আর্কাইভ থেকে ফুটবল

বন্ধু যখন শত্রু

বন্ধু যখন শত্রু! জনপ্রিয় এক সিনেমার নামই যেন কোপা আমেরিকা ফাইনালের বর্তমান বাস্তবতা। যেখানে শিরোপা লড়াইকে ঘিরে মেসি-নেইমারের বন্ধুত্ব রূপ নিয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতায়। সুপার ক্ল্যাসিকোর স্পটলাইট থাকছে এই দুই মহাতারকার উপর।
 
পরিচয় আগেই ছিলো। কিন্তু রসায়ন জমে ২০১৩-তে। যখন বার্সেলোনায় নাম লেখান নেইমার। কাতালান জার্সিতে চার বছরেরও বেশি সময় একসঙ্গে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছেন। বন্ধুত্বটা তখন থেকেই। বার্সেলোনায় নেইমারকে ফেরানোর চেষ্টা কিংবা পিএসজিতে মেসিকে যোগ দেয়ার অনুরোধ জানান দেয় দুজন দুজনের প্রতি কতটা অনুরক্ত

কিন্তু সুপার ক্ল্যাসিকোর প্রশ্নে বন্ধু বনে যান শত্রুতে। জাতীয় দলের জার্সিতে যুগ যুগ ধরে চলা  ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বৈরিতার উত্তাপ ছুঁয়ে যায় বিশ্বের সেরা দুই তারকা ফুটবলারকে। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে যেমন শিরোপার স্বাদ নেয়ার ইচ্ছা নেইমারের। তেমনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম বারের মত ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ নিশ্চয়ই হাতছাড়া করতে চাইবেন না এলএমটেন।
 
স্পট লাইটটাও দুই দলের সেরা দুই তারকার দিকে। তবে তুলনা মূলক বিশ্লেষণে পরিসংখ্যানের প্রতিটা হিসেবে এগিয়ে নেইমারের চেয়ে ৫ বছরের বড় মেসি। নিজ দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন এএলএমটেন। কিংবদন্তি পেলেকে ছুঁতে প্রয়োজন মাত্র এক গোল। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে নেইমার।

ক্লাব জার্সিতে আরও বেশি সমৃদ্ধ ক্ষুদে জাদুকর। ৩৭০ গোল করে সবাইকে ছাড়িয়ে। বিপরীতে তিন ক্লাবে খেলে প্রায় দেড়শো গোল কম নেইমারের। সুপার ক্ল্যাসিকোয় ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে দুই গোল বেশি আর্জেন্টাইন অধিনায়কের।

কোপা আমেরিকায় অবশ্য নেইমারের চেয়ে তিন গুন বেশি ম্যাচ খেলেছেন মেসি। গোলও দ্বিগুনেরও বেশি। এবারের আসরে গোল্ডেন বুটের দৌড়ে সবার উপরে দ্যা লিটল ম্যাজিশিয়ান। শুধু চার গোল করেছেন বলেই নয়, অ্যাস্টিস্টেও সবাইকে ছাড়িয়ে। বিপরীতে এক ম্যাচ কম খেলে দুই গোল কম ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয়ের। 

তবে আকাশী-নীল জার্সির বেদনা যতটা ছুঁয়ে গেছে মেসিকে, নেইমারের নিশ্চয় তত আক্ষেপ নেই। সেলেসাওদের এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে। বিপরীতে সূর্যাস্তের দিকে তাকিয়ে এলএমটেন।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন