আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাসবরাজ বোম্মাইয়ের শপথ

কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার পা ছুঁয়েই নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা বাসবরাজ বোম্মাই। আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকালে কর্ণাটকের ২৩তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তার শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়েদুরাপ্পা এবং রাজ্যপাল থাওয়ার চন্দ গেহলত।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আজ বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ কর্ণাটকের রাজভবনে শপথ নেন বাসবরাজ বোম্মাই। তবে শপথ নেওয়ার আগে ইয়েড্ডির পা স্পর্শ করেন ৬১ বছর বয়সী এই নেতা।

মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই রাজ্যবাসীর উন্নয়নের কথা বলেন বাসবরাজ বোম্মাই। দরিদ্রের উন্নয়নে তার সরকার কাজ করবে বলে জানান তিনি।

বোম্মাই জানান, আজ ক্যাবিনেট বৈঠক করবেন তিনি। তারপর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানে কোভিড ১৯ এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। এজন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে।

লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের দাবি মেনেই বিজেপি মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাসবরাজ বোম্মাই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছে, সংখ্যাগুরু লিঙ্গায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে ইয়েদুরাপ্পার পর আরও এক লিঙ্গায়েত নেতাকেই বেছে নিল বিজেপি পরিষদীয় দল। তাই কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন বাসবরাজ বোম্মাই।

কর্ণাটকের ২০ শতাংশ মানুষ লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ভুক্ত। উত্তর কর্ণাটক এবং মধ্য কর্ণাটকে এই সম্প্রদায়ের আধিক্য বেশি। ইয়েদুরাপ্পা নিজেও চেয়েছিলেন, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হোক তার মন্ত্রিসভার খুবই ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী বাসবরাজ।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বাসবরাজের বাবা সোমাপ্পা রায়াপ্পা বোম্বাইও। জেডিইউ দলের হয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন বাসবরাজ। জেডিইউয়ের টিকিটে লড়ে ১৯৯৮ এবং ২০০৪ সালে পরপর দুইবার বিধায়কও হন তিনি। ২০০৮ সালে জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই মন্ত্রীত্ব। ২০১৯ সালে কর্ণাটকে বিজেপি সরকার গড়ার পরই আবারও মন্ত্রী হন বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি সমবায়, আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন।

দুই বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার পর ২৬ জুলাই পদত্যাগ করেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের রাজনীতি বরাবরই নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেয় জাতপাত। ইয়েদুরাপ্পা সরে যাওয়ার জল্পনার মধ্যে তাকেই সমর্থন করেছিল প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়।

যদিও এক্ষেত্রে বিপক্ষ ভোক্কালিগা সম্প্রদায়ের তরফে কাউকে মুখ্যমন্ত্রীত্বের দৌঁড়ে রাখা হতে পারে কিনা তা নিয়েও জল্পনা চলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপি লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের দাবিই মেনে নিল গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন