জাতীয়
অনেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন চায় না: চীন
Published
1 year agoon
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সঠিক সময়ে না করতে পারলে আঞ্চলিক সংকট তৈরির আশঙ্কা দেখছে চীন। সেজন্য এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে কাজ করছে দেশটি।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সেমিনারে এ কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট একটি আঞ্চলিক ইস্যু। এই সংকটের মধ্যস্থতা করছে চীন। চীনের প্রধান লক্ষ্য রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। সেজন্য চীন এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, অনেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন চায় না। এখানে অনেক পক্ষ জড়িয়ে গেছে। তারা গঠনমূলকভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পক্ষে নয়।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম কংগ্রেস উপলক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।
লি জিমিং বলেন, চীন এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে। চীন এ বিষয়ে সবাইকে জানিয়ে কাজ করার পক্ষে নয়। চীন নীরবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাইব, রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় তাদের নিজ ভূমে ফিরে যায়।
তিনি আরও বলেন, সমস্যার সমাধান দ্বিপাক্ষিকভাবে হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হোক, এটিই চীনের চাওয়া।
অন্যরা যা পড়ছেন
ইউনেস্কোর পুরস্কারের প্রসঙ্গে যা বললো ইউনূস সেন্টার
৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে আজ
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
জাতীয়
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
Published
7 hours agoon
মার্চ ২৯, ২০২৪জালিয়াতি যেনো পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের । প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯ ছাত্রী ভর্তির বিষয়টি সমাধান না হওয়ার মধ্যেই প্রথম শ্রেণিতে জালিয়াতি করে আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একটি বি্শেষ সূত্র জানায়, নতুন এই ভর্তি জালিয়াতির তদন্ত করছে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান। জালিয়াতি করে প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রী ভর্তি করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রথম শ্রেণির ৩৬ ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ভর্তি সংশ্লিষ্টদের পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৫ মার্চের চিঠিতে জবাব চাওয়া হয়।
ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্যান্য সসস্যরা হলেন- ধানমন্ডি প্রভাতি শাখা প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বায়ান্ন টিভিকে বলেন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষ হওয়ার পর অমরা এব্যাপারে গণমাধ্যমকে অবহিত করবো।
আপনিতো ভর্তি কমিটির আহবায়ক-তাহলে জালিয়াতির বিষয়টি আপনিই ভাল জানেন-এমন যুক্তির জবাবে তিনি বলেন, দেখেন প্রথম শ্রেণিতে নতুন করে ৩৬ ছাত্রীর ভর্তির ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পরই তার তদন্ত করার জন্য কমিটি কাজ করছে। একটু সময় দেন, সবকিছু তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য নিশ্চিত করে গভর্নিং বডির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘ভর্তির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে এবিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রী ভর্তির ঘটনা ফাঁস হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বেইলি রোডে অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখার (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে বরখাস্ত করা হয়।
তাকে ঘটনা ফাঁসের জন্য দায়ী করা হলে তিনি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি লিখিতভাবে তুলে ধরেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া লিখিত অভিযোগে শাহ আলম জানান, ‘মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।
শাহ আলম খানের এই লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর তদন্ত শুরু করতে নড়েচড়ে বসে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের একটি সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন ফরম বাছাইয়ের জন্য মাউশি’র (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর) নীতিমালা অমান্য করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে প্রতীয়মান হয় প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর জন্মসনদ ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সঠিক নয়। এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কমিটির বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির ৩৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বর্ণিত প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিনা ব্যর্থতায় আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য বলা হলো। লিখিত বক্তব্য পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে।’
প্রসঙ্গত, নতুন ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির আগে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটের রায়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচলককে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের পরই মাউশি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আপিল করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১৮৮ জনে। অর্থাৎ এই চার বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১০ লাখের বেশি। শিক্ষার্থী কমার এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংস্থাটি শিক্ষার্থী কমার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করেনি।
ব্যানবেইস বলছে, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে ব্যানবেইসের নিজস্ব কোনো পর্যালোচনা নেই। এই তথ্য নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কাজ করতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান গণমাধ্যমকে বলেন, মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ সবাই জানে। করোনা প্রতিঘাতের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে শিক্ষার্থীদের অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তাদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, মাধ্যমিকে কমে যাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ত। মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমলেও কলেজ পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে। একই সময়ে মাদ্রাসায় প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী বেড়েছে। একইভাবে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমেও শিক্ষার্থী বেড়েছে।
ব্যানবেইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।
ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।
প্রসঙ্গত, সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।
এএম/
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্নমানের স্যানিটেশন ও হাইজিন এবং সীসা দূষণে অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক থেকে বাংলাদেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত দ্য বাংলাদেশ কান্ট্রি এনভায়রেন্টমেন্ট অ্যানালাইসিস (সিইএ) রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণ, অনিরাপদ পানি, নিম্ন মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি এবং সীসা দূষণে বছরে দুই লাখ ৭২ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঘটে। পরিবেশগত কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির ১৭ দশমিক ৬ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘরের ও বাইরের বায়ুদূষণে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যা ৫৫ শতাংশ অকালমৃত্যুর জন্য দায়ী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ এবং ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক গণমাধ্যমে বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলে তা টেকসই হতে পারে না। শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির গতিপথ টেকসই রাখতে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে বাংলাদেশ কোনোভাবেই পরিবেশকে উপেক্ষা করতে পারবে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে পরিবেশের ক্ষয় রোধ এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সিইএ রিপোর্টে আরও বলা হয়, পরিবেশ দূষণ শিশুদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। সীসা বিষক্রিয়া শিশুদের মস্তিকের বিকাশে অপরিবর্তনীয় ক্ষতি করছে। এর ফলে বছরে প্রাক্কলিত আইকিউ ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ২০ মিলিয়ন পয়েন্ট। গৃহস্থালিতে কঠিন জ্বালানির মাধ্যমে রান্না বায়ুদূষণের অন্যতম উৎস এবং তা নারী ও শিশুদের বেশি ক্ষতি করছে। শিল্পের বর্জ্য এবং অনিয়ন্ত্রিত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য এবং অন্যান্য উৎস থেকে আসা অপরিশোধিত ময়লাযুক্ত পানির কারণে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানির গুণগত মানের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
এতে বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সময়মতো এবং জরুরি হস্তক্ষেপ, উন্নত পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) এবং সীসা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রতি বছর ১ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি অকালমৃত্যু ঠেকাতে পারে। সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ, রান্নায় সবুজ জ্বালানি ব্যবহার এবং শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ বায়ু দূষণ কমাতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রতিবেদনের সহ-লেখক আনা লুইসা গোমেজ লিমা বলেন, সময়মতো এবং সঠিক নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ দূষণের ধারা পাল্টে ফেলতে পারে। পরিবেশ সুরক্ষা জোরদারে পদক্ষেপ এবং রান্নায় সবুজ জ্বালানির জন্য বিনিয়োগ ও অন্যান্য প্রণোদনা, সবুজ অর্থায়ন বাড়ানো, কার্যকর কার্বন মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং সচেতনতা বাড়ানো দূষণ কমাতে পারে এবং এর ফলে সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জন হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার জন্য সুশাসন জোরদার ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে এই রিপোর্টে পরিবেশগত অগ্রাধিকারসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে, বিভিন্ন পদক্ষেপের মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ, পরিবেশ নীতি পদ্ধতিগুলোর বৈচিত্রাকরণ ও জোরদারকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদারকরণ এবং সবুজ অর্থায়নের জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ এর পরিবেশকে রক্ষা করতে পারে।
এএম
জাতীয়
ইউনেস্কোর পুরস্কারের প্রসঙ্গে যা বললো ইউনূস সেন্টার
চলমান বিতর্কের মধ্যে আজারবাইজানে একাদশ বিশ্ব বাকু ফোরামে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘ট্রি অব পিস পুরস্কার’ নিয়ে একটি বক্তব্য...
৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে আজ
ঈদযাত্রায় ষষ্ঠ দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ যারা অগ্রিম টিকিট কিনছেন তারা আগামী ৮ এপ্রিল...
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
জালিয়াতি যেনো পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের । প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯...
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫...
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
ইউনেস্কোর পুরস্কারের প্রসঙ্গে যা বললো ইউনূস সেন্টার
জাবির হলে সিগারেট থেকে আগুন, এক ছাত্রীকে বহিষ্কারের সুপারিশ
বজ্রপাতে স্কুল ছাত্র নিহত
সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৬ সেনাসদস্য নিহত
ইসরায়েলি বর্বরতা আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
৮ এপ্রিলের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে আজ
সেতু থেকে ১৬৫ ফুট নিচে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ, লড়বেন সাড়ে ৩ লাখ
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
নির্বাচনে হেরেছেন ২৩৮ বার, ফের লড়াইয়ের প্রস্তুতি
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ6 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- আন্তর্জাতিক6 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- বাংলাদেশ5 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- বাংলাদেশ5 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- জাতীয়4 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আন্তর্জাতিক7 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক7 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন