বাংলাদেশ
ব্রিটেনের ৫৭তম নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক
Published
1 year agoon
কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি সুনাককে যুক্তরাজ্যের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত করেছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। বাকিংহাম প্যালেসে রাজার কাছ থেকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণও পেয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে গত ২০০ বছরের ইতিহাসে ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হতে বাকিংহাম প্যালেসে যান ঋষি সুনাক। সেখানে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
ব্রিটিশ রাজা চার্লস কনজারভেটিভ এই নেতাকে দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পরপরই রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে সরকার গঠনের প্রস্তাব পান ঋষি। বাকিংহাম প্যালেসের ১৮৪৪ কক্ষে রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে ঋষি সুনাকের বৈঠক হয়।
শুল্ক হ্রাসের পরিকল্পনা ঘিরে তৈরি হওয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া লিজ ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজতন্ত্রের মসনদে বসে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঋষিকে নিয়োগ দিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়ার মাত্র দু’দিন আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ট্রাসকে নিযুক্ত করেছিলেন।
ব্রিটেনের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন ট্রাস। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টা) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বিদায়ী ভাষণ দেন লিজ ট্রাস। তার আগে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে বিদায়ী বৈঠক করেন তিনি।
ব্রিটেনের রাজনীতিতে গত কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় আছেন ঋষি সুনাক। ভারতীয় বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ইনফোসিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাতা সুনাককে ঘিরে বিতর্কও হয়েছে বিস্তর।
কনজারভেটিভ এই নেতা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমানো ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক পরিবারের সন্তান। অভিবাসী পরিবারের সেই ঋষি ব্রিটেনের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী হলেন।
সুনাকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেনে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তার বাবা-মা উভয়ই ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। ১৯৮০ সালে ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্মগ্রহণ করেন সুনাক। তার বাবা যশবীর ও মা ঊষা। দু’নই ভারতের পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। পড়াশোনা আর ভালো কাজের আশায় তারা বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। যশবীর ব্রিটেনে একজন জেনারেল প্র্যাকটিশনার এবং ঊষা ফার্মাসিস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন।
ঋষি সুনাক উইনচেস্টারের প্রাইভেট স্কুল উইনচেস্টার কলেজে পড়াশোনা করেছেন। শিক্ষাজীবনে গ্রীষ্মের ছুটিতে সাউদাম্পটনে ফিরে এক কারি হাউসে ওয়েটার হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। পরে দর্শন, রাজনীতি এবং অর্থনীতি নিয়ে পড়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ পড়ার সময় স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির সাথে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তাদের দুই মেয়ে রয়েছে। এই দম্পতির এক মেয়ে একজন ভারতীয় বিলিয়নেয়ার এবং আইটি পরিষেবা জায়ান্ট কোম্পানি ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রচারণার সময় প্রায়ই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে নিজ মেয়েদের কথা উল্লেখ করতেন ঋষি।
বিবিসির টেলিভিশন বিতর্কের সময় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, তিনি ছোট দুই মেয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছিলেন, যারা আমার পরিবারের এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। সুনাকের সম্পদ এবং প্রাইভেট স্কুলের পটভূমি অন্যান্য টিভি বিতর্কেও আলোচনায় এসেছিল।
২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত গোল্ডম্যান স্যাচের বিশ্লেষক ছিলেন তিনি। তাকে ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী সংসদ সদস্যদের একজন মনে করা হলেও নিজের সম্পদের ব্যাপারে কখনই প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি সুনাক।
২০১৫ সাল থেকে ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ডের কনজারভেটিভ দলীয় এমপি তিনি। পূর্বসূরি বরিস জনসনের মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের সরকারের একজন জুনিয়র মন্ত্রী হয়েছিলেন সুনাক।
ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের বহুল আলোচিত বিচ্ছেদ ব্রেক্সিটের সমর্থক ছিলেন তিনি। ইয়র্কশায়ার পোস্টকে বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্যকে ‘মুক্ত, সুন্দর এবং আরও সমৃদ্ধ’ করে তুলবে।
ব্রেক্সিট ভোটের আরেকটি মূল কারণ অভিবাসন বিধিতে পরিবর্তন আনা বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সুনাক বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি উপযুক্ত অভিবাসন করা হলে তা আমাদের দেশের জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে। কিন্তু আমাদের অবশ্যই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সুনাক যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারী এক প্রজন্মের সদস্য হলেও তার বাবা-মায়ের জন্ম ভারতে। ২০১৯ সালে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, এই পরিচয় তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যরা যা পড়ছেন
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
Published
4 hours agoon
মার্চ ২৮, ২০২৪বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের তোলা প্রশ্নের জবাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণ ও মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে তিনি জানতে চান, ‘২৬ মার্চ উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন তাঁর বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অভাবে দেশটির জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই বিবেচনায় বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিতে পারে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে বলার মতো কিছু তাঁর কাছে এখন নেই। তবে এই প্রশাসনের শুরু থেকেই তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি গণতন্ত্রের উন্নয়ন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এটা অবশ্যই তাঁর শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি। তাই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় তাঁরা অব্যাহতভাবে এসব বিষয় স্পষ্ট করছেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সমানে রেখে তিনি এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। তাঁরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণ ও মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য তাঁরা সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়টিও স্থান পায়। এবিষয়ে সাংবাদিকের একটি প্রশ্ন ছিলো-ভঅরতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী। ভারতের বিরোধী দলগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
জবাবে মার্কিন ডিপার্টেমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার ও তাঁর বিচারের ওপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের বেশ কিছু ব্যাংক হিসাব সে দেশের সরকার জব্দ (ফ্রিজ) করেছে। তারা বলেছে, এ কারণে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাদের অসুবিধা হবে। আমরা চাই প্রতিটি বিষয়ের বিচারই যেন সুষ্ঠুভাবে দ্রুত ও ন্যায্য হয়। আশা করি, এতে কারও আপত্তি থাকবে না।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো-আমি কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত কথাপকোথন নিয়ে কথা বলবো না। তবে প্রকাশ্যে আমি এখানে যেটি বলতে পারি তা হলো- আমরা ন্যায্য, স্বচ্ছ, সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আমরা মনে করিনা যে এতে কারো আপত্তি থাকা উচিত। আমরা এই বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে স্পষ্ট করবো।
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আলী মিয়া।
সিআইডি জানায়, জেট রোবটিক অ্যাপসের (Zet Robatic Apps) মাধ্যমে এই চক্রটি প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক রেমিটেন্স রুট পরিবর্তন করে পাচার করতো।
মোঃ আলী মিয়া জানান, চক্রটির মূল হোতা শহিদুল ইসলাম মামুন ২০২০ সাল থেকে দুবাই থাকে। সেখানে মামুনসহ আরও ৫ জন রয়েছে। মালয়েশিয়ান সফটওয়্যার ডেভেলপারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এই অ্যাপস কাস্টোমাইজ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে এই চক্র। এজেন্ট সিমগুলো বাংলাদেশে থাকলেও এর নিয়ন্ত্রণ তারা দুবাই বসে করতে পারেন। দুবাই বসেই তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন নম্বরে ক্যাশ-ইন এর মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করতে পারেন।
সিআইডি প্রধান বলেন, এই হুন্ডির কাজে তারা এজেন্টদের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিকট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর জন্য তাদের স্বজনদের নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর সংগ্রহকৃত অর্থ বাংলাদেশি এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপস ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু রেমিটেন্সের ডলার নিজেরা রেখে দেয় অন্য দেশে।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ১৮টি সিমকার্ড ১টি ল্যাপটপ ও ৬টি মডেমসহ নগদ ২৮ লক্ষ ৫১ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মূল হোতা বাদে অন্য আটককৃতরা হলেন, মো. নাসিম আহেমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), মো. জহির উদ্দিন (৩৭) এবং মো. খায়রুল ইসলাম পিয়াস (৩৪)।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।
ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে।
ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।
ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।
প্রসঙ্গত, সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।
এএম/
জাতীয়
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫...
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...
দেড় মাস বয়সের সেই শিশুটি ৫০ বছর পর মায়ের কোলে
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
আবারও এক টেবিলে বিএনপি-জামায়াত
‘নির্বাচনে যা খরচ করেছি, এটা আমি তুলবো’
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
ছেলে হওয়ার পর প্রথম ছবি পোস্ট করলেন আনুশকা
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
টাইটানিক ছবির রোজকে ভাসিয়ে রাখা সেই কাঠ পৌনে ৮ কোটি টাকায় বিক্রি
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন