আইন-বিচার
ফারদিন হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ডিবিপ্রধানের
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ ফারদিন হত্যাকাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান।
তিনি জানিয়েছেন, খুন হওয়ার আগে ৩ নভেম্বর দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে যাত্রাবাড়ী মোড়ে দেখা গিয়েছিল ফারদিনকে। ওই রাতে সাদা গেঞ্জি পরা এক যুবক তাকে একটি লেগুনায় তুলে দেন। ওই লেগুনায় আরও চারজন ছিলেন। লেগুনাটি ফারদিনকে নিয়ে তারাবর দিকে যায়। ওই লেগুনার চালক ও সহযোগীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, এটি হত্যাকাণ্ড। ফারদিনের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় রামপুরা থানায় তার বাবার করা মামলায় আয়াতুল্লাহ বুশরা নামে ফারদিনের এক বান্ধবীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে রিমান্ডের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডিবি প্রধান বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। তাকে কোথায় হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, যাত্রাবাড়ী থেকে লেগুনায় উঠে যাত্রীদের তিনজন বিশ্বরোডে গিয়ে নামেন। একজন তার পরের স্টপেজে নামেন। ওই জায়গা থেকে চনপাড়া যেতে অন্তত এক ঘণ্টা লাগার কথা। ফলে রাত আড়াইটার দিকে তার যে চনপাড়ায় উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়।
তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চনপাড়ায় ফারদিনের লাশ একটি প্রাইভেট কারে তুলে ফেলার যে কথা বলা হচ্ছে, তা–ও সঠিক নয়। কারণ, রাত সোয়া দুইটার দিকে ফারদিনের অবস্থান যাত্রাবাড়ীতে ছিল। আর ওই গাড়ির মুভমেন্ট ছিল রাত দেড়টার সময়।
আইন-বিচার
কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা আমান
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৪ মার্চ) রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে মুক্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এদিকে জামিনে মুক্তি পেলেও, বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়।
এর আগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
আইন-বিচার
চালক হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন
নরসিংদীর রায়পুরায় বিজয় মিয়া নামে এক বিভাটেক (ব্যাটারি চালিত তিন চাকার বাহন) চালককে হত্যার দায়ে চার আসামীর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রোববার( ২৪ মার্চ) দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আ.ন.ম ইলিয়াস এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে শহরের বাসাইল এলাকার বিভাটেক চালক বিজয় মিয়া জীবীকার তাগিদে নরসিংদী শহরে বের হয়। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামীরা তাকে ভাড়া করে প্রথমে রায়পুরার নীলক্ষা এবং পরে একই উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মাহমুদ নগরে নিয়ে কৌশলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে বিভাটেক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় বিজয়ের মা অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করলে জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত ১৫ কার্য দিবসে ২০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের প্রেক্ষিতে এই রায় প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি খন্দকার হালিম জানান, সাজা প্রাপ্তরা হলেন,নরসিংদী সদর উপজেলার বীরগাঁও এলাকার সোলাইমান মিয়ার ছেলে আলাল ওরফে বিল্লাল (৩৫), একই এলাকার মোছলেম মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়া (২৮), একই উপজেলার বল্লবপুর এলাকার ধন মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩১) এবং বীরগাঁও এলাকার আব্দুর রহিমের স্ত্রী রুবিয়া বেগম (৪৫)। সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই জেল হাজতে আছেন।
রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে তিনি বলেন,এই রায়টি বাংলাদেশের শ্রমজীবী নিরীহ বিচারপ্রার্থীদের নিকট একটি বার্তা দিলো যে আদালত সবসময়ই দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, এই নীতিতে বিশ্বাসী। পুলিশ আদালত,আইনজীবী বিচারপ্রার্থী সবাই যদি একটা টিম হিসেবে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
এসময়ে তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই মোফাজ্জল হোসেনকেও ধন্যবাদ জানান।
আইন-বিচার
সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি: হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা
ঢাকার গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত একটি বাড়ি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী দখলে রেখেছেন এমন অভিযোগ আছে। সেটিকে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। আর এ দখলে থাকা বাড়ি আগামী তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত।
রোববার (২৪ মার্চ) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর ফলে সালাম মুর্শেদীর বাড়ি এখন যেভাবে আছে সেই অবস্থায়ই থাকবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
আদালতে এদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
গেলো ১৯ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি তিন মাসের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বাড়ি বুঝে পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে গণপূর্ত সচিবকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়।
পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সালাম মুর্শেদী। এর আগে ৩ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানি শেষ হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত পরিত্যক্ত সম্পত্তির ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়িটি দখলে রাখার অভিযোগ তুলে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে বাড়ি-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র হলফনামা আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। রুলে বাড়িটি বেআইনিভাবে দখলে রাখার অভিযোগে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নথি দাখিল করে। পরে বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে দুদককে নির্দেশ দেয়া হয়।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন