আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

আইএমফের ঋণ পেতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা পাকিস্তানের

বর্তমানে পাকিস্তানে চলছে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। আর এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পেতে দৌড়ঝাপ করছে পাকিস্তান। তবে আইএমএফের কঠিন শর্তের কারণে এ ঋণ বিতরণ থমকে আছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানকে যেন আইএমএফ সহজ শর্তে ঋণ দেয় সেটি নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধরনা দিয়েছেন পাক অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের এশিয়া বিষয়ক উপ সহকারী সচিব রবার্ট কাপরোথের কাছে অনুরোধ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র যেন কূটনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে পাকিস্তানকে এ ঋণ পেতে সহায়তা করে।

আইএমএফের ঋণ পেতে হলে পাকিস্তানে বৃদ্ধি করতে হবে জ্বালানির মূল্য। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে কমাতে হবে সরকারি ব্যয়। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবং রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করে এ ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না। এমনিতেই করের ভারে জর্জরিত মানুষের ওপর আরও করের বোঝা চাপাতে চান না তিনি।

জিও নিউজ জানায়, মার্কিন কর্মকর্তা রবার্ট কাপরোথকে অর্থমন্ত্রী ইশহাক দার জানান, তারা ক্ষমতায় আসার আগেই পাকিস্তানের অর্থনীতি দুর্বল ছিল। এখন এটি ঠিক করার চেষ্টা করছেন। এছাড়া গেলো বছর ভয়াবহ বন্যার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

এর জবাবে রবার্ট কাপরোথ জানান, তিনি পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝেন এবং বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রতি বিশ্বাস আছে তাদের।

 

পাকিস্তান-আইএমএফ আলোচনা

একটি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার এবং আইএমএফের মধ্যে আলোচনা চলছে। এ সপ্তাহেও দুই পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হয়েছে। তবে আইএমএফ শর্ত শিথিল করার ক্ষেত্রে কোনো আগ্রহ দেখায়নি।

পাকিস্তান এবং আইএমএফের মধ্যে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি তর্ক চলছে সেটি হলো ‘বিনিময় হার।’ আইএমফ বলছে, বর্তমানে যে বিনিময় হার রয়েছে এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

যদিও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন ঋণ পেতে আইএমএফের সব শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে এটি তার জন্য সম্ভব হচ্ছে না।

তবে জিও নিউজের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আইএমএফের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন