আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

ব্রিটেনে ভারি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা; তলিয়ে গেছে পূর্ব ও দক্ষিণ লন্ডন

ব্রিটেনে নতুন করে ভারি বৃষ্টিতে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রাজধানী লন্ডনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল। রোববার কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই আকস্মিক এই বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বেশিরভাগ স্থানে বজ্রবৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সড়ক ও আন্ডারগ্রাউন্ড লাইনে পানির উচ্চতা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু গাড়ি আটকে পড়েছে। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় তিন শতাধিক জরুরি কল পেয়েছে লন্ডনের ফায়ার সার্ভিস।

রোববার পূর্ব লন্ডনের দুইটি হাসপাতাল হুইপস ক্রস ও নিউহাম হাসপাতালের ভেতরে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। রোগীদের অন্য হাসপাতালে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেছে হাসপাতাল দুটির কর্তৃপক্ষ।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বন্যার কারণে ব্ল্যাকওয়াল টানেলসহ কয়েকটি সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ লন্ডনের বেশ কিছু সড়ক। বিভিন্ন পথে যাত্রাও বিলম্বিত হচ্ছে। আটটি টিউব স্টেশন এবং একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় ওয়ালথামস্টো এলাকার বাসিন্দা ক্রিস ডেট জানিয়েছেন, বাসে উঠতে গিয়ে তার পা তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, এটা খাল, রাস্তা নয়। সাইকেল চালক এডি ইলিয়ট জানান, কুইনসটাউন এলাকার কাছে একটি সড়ক প্রায় অচল হয়ে গেছে। লন্ডনে জন্ম ও বেড়ে উঠলেও এমন কিছু আগে কখনও দেখেননি তিনি।

ব্রিটিশ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, লন্ডনের কাছে দুইটি এলাকায় জোরালো বন্যার সতর্কতা জানানো হয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় ৭৫ থেকে এক শ’ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এছাড়া বন্যা হতে পারে আরও ১৪টি এলাকায়।

আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা স্টিভেন কিটস জানিয়েছেন, রোববার বিকেলে লন্ডনের কয়েকটি এলাকায় একশ’ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গেল সপ্তাহের তীব্র গরমের পর ভারী বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও আকস্মিক বন্যায় দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।

এদিকে, বন্যার কারণে কোস্টারিকার ৫টি শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। সহস্রাধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট। বন্যা দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন