ থেকে গত ৯০ বছরে আয়োজিত সবচেয়ে বড় নিলাম।

নিলামের তালিকায় টুইটার অফিসের সোফা, চেয়ার, সাজসজ্জার সামগ্রী এবং রান্নাঘরের সরঞ্জামসহ প্রায় ৬৩১ টি পণ্য রাখা হয়েছিল। যদিও নিলামের দায়িত্বে থাকা কোম্পানিটি সর্বশেষ বিক্রিত মূল্য প্রকাশ করেনি। তবে নিলাম শেষ হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, অফিসটির কাঠের তৈরি একটি কনফারেন্স টেবিল বিক্রি হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ডলারে। অন্যদিকে ইতালীয় কোম্পানি লা মারজোক্কোর তৈরি একটি এসপ্রেসো মেশিন প্রায় ১৩ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও '@' চিহ্নের আকারে তৈরিকৃত একটি আলংকারিক প্ল্যান্টার ১৫ হাজার ডলারে বিক্রি করা হয়েছে।

টুইটার অধিগ্রহণের পর থেকে কোম্পানির প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করেছেন মাস্ক। পাশাপাশি, বিনামূল্যে খাবারের মতো কর্মীদের বেশ কিছু সংখ্যক সুবিধাও বন্ধ করেছেন তিনি। নভেম্বরে মাস্ক টুইটে জানিয়েছিলেন যে, প্ল্যাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপনদাতারা চলে যাওয়ায় কোম্পানির আয় অনেক কমে গিয়েছে। এমনকি কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে!

গুঞ্জন রয়েছে যে, স্যান ফ্রান্সিস্কোর সদর দপ্তরসহ কোম্পানির বিভিন্ন বৈশ্বিক দপ্তরের ভাড়া দিতে পারেনি টুইটার। অনেকেই ভাবছেন টুইটারের দেনা পরিশোধ করতেই হয়তো পণ্যসামগ্রী নিলামে তুলেছেন মাস্ক। তবে নিলাম কার্যক্রমের তত্ত্বাবধায়ক কোম্পানি হেরিটেজ গ্লোবাল পার্টনার্স অবশ্য এমন গুঞ্জনকে অস্বীকার করেছে।

কোম্পানিটির মুখপাত্র নিক ডোভ ফরচুন ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘মাস্কের চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কেনার খরচ ওঠানোর সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কেউ যদি আসলেই ভেবে থাকেন এই একজোড়া কম্পিউটার ও চেয়ার বিক্রি করে এই পাহাড়সম অর্থ তোলা যাবে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন