আর্কাইভ থেকে এশিয়া

পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৩২, আহত ১৪৭ জন

পাকিস্তানে পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্স এলাকায় একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত সশস্ত্রগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এই বিস্ফোরণে অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ১৪৭ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, যোহরের নামাজের সময় পুলিশ লাইন্স এলাকার মসজিদের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন আত্মঘাতী হামলাকারী। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

এদিকে আত্মঘাতী এ হামলার দায় স্বীকার করেছে দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণে মসজিদের ইমাম সাহেবজাদা নূর উল আমিনও মারা গেছেন।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।

বিস্ফোরণে মসজিদের একাংশ ধসে যাওয়ায় অনেকে ধ্বংস্তূপের নিচ চাপা পড়েছেন। পেশোয়ার পুলিশের কর্মকর্তা এজাজ খান গণমাধ্যমে আলাপকালে বলেছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক পুলিশ সদস্য আটকে রয়েছেন। যে কারণে এখনই হতাহতের ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে উদ্ধার অভিযানে মনোনিবেশ করেছি। আমরা এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছি না। তবে মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরকের গন্ধ পাওয়া গেছে। যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে পেশোয়ার পুলিশ, সিটিডি, এফআরপি, এলিট ফোর্স এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের সদর দফতর রয়েছে।

বিস্ফোরণে হতাহতের তথ্য নিশ্চিত করে পেশোয়ারের কমিশনার রিয়াজ মেহসুদ গণমাধ্যমে বলেছেন, মসজিদের ভেতরে উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। অনেকেই মসজিদের ধ্বংস্তুপের নিচে আটকে পড়ায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

দেশটির জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেছেন, শহরের সব হাসপাতালে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। মসজিদে বিস্ফোরণে আহতদের উদ্ধার করে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। আহতদের রক্তদানে সহায়তায় এগিয়ে আসতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন