আর্কাইভ থেকে ফুটবল

পিছিয়ে থেকেও জয় পেলো আর্সেনাল

পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে নিলো আর্সেনাল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিল তারা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ইউনাইটেডকে হারিয়ে শীর্ষ স্থান ধরে রাখল আর্সেনাল। একটি ম্যাচ কম খেলেই দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির থেকে ৫ পয়েন্ট এগিয়ে তারা। এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের শুরুটা ভালো হয়। থমাস পার্টের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কিন্তু ১৭ মিনিটে দুর্দান্তভাবে প্রথম ধাক্কাটা দেয় ইউনাইটেড। নিখুঁত পাসে মার্কাস রাশফোর্ডকে খুঁজে নেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। ইংল্যান্ডের তারকা একেবারে হাসতে-হাসতে পার্টেকে টপকে গিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে শট মারেন। নীচু শট আর্সেনালের জালে জড়িয়ে যায়। বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ম্যান ইউ। সাত মিনিট পরেই জাকার ক্রস থেকে সমতা ফেরান ছন্দে থাকা এডি এনকেতিয়া। সেই গোলের পর গানার্সদের দিকে হাওয়া বইতে থাকে। তবে ম্যান ইউও দমে যায়নি। বরং ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড। তবে ম্যাকটমিনের চেষ্টা তা রুখে দেন আর্সেনালের গোলকিপার অ্যারন রামসডালে। বিরতিতে খেলার ফল ১-১ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইউনাইটেডকে চাপে ফেলে দেয় আর্সেনাল। লিড নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে আক্রমণে শানাতে থাকে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৩ মিনিটের মাথায় বুকায়ো সাকা গোল করে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন। কিন্তু সেই ব্যবধান বেশি ক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আর্সেনাল। সদ্য বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য লিয়ান্দ্রো মার্তিনেস ৫৯ মিনিটে গোল করেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম গোল করলেন তিনি। সেই গোলের পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বোধ হয় ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ ড্র হচ্ছে। আর্সেনালের চাপে সেইসময় বেশিক্ষণ নিজেদের কাছে বলই রাখতে পারছিলেন না ম্যান ইউয়ের খেলোয়াড়রা। শেষপর্যন্ত ৯০ মিনিটে গোল করে ৩-২ ব্যবধানে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন। যে জয়ের ২০০৪ সালের পর ফের প্রিমিয়ার লিগ জেতার যে স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছেন আর্সেনালের সমর্থকরা, তা আরও কিছুটা মজবুত হল। প্রিমিয়ার লিগ তালিকা আপাতত প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে আছে আর্সেনাল। ১৯ ম্যাচে পয়েন্ট ৫০। জিতেছে ১৬ টি ম্যাচে। দ্বিতীয় স্থানে সিটির পয়েন্ট ৪৫। তবে সিটির থেকে একটি ম্যাচ কম খেলেছে আর্সেনাল। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে আছে যথাক্রমে নিউক্যাসেল ইউনাইটেড এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দু'দলেরই ২০ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট থাকলেও গোলপার্থক্যে এগিয়ে আছে নিউক্যাসল।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন