দেশের নিরাপত্তায় বিদেশি সেনা সহায়তা চাইছে হাইতি
হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকান্ডের পর দেশজুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষায় বিদেশি সেনাদের সহায়তা চাইছে হাইতি। দেশটির প্রধান প্রধান অবকাঠামো রক্ষায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশটি।
শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশের নিরাপত্তা ও প্রধান প্রধান অবকাঠামো রক্ষায় বিদেশি সেনা চেয়ে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর দায়িত্ব নেওয়া অর্ন্তবর্তী সরকার। তবে বর্তমানে হাইতিকে সামরিক সহযোগিতা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ওয়াশিংটনের নেই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেনা পাঠাতে রাজি না হলেও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মোয়েসের হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহায়তা করতে এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের হাইতিতে পাঠানো হবে।
গেল বুধবার দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিজের বাসভবনে নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস। ২০১৭ থেকে দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।
গেল বৃহস্পতিবার হাইতির পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস জানান, প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসেকে নিজ বাড়িতে গুলি চালিয়ে হত্যায় ২৮ জন জড়িত এবং এর বেশিরভাগই কলম্বিয়ার সাবেক সেনা। প্রেসিডেন্ট মোয়েসেকে হত্যায় জড়িতদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ান এবং দুইজন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। এর মধ্যে দুই মার্কিন নাগরিকসহ ১৭ জন আটক হয়েছে। এখনও সন্দেহভাজন আটজন পলাতক আছে। বাকি অভিযুক্তরা রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান হাইতির পুলিশ প্রধান।
এসএন