লক ডাউন বাস্তবায়নে রাজধানীতে ১৯ টি মোবাইল কোর্ট
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১লা জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যারা জরুরি প্রয়োজনের কারণ বলছে, তাদের কাছ থেকে যুক্তি প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৪টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে। এরমধ্যে ডিএমপির ওয়ারী,মিরপুর,মতিঝিল,গুলশান,উত্তরা বিভাগে দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এই অভিযান পরিচালনা করছেন। এছাড়া রমনা, তেজগাঁও, এবং লালবাগ বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন একজন করে ম্যাজিষ্ট্রেট।
তাদের পাশাপাশি পাঁচটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিালিয়ন, র্যাব। র্যাব সদর দফতর জানিয়েছে, প্রতিটি ব্যটালিয়ানে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসব অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকার শাহবাগ ও মিরপুরে ১৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর ফার্মগেইট এলাকায়ও ভ্রাম্যামান আদাল পরিচালিত হচ্ছে।
অহেতুক ঘোরাফেরা এবং মাস্ক ছাড়া চলাফেরার কারনে কয়েকজনকে ২০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। রাজধানী মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় ১৫ জনকে ৩০০ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। কাফরুল থানার পাশের সড়কে সকাল থেকেই চেকপোস্ট স্থাপন করে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে।