বাংলাদেশ
দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক গ্রেপ্তার
Published
1 year agoon
By
বিপ্লব আহসানদৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জালিয়াতি ও প্রতারণার একটি মামলায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গেলো মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া) আবু ইউসুফ।
তিনি বলেন, চলতি বছরের গেলো ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই বাদী হয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি তিনজন। তারা হলেন, আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম, সেলিম মুন্সী। ওই মামলার তদন্তে ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ড. এরতেজাকে গুলশান-২ অফিস থেকে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করে পিবিআিইয়ের একটি দল।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ২০০৫ সাল থেকে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা করে আসছি এবং ডিএমপি দক্ষিণখান থানার অন্তর্গত বিভিন্ন স্থানে আমার প্রজেক্ট চালু আছে। আমার বন্ধু কাজী শামীম মাহদী ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কাজ করার সুবাদে আমার সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি তার পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে ‘আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপম্যান্ট’ প্রজেক্টে প্লট বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে দেন।
২০১০ সালের শুরুতে কাজী শামীম মাহদী আমাকে বলেন, তার পরিচিত একজনের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং তারা তাদের ক্যাম্পাসের জন্য জমি খুঁজছেন।
তিনি আরও জানান, ২০১০ সাল থেকে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন করার তাগাদা প্রদান করে আসছে। তার পরিচিত ব্যক্তির ক্যাম্পাস অতি দ্রুত স্থানান্তরের জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) কর্তৃক নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন করতে ব্যর্থ হলে কার্যক্রম বন্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তখন কাজী শামীম মাহদী জানান, আপনাদের অনেক জায়গা আছে একটা জায়গা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য চান। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে একদিন আমার অফিসে কাজী শামীম মাহদী মামলার ১ নং আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ(৫৮) সহ ২/৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।
দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির সাইট ভিজিট করে তারা জানায়, পাঁচ বিঘা জমি লাগবে। এবং তারা দক্ষিণখান মৌজার মহানগর জরিপ দাগ নং-২৬৮০৪, ২৬৮১৬, ২৬৪৮৬, ২৬৪৮৫, ২৬৪৮৭, ২৬৮০৮ এবং ২৬৪৮৯ পছন্দ করেন। আলাপ-আলোচনার পর জায়গার মূল্য ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করি। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে খিলক্ষেত থানাধীন আশিয়ান মেডিকেল কলেজে অবস্থিত আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত অফিসে দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়।
চুক্তিপত্রে প্রথম পক্ষ হিসেবে মামলার এক আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জমির ক্রেতা এবং দুই নং আসামি মো. রিয়াজুল আলম সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিপত্রে উল্লেখ আছে, জমির দামের সম্পূর্ণ টাকা ওই বছরের ৩০ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করতে ১ম পক্ষ বাধ্য থাকবেন। কিন্তু উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ৫০ কোটি টাকার মধ্যে নগদে ৩০ কোটি টাকা পরিশোধ করেন এবং অবশিষ্ট ২০ কোটি টাকা বাকি রাখেন। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধে সময় চান তারা। ১ নং আসামি বলেন, ‘আমরা কাজ শুরু করে স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাকি টাকা পরিশোধ করে দেব’। আমি সরল বিশ্বাসে তাদের কাজ শুরু করার অনুমতি প্রদান করি। কাজ শুরু করার পর থেকে বিভিন্নভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন এবং টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন বাহানা করতে থাকেন।
এভাবে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেও অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ করেননি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় আমার জমি বিক্রির পাওনা টাকা চাইলে এক নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ জানান, আমি কোনো টাকা তাদের কাছে পাব না। কারণ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জমিটি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন এবং তারা জমির দাম বাবদ সম্পূর্ণ টাকা আমাদের পরিশোধ করেছেন।
আমার বড় ভাইয়ের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে তিনি হতবাক হয়ে যান এবং বলেন এটা কী করে সম্ভব? জমি রেজিস্ট্রির বিষয়ে আমার বড় ভাই কিছুই জানেন না এছাড়া তিনি নিজেও কয়েকবার অপরিশোধিত টাকা পরিশোধ করার জন্য তাগাদা প্রদান করেছেন।
পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমরা ১ নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহর কাছে জমি বিক্রি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। সেই জমিটি রেজিস্ট্রিকৃত সাফ-কাবলা দলিল নং-১১৩৫৩ তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ মূলে রেজিস্ট্রি হয়। জমির মূল্য ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। ওই দলিলের রেজিস্ট্রি সম্পাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও জানতে পারি, দলিলটি কমিশনিং এ রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এবং দলিল সম্পাদনকারী মোহরার হিসেবে আমার অফিসের মোহরার শহিদুল ইসলামের নাম রয়েছে। আমার মোহরার শহিদুল ইসলামকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, তিনি এ রকম কোনো দলিল লেখার কাজ করেননি।
আমি উক্ত দলিল সম্পর্কে ২ ও ৩ নং আসামির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান যে, ‘নদার্ন কর্তৃপক্ষ টাকা পরিশোধ করেই আপনার জমি রেজিস্ট্রি করেছে’। আমি বারবার নদার্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এই বিষয়ে আমি যেন বেশি বাড়াবাড়ি না করি এছাড়া আমাকে বিভিন্ন সময়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ১ নং আসামি ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ আমার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষর, অফিসের সিল ও মোহার মো. শহিদুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জমির দলিলের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিবিআই মামলার উল্লেখিত ১ নং আসামি আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ (৫৮) ও ২ নং আসামি মো. রিয়াজুল আলমকে (৩৫) ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্যরা যা পড়ছেন
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।
ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে।
ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।
ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।
প্রসঙ্গত, সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।
এএম/
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বায়ান্ন টিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, গত ২৭ মার্চ ভোরে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়া দ্বীপের একটি গোপন আস্তানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীতে খুন, ডাকাতি, অপহরণ, ঘের দখল-পালটা দখলের মতো অন্ধকার জগতে লোকমান ওরফে আজরাইল এক সুপরিচিত নাম। সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা ও লক্ষ্যবস্তুর প্রতি নৃশংসতার ভয়াবহতায় ধীরে ধীরে মহেশখালীর মূর্তিমান আতঙ্কের নামান্তর হয়ে উঠলেও নানান কৌশলে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০০৬ সাল থেকে অপরাধ জগতে সদর্প পদচারণার পর অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন লোকমান। গ্রেপ্তার আজরাইল মহেশখালীর আলোচিত জিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং নবনিয়োগ শাখার (রিক্রুটমেন্ট উইং) প্রধান হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলা ও ৪টি হত্যাচেষ্টাসহ কমপক্ষে ১০টি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, তাকে মহেশখালী থানায় দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) নাছরিন জাহান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নূর উর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এই মামলায় দ্বিতীয়বারের মতো জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলো জবির এই সহকারী প্রক্টরের।
এর আগে গত ২০ মার্চ কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন আবেদন করা হয় দ্বীন ইসলামের। আদালত ওই জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে ফাঁস নেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। পরদিন ১৬ মার্চ তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিন রাতে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় দুজনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। ১৭ মার্চ আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে আদালতে তোলা হলে আম্মানের দুই দিন এবং দ্বীন ইসলামের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এএম/
জাতীয়
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫...
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
ড. ইউনূস দেশে ফিরলে আসল কাহিনী জানা যাবে : ব্যারিস্টার মামুন
শ্রমিক ঠকানোর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ড. মুহম্মদ ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কারকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারি...
শিশু ক্রয়ের অর্ডার নিয়ে অপহরণ করতো তারা
রাজধানী ঢাকার হাজারীবাগ থেকে আড়াই বছর বয়সী এক শিশু অপহরণের ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর একটি অপহরণ চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা...
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও নির্দেশনা...
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
ছেলে হওয়ার পর প্রথম ছবি পোস্ট করলেন আনুশকা
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
টাইটানিক ছবির রোজকে ভাসিয়ে রাখা সেই কাঠ পৌনে ৮ কোটি টাকায় বিক্রি
‘দুঃসময় চলছে, সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন’
তরমুজ দিয়ে যেভাবে রূপচর্চা করবেন
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ে একাধিক ছুরি হামলা, নিহত ৪
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন যারা
আবারও স্বর্ণের দামে রেকর্ড
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন