আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

লকডাউনে ফাঁকা রাজধানী

ঈদুল আজহার সময় মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। এ সময়সীমা শেষ হওয়ার পর শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। প্রথমদিনের লকডাউনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পুরো এলাকাজুড়ে এখন সুনসান নিরবতা।

সকাল থেকে ধানমন্ডি, কাওরানবাজার, মিরপুর, কল্যাণপুর, আনসার ক্যাম্প, টোলারবাগ, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সুনসান নিরবতা।

এসব এলাকায় লকডাউনের কারণে সকাল থেকেই কোনো দোকানপাট খোলাননি ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সাধারণ মানুষও চলাচল করছে না। গত কয়েকবারের লকডাউনে রাস্তায় কিছু কিছু মানুষ চলাচল করতে দেখা গেলেও আজ সকাল থেকে রাস্তায় মানুষ একেবারেই কম বের হয়েছেন।

এছাড়া এসব এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরাও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। করোনায় শুধুমাত্র ওষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব ধরনের দোকান বন্ধ রয়েছে। কেউ দোকান খুলছেন না। আবার কিছু কিছু খাবার হোটেল খোলা থাকলেও তাতে ক্রেতা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র খাবার পার্সেল করে নিয়ে যেতে পারছেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পরের ২৩ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন থাকবে। আগের লকডাউনে গার্মেন্টস খোলা থাকলেও এবার সবকিছু বন্ধ। বন্ধ রয়েছে গার্মেন্টস, শিল্প কলকারখানাসহ
সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন