২৮তম হাফ সেঞ্চুরি করে ফিরলেন তামিম
প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও করতে না পারায় কষ্ট পেয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন। কিন্তু বেশিক্ষন ক্রিজে থাকতে পারলেন না। ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে মোসেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৭ রান। নাজমুল হোসাইন শান্ত ১০ রানে ও মুমিনুল হক ২ রানে অপরাজিত আছেন। জয়ের জন্য দরকার আরো ১৫৪ রান।
এর আগে ২৩১ রানের টার্গেটে খেলতে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন তামিম ও সৌম্য। কিন্তু দলীয় ৫৯ রানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে স্লিপে কর্ণওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। এবার সৌম্যর সংগ্রহ ১৩ রান। প্রথম ইনিংসে সৌম্য করেছিলেন ০ রান।
চতুর্থদিনে তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই মিরপুর টেস্টে জয় পেতে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ২৩১ রানের।
চতুর্থদিনের সকালেই ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহি। আগের দিনে নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিক্যানকে দলীয় ৫০ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর দলীয় ৬২ রানে কাইল মায়ার্সকে এলবির ফাঁদে ফেলে দিনের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান রাহি। দলীয় ৭৩ রানে তাইজুলের বলে লিটনের দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ব্ল্যাকউড।
৭ম উইকেটে বোনার- সিলভাকে নিয়ে চেষ্টা করছিলেন ধাক্কা সামাল দিতে। কিন্তু লাঞ্চের পরই সিলভাকে সৌম্যর ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল। তখন ক্যারিবীয়দের দলীয় রান ১০৪। এরপর ১১৪ রানের মাথায় শান্তর ক্যাচ বানিয়ে আলজারি জোসেফকে ফেরত পাঠান তাইজুল। এটি ছিল তাইজুলের ৪র্থ শিকার। দলীয় ১১৬ রানে বোনার নাইমের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। দলীয় ১১৭ রানে কর্ণওয়ালকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাইম।
এএ