আর্কাইভ থেকে আফ্রিকা

হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যা নয়, আটকের পরিকল্পনা ছিল

হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যা নয়, আটকের পরিকল্পনা ছিল হত্যাকারীদের। মোয়েস হত্যাকান্ডে আটক হওয়া কলম্বিয়া ও হাইতি বংশোদ্ভূত অ্যামেরিকানদের ফাঁস হওয়া স্বীকারোক্তির নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন গণমাধ্যম মায়ামি হেরাল্ড এবং তদন্তে জড়িত একজন কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রেসিডেন্ট হত্যাকান্ডে আটককৃত ১৯ জনের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলা একজন তদন্ত কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে মায়ামি হেরাল্ড জানায়, হত্যাকারীদের লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্টকে আটক করে প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে নিয়ে যাওয়া।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হাইতি বংশোদ্ভূত দুই অ্যামেরিকান জেমস সোলাজেস ও জোসেফ ভিনসেন্ট তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেন, কলম্বিয়ার কমান্ডো দলে অনুবাদক হিসেবে ছিল তারা। দুইজনই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করা হয়েছে।

আটক হওয়া কলম্বিয়ার নাগরিকরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে হাইতিতে কাজ করতে গিয়েছিল তারা। এমনকি তাদের কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট মোয়েসের নিরাপত্তায় নিয়োজিতও ছিল।

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হাইতির পুলিশ।

গেল বুধবার সকালে হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে নিজের বাসায় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েস। হাইতি সরকার বলছে, প্রেসিডেন্ট মোয়েসকে হত্যা করেছে ২৬ জন কলম্বিয়ান ও হাইতি বংশোদ্ভূত দুইজন অ্যামেরিকানের সংঘবদ্ধ একটি দল।

এদিকে, হাইতিতে সেনা পাঠানোর আহ্বানে সাড়া এখনও সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট হত্যা করার পর জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে হাইতি সরকার। গতকাল রোববার এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে হাইতিতে একটি কারিগরি দল পাঠানো হচ্ছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন