আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

তাসকিন-মাহমুদউল্লাহর কৃতিত্বে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

হারারের একমাত্র টেস্টে তাসকিন আহমেদ ও মাহমুদউল্লাহর বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ের জন্য দ্বিতীয় দিন শেষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তিন ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রান করতে সক্ষম হয়। জবাবে মিলটন শুম্বার উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে জিম্বাবুয়ে। এতে করে বাংলাদেশ থেকে স্বাগতিকরা এখনও ৩৫৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে।

অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ দ্বিতীয় দিনে তাসকিনকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো দিনটাই নিজেদের করে নেয়ার চেষ্টা চালালেন। এর মধ্যে রেকর্ডের পর রেকর্ড করে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন দারুন অবস্থানে। মাত্র পাঁচ রানের জন্য নবম উইকেট জুটির বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে পারেননি তারা। নবম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও সাইমক্সের দখলে। 

নিজেদের মাঠ জোহানসবার্গে ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই দুইজন ১৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। এর আগে দুইয়ে থাকা পাকিস্তান আসিফ ইকবাল ও ও ইনতিকাব আলমের ১৯৬৭ সালে করা ১৯০ রানের জুটিকে ছাড়িয়ে যান তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনে গড়েন ১৯১ রানের জুটি। 

বিশ্বরেকর্ড গড়া না হলেও বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেট জুটিতে করেছেন বিশ্বরেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেট জুটির রেকর্ডেও জড়িয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১২ সালে আবুল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ১৮৪ রানের জুটিই ছিল এতোদিন বাংলাদেশের হয়ে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।

১৬ মাস পর সাদা পোশাকে ফিরেই ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অপরদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম টেষ্ট অর্ধশতক তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ৭৫ রানে মিলটন শুম্বার বলে তাসকিন বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙ্গে রিয়াদ-তাসকিনের ১৯১ রানের জুটি। এরপর এবাদত বেশিক্ষন টিকতে পারেননি, অন্যপ্রান্তে তখন নটআউট রিয়াদ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৪৬৮ রানে। যা হারারেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় রানের ইনিংস।

জবাবে জিম্বাবুয়ের শুরুটাও খারাপ হয়নি। উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে ৬১ রানে। ওপেনার মিল্টন শুম্বাকে ফিরিয়ে শেষ বিকেলের একমাত্র সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। দিনশেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১৪ রান। ৩৩ রান করে অপরাজিত আছেন কাইতানো, ৩৭ রান করে অপরাজিত আছেন ব্রেন্ডন টেইলর। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন