আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কাউকে ছাড়া একা জীবন কাটানো এতটা সহজ নয়

প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে প্রত্যেকেই আমরা চাই নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে। এই জীবনযাপনের ধরণ একেক জনের একেক রকম। প্রতিটি মানুষই তার জীবনযুদ্ধে কাউকে না কাউকে পাশে পায়। আমরা সবাই জানি যে কোনো মানুষই একা থাকতে পারে না। আর কাউকে ছাড়া একা জীবন কাটানো এতটা সহজ নয়। 

তবে একা থাকা আর কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে থাকা দুটোর মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে। যখন নতুন কোনো সম্পর্ক শুরু হয় তখন দুজনকেই একে অপরের সঙ্গে কথা আর কাজের মিল থেকে শুরু করে সবকিছুরই খাপ খাওয়ানোর ব্যাপার থাকে। 

সম্পর্ক যখন প্রেমের হয় তখন সম্পর্ক ও জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজন, কেননা যদি তার এই সম্পর্কের পরিনয় চান। প্রতিটি সম্পর্কে খুনসুটি আর অনুরাগ থাকাটা স্বাভাবিক। তবে এর মাত্রা বা স্থায়ীত্ব বেশি হলে সম্পর্কে ফাটল দেখা দিতে পারে।

প্রেমের জীবনে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হল যা প্রেমের জীবনে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

ব্যক্তিগত স্বাধীনতা
 
প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রয়োজন। নিজেকে বিকশিত করার জন্য ব্যক্তিগত এই সময় ও স্বাধীনতার প্রয়োজন আছে। এছাড়াও এটা সম্পর্কে থাকা অবস্থায় নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি বহন করতে ও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করে। অন্যের ওপর নির্ভরশীলতার চেয়ে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও সুস্থ মানসিকতা অনেক বেশি দরকার।

দলগতভাবে কাজ করা

একসঙ্গে কাজ করা আদর্শ দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরিতে সহায়তা করে। দুজনের মাঝে বিশ্বাসের সম্পর্ক সৃষ্টিতে এটা গরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুসম্পর্ক সৃষ্টিতে অন্যের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেওয়া, সম্মান করা ও প্রয়োজনে পাশে থাকা সুসম্পর্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 

সম-পরিমাণ ছাড় দেয়া 

সুসম্পর্ক বজায় রাখতে দুজনেরই সম-পরিমাণ ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। সঙ্গীর কথা সব সময় আপনার মন মতো নাও হতে পারে। আবার দুজনের মতো বিরোধও থাকতে পারে। তাই এর মাঝামাঝি একটা সমাধান খুঁজ়ে বের করতে হবে। এটা কষ্টকর হলেও অসম্বব নয়।

নিজেকে ভালোবাসা 

অন্য সবকিছুর আগে নিজেকে ভালোবাসাটা জরুরি। আপনি নিজেকে যেভাবে সমাদর করবেন অন্যরাও আপনাকে ঠিক সেভাবেই সমাদর করবে। নিজেকে ভালোবাসা আত্মসম্মান বাড়ায়, শক্তিশালী করে যা আপনার এবং আপনার সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক।

যোগাযোগ রক্ষা 

একে অপরকে ভালো মতো বুঝতে নিজেদের চিন্তা ভাবনা খোলামেলা ভাবে আলোচনা করা উচিত। এতে যে কোনো কিছুর সমাধান ও সমস্যা এড়ানো সম্ভব। ফলে সম্পর্কে বিরক্তি উদ্রেক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। মৌখিক ও অমৌখিক যোগাযোগ কেবল একে অপরকে বুঝতেই সহায়তা করে না পাশাপাশি সম্পর্ক সুদৃঢ় করে ও গভীরতা বাড়ায়।

সূত্র: জিনিউজ, আনন্দবাজার

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন