শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিক্ষোভ
কানেক্টিং ফ্লাইট না পেয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোরে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রবেশ করে তারা বিক্ষোভ করেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কাতার থেকে ভোর সাড়ে ৬টায় ও সকাল সাড়ে ৯টায় সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বিমান বাংলাদেশের পৃথক দুটি ফ্লাইট ঢাকায় আসে। প্রায় দুইশ থেকে আড়াইশ যাত্রী চট্টগ্রাম ও সিলেটের কানেক্টিং ফ্লাইটের টিকিট নিয়ে আসেন।কিন্তু আজ থেকে সারাদেশে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সারাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে সেসব কানেক্টিং ফ্লাইটের যাত্রীরা আর তাদের গন্তব্যে যেতে পারেননি। ফ্লাইট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করছেন।
বিমানের সৌদি ফ্লাইটের একজন যাত্রী বলেন, আমরা সৌদি থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামের টিকিট কেটে এসেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল লকডাউন হলেও বিশেষ ফ্লাইটে করে আমাদের চট্টগ্রাম পাঠানো হবে। এখানে জানতে পারলাম ফ্লাইট বন্ধ। আমরা কীভাবে এখন বাড়ি যাবো?
বিমান বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বলেন, বিমানের পক্ষ থেকে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ঢাকা কানেক্টিং ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। অনুমতি মেলেনি, তাই আপাতত যাত্রীদের কানেক্টিং ফ্লাইট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ট্রানজিট যাত্রীদের টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু সিভিল এভিয়েশনের বিধিনিষেধের কারণে তারা যেতে পারছে না। এ কারণে যাত্রীদের মধ্যে একটু উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এদিকে গত বুধবার ১ জুলাই থেকে সরকারি বিধিনিষেধের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল ৭ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করে বেবিচক।
মুনিয়া