আর্কাইভ থেকে ফুটবল

ম্যাচ হেরেও গর্বিত ডেনমার্ক কোচ

রেফারি বাশি বাজাতেই মাটিতে লুটিয়ে পরে ড্যানিশ ফুটবলাররা, বুনো উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড। খেলোয়াড়দের মতো দুই কোচের মধ্যেও আনন্দ আর হতাশার বৈপরিত্য ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে। ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট যেখানে প্রথম এমন অনুভূতির সাক্ষী হলেন, সেখানে ডেনমার্ক কোচ হেরে যাওয়ার কষ্ট পাচ্ছেন। তবে এক জায়গায় মিল দুজনের। দুজনই তার নিজ দলকে নিয়ে গর্বিত।
 
গ্যারেথ সাউথগেটের হাত ধরে ৫৫ বছরের আক্ষেপের ইতি টেনেছে ইংল্যান্ড। এখনো শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে না পারলেও সেই ১৯৬৬ সালের পর প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা! সাউথগেটের এমন কীর্তিই বা কম কি? ওয়েম্বলির ৬৬ হাজার দর্শকের গগনবিদারী চিৎকারের মাঝেই ইউরো ফাইনালে নিয়ে গেছেন ইংল্যান্ডকে। 

ডেনমার্ককে হারিয়ে জয়টা নিজেদের প্রাপ্য বলেই মত ইংলিশ কোচের। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, 'এই জয় আমাদের প্রাপ্য। আমাদের দেশের জন্য। ওয়েম্বলিতে যে চিৎকার শুনতে পেয়েছি তা আগে কখনোই শুনিনি। এই আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।'  

অন্যদিকে ইংলিশদের এই লম্বা সময়ের আক্ষেপ মোচনের দিনে হৃদয় ভেঙেছে ডেনমার্কের। চলতি ইউরোতে ড্যানিশ রূপকথার সমাপ্তি। এরিকসেনের মাঠেই লুটিয়ে পড়া বা সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ চারে ওঠা- এই দলটা এবারের ইউরোর উত্তেজনা বাড়িয়েছে কয়েক গূণ। তবে সমাপ্তিটা হৃদয় ভেঙেই হলো। অবশ্য ড্যানিশ কোচ ম্যাচ হারলে হতাশ হলেও গর্বিত নিজের দলকে নিয়ে। 

ডেনমার্ক কোচ ক্যাস্পার হালমান্ড বলেন, 'আমরা আমাদের হৃদয় দিয়ে খেলেছি। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিগত ফুটবলার ও দলগত নৈপুন্যে আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি। এই দলটা অসাধারণ। তবে এই মুহূর্তে আমরা হতাশ।'

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন