আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় টাইগারদের

সহজ ম্যাচকে কঠিন করে জিতলো বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিন পর ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন সাকিব আল হাসান। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় টাইগারদের। স্বাগতিকদের ২৪০ রানে আটকে রেখে ৭ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে তামিম ইকবালের দল।
 
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে বার বার নিরাশ করছিলো সাকিবের উইলো। আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া, আইপিএল সব আসরে সবফরম্যাটে ব্যাট হাতে মলিন ছিলেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার। শেষ পযর্ন্ত ব্যাট হাতে ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্স। ২ বছর আর ১১ ম্যাচ পর শতরানের দেখা পেতে পারতেন। শেষ পযর্ন্ত তা না হলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে নিশ্চয়ই তৃপ্ত থাকবেন  ৯৬ রানে অপরাজিত থাকা সুপার সাকিব।

কৃতিত্ব পেতে পারেন সাইফ উদ্দিনও। অস্টম উইেকেট এ লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের সাথে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি মহামূল্যবান। শেস পর্যন্ত সাকিবকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেচেন ২৮ করা বোলিং অল রাউন্ডার।

অথচ ১৭৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একটা সময় ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলো টিম বাংলাদেশ। আশার আলো হয়ে তখনো জ্বলছিলেন সাকিব।

ব্যার্থতার দায় টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। মোহাম্মদ মিথুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী মিরাজরা দু অঙ্কের কোঠা ছুঁতে পারেননি।

অভিজ্ঞ মাহমুদ উল্লাহ কিংবা তরুণ আফিফরা ক্রিজে সেট হয়ে ফিরেছেন টেম্পারামেন্ট হারিয়ে। তামিম লিটনদাসদের শুরুটা ধীরস্তির ছিলো। তবে ইনিংস দীর্ঘায়িত হয়নি। আর তাতেই ২৪১ রানের সাদামাটা টার্গেটও একটা সময় পাহাড়সম মনে হচ্ছিলো।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি জিম্বাবুয়েরও। আলোচনায় ব্রেন্ডন টেলরের হিট উইকেট। হাফ সেঞ্চুরি পথে থাকা অধিনায়কের বিদায় থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে।

এরপর ওয়েসলি মাধেভেরে দলের হার ধরেছেন পেয়েছেন অর্ধশতরানের দেখা। কিন্তু শিরফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ২৪০ রানের বেশি তুলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৪৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট এ নবীন পেসারের।

বল হাতে যথারীতি হুমকি ছিলেন সাকিব। এদিন তুলে নিয়েছেন রেগিস চাকাবা আর ডিয়ন মায়ার্সকে।

ষষ্ঠ বারের মত অ্যাওয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের। যার মাঝে তিনটিই আসলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে নিয়মিত টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় অস্বস্ত নিয়ে হোয়াইট ওয়ামের মিশনে নামবে টাইগাররা।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন