আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

আফগান দোভাষীদের সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র

যুদ্ধের সময় মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা করা দোভাষীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার হলে তারা খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অপারেশন অ্যালাইজ রিফিউজি নামের প্রকল্পের মাধ্যমে দোভাষীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, দোভাষীরা খুব সাহসী ব্যক্তি। গেল কয়েক বছর ধরে তারা যে ভূমিকা পালন করেছে আমরা তার স্বীকৃতি এবং মূল্য নিশ্চিত করতে চাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় আড়াই হাজার দোভঅষীকে সরিয়ে নেওয়া হবে। তাদের সামরিক সুবিধার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বা তৃতীয় কোন দেশে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে তাদের ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

২০০১ সালে শুরু হওয়া আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় থেকে মার্কিন সরকার বা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ অভিবাসন ভিসা প্রোগ্রামের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি পুরো আফগানিস্তান দখলে তালেবান জঙ্গিদের যে অগ্রগতি তাতে দোভাষীদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি আরও তীব্র হয়েছে। ইরান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে ক্রসিংসহ আফগান বাহিনীর একাধিক সীমান্ত পোস্ট দখল করেছে তালেবানরা।

বুধবার কান্দাহারের কাছে পাকিস্তান সীমান্তের মূল স্পিন বোলডাক ক্রসিংয়ে তালেবান জঙ্গিরা পতাকা উড়িয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আক্রমণ হলে আফগান সুরক্ষা বাহিনী পুরোপুরি ধসে পড়বে বলে অনেকের আশঙ্কা। তাই মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অবিশ্বাস্যভাবে খারাপ হবে বলেই তাদের ধারণা।

১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০০১ সালে মার্কিন হামলা পর্যন্ত আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তারা ইসলামিক শাস্তি যেমন; দণ্ডপ্রাপ্ত খুনীদের মানুষের সামনে শিরশ্ছেদ করা, টেলিভিশন, সংগীত ও সিনেমা নিষিদ্ধকরণ এবং ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করাকে সমর্থন করে।

এর আগে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন