আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে পারেন বাইডেন

গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানান হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি। তিনি বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করতে চান প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ জানিয়েছে, গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করার কথা বলেছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনও। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয় ওই প্রশাসন।

বাইডেনের আমলে এই কারাগার বন্ধের সম্ভাব্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, নিশ্চিতভাবে এটি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করার বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ লক্ষ্যে কাজ করছে প্রশাসন।

কংগ্রেসের কারণে চেষ্টা করেও গুয়ানতানামো বন্ধ করার কাজে সফল হতে পারেননি বারাক ওবামা। ওই সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন জো বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে জড়িতদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের এই কারাগারে জঙ্গি সন্দেহে মানুষকে বন্দী করা হয়। তাদের ওপর চলে কঠোর নির্যাতন। বন্দী নির্যাতন নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা রয়েছে।

এখন গুয়ানতানামোয় ৪০ জন বন্দি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৬ জনকে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর মধ্যে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী হামলার স্বঘোষিত মূল হোতা খালেদ শেখ মোহাম্মদও রয়েছেন।

৯/১১ হামলার পর জঙ্গিদের আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে এই কারাগার চালু করেন তৎকলীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। তার নির্দেশে দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে কারাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছিল।

খাঁচার ভেতর বেড়ি ও হাতকড়া পরা কয়েদিদের ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর কারাগারটি মানুষের কাছে ঘৃণার প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়। দ্রুত এর কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিশ্বে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন