আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

লকডাউন সফলে মাঠে থাকবে ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, বিধিনিষেধের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমাদের করণীয় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

বুধবার (৩০ জুন) টিকাটুলি এলাকায় খেলার মাঠ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, বিধিনিষেধে আগের মতোই মাঠপর্যায়ে আমরা থাকব। সেই সঙ্গে ডিএসসিসির অত্যাবশ্যকীয় কার্যক্রম আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন কার্যক্রম, জলাবদ্ধতা নিরসনের কার্যক্রম আমাদের চালিয়ে যেতে হবে এর মধ্যেই। এছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য সরকার থেকে আমরা ইতোমধ্যে যেসব বরাদ্দ পেয়েছি সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতেও যেসব বরাদ্দ আসবে সেগুলোও আমার আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করব।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) প্ররোচনা দেওয়া ও দায়িত্বে ব্যর্থতার অভিযোগ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

মেয়র তাপস বলেন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কোনো খেলার পরিবেশ ছিল না। আমরা এখানে একটি খেলার মাঠ উন্মুক্ত করেছি। ছেলেমেয়েরা এখন থেকে খেলাধুলা করতে পারবে। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গিকার অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। এছাড়া আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫টি ওয়ার্ডেই বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্পন্ন হবে। ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আমরা ঢেলে সাজিয়েছি, আধুনিকায়নের কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এবারই এর দায়িত্ব পেয়েছি। এরপর থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ঢাকাবাসীকে এবার সেভাবে দিতে না পারলেও, আগামী বছরগুলোতে ঢাকাবাসী এর সুফল পাবে। কাঠামোগত যেসব কাজ আমরা হাতে নিয়েছি এগুলো শেষ হলে ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে পারব।

তিনি আরো বলেন, আমরা একটি অপরিকল্পিত শহর পেয়েছি। সেখানে কাজ করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার। এর আগে মতিঝিলে পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে যে প্রকল্প ছিল সেটা কাজ সময়মত করতে পারেনি ঠিকাদার। কাজে গাফিলতির কারণে আমরা সেটা বাতিল করে দিয়েছি। পরে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে অন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজটি করেছি। এখন নিজ অর্থায়নে আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করছি।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা ঘুরে দেখলাম অনেক জায়গায় ছোট ছোট নালা বদ্ধ অবস্থায় আছে। পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। আমরা এগুলো পরিষ্কারের কাজ হাতে নিয়েছি। অনেকেই যত্রতত্র আবর্জনা ফেলি, বোতলসহ নানা কিছু ফেলছি, নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখছি- এগুলোর বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এসবের কারণে নর্দমাগুলো বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ৯৫ ভাগই বদ্ধ অবস্থায় আছে, এসবে আমরা হাত দিয়েছি, এটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। বৃষ্টি শুরু হলেই ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা কাজে নেমে যাচ্ছেন পানি নিষ্কাশনের কাজ করতে। যেখানে বেশি জলাবদ্ধতা হচ্ছে সেই স্থানগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করে পরিকল্পনা করছি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের।

মুক্তা মাহমুদ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন