ক্যারিবীয় স্পিন বিষে নাকাল বাংলাদেশ
ক্যারিবীয়দের স্পিনে নীল হচ্ছে বাংলাদেশ। ২৩১ রানের টার্গেট দিয়ে ইতোমধ্যে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটের পতন ঘটিয়েছে সফররত উইন্ডিজ। বাংলাদেশের ৬টি উইকেটের সবকটি পেয়েছে ক্যারিবীয়দের স্পিনাররা। সবশেষ উইকেট হিসেবে ওয়ারিক্যানের বলে কর্ণওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৮ রান। লিটন দাস ১৮ রানে ও মেহেদী হাসান মিরাজ ০ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় টেস্টে জয় পেতে দরকার আরো ৮২ রান। হাতে রয়েছে ৪ উইকেট।
টি ব্রেক থেকে ফিরে ১০১ রানে ওয়ারিক্যান মুশফিককে উইকেটের পেছনে সিলভার হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর পর মুমিনুল মিথুনকে নিয়ে ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টায় বাধ সাধলেন কর্ণওয়াল। দলীয় ১১৫ রানে লেগ স্লিপে বোনারের ক্যাচ বানিয়ে মিথুনকে ফেরালেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাটিং করতে নেমে ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন তামিম ও সৌম্য। কিন্তু দলীয় ৫৯ রানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বলে স্লিপে কর্ণওয়ালকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। এবার সৌম্যর সংগ্রহ ১৩ রান। প্রথম ইনিংসে সৌম্য করেছিলেন ০ রান। সৌম্যর বিদায়ের ১১ রানের মধ্যে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। যদিও তিনি ৪৬ বলে ৯ চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। দলীয় ৭০ রানে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বলে মোসেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তামিম।
ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ২টি ও কর্ণওয়াল ১টি উইকেট লাভ করেন।
চতুর্থদিনে তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই মিরপুর টেস্টে জয় পেতে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ২৩১ রানের।
চতুর্থদিনের সকালেই ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহি। আগের দিনে নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিক্যানকে দলীয় ৫০ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর দলীয় ৬২ রানে কাইল মায়ার্সকে এলবির ফাঁদে ফেলে দিনের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটান রাহি। দলীয় ৭৩ রানে তাইজুলের বলে লিটনের দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ব্ল্যাকউড।
৭ম উইকেটে বোনার- সিলভাকে নিয়ে চেষ্টা করছিলেন ধাক্কা সামাল দিতে। কিন্তু লাঞ্চের পরই সিলভাকে সৌম্যর ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন তাইজুল। তখন ক্যারিবীয়দের দলীয় রান ১০৪। এরপর ১১৪ রানের মাথায় শান্তর ক্যাচ বানিয়ে আলজারি জোসেফকে ফেরত পাঠান তাইজুল। এটি ছিল তাইজুলের ৪র্থ শিকার। দলীয় ১১৬ রানে বোনার নাইমের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। দলীয় ১১৭ রানে কর্ণওয়ালকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাইম।
এএ