সিলেট
সিলেট নগরী রাতেই জনসমুদ্রে পরিণত হবে: মেয়র আরিফ
সিলেটে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে গণসমাবেশস্থলে সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে আলিয়া মাদরাসা মাঠ পরিদর্শনে আসেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন বলেন, আগামীকাল সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। কিন্তু আজ শুক্রবার রাতের মধ্যেই সিলেট নগর জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘বাধা-বিপত্তি মাথায় নিয়েই আমাদের সব কাজ গেলো ১৩ বছর ধরে করছি। আপনারা দেখেন, আগামীকাল আমাদের সমাবেশ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই মানুষ চলে আসছেন। এটা জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মাঠেরও কাজও শেষ। জুমার নামাজের পরে থেকে এই সিলেট নগরী একটি জনসমুদ্রে পরিণত হবে। যেটা আপনারা আগামীকাল আশা করছেন, সেটা আজ রাতের মধ্যেই দেখবেন যে পুরো শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়বে।’
এদিকে সমাবেশে আশা নেতাকর্মীদের জন্য চলছে রান্নাবান্নার কাজ। বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করছেন প্রবাসী বিএনপির কয়েকজন নেতা। মাঠের প্রবেশমুখে ডা. জোবায়দা রহমান ফ্রি ফুড ক্যাম্প থেকে পানি, ফলমূল, রুটি, কলা ও খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সরফরাজ আহমেদ শরফু ও সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মামুনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেয়র মাঠ পরিদর্শনের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, বর্তমান সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট
নিভে গেলো মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ সোনিয়ার জীবনের আলো
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ঘরের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার মারা গেল শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২)। এ নিয়ে একই পরিবারে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়জনে।
বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরে সোনিয়ার মৃত্যু হয়।
সোনিয়া গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনও মারা যান। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সোনিয়াই বেঁচে ছিল।
সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামা আব্দুল আজিজ।
তিনি বলেন, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।
ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির বলেন, সোনিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টিতে সোনিয়াদের টিনের বসতঘরের ওপর ১১ হাজার ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার বাবা বাক্প্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০), মা শিরি বেগম (৪৫), বড় বোন সামিয়া সুলতানা (১৪), সাবিনা আক্তার (১১) ও ছোট ভাই সায়েম আহমদ (৭) মারা যায়। এ দিন বিকেলে স্থানীয় হাজী ইনজাদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে ওই পাঁচজনের জানাজা হয়। এতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। পরে স্থানীয় কবরস্থানে পাশাপাশি তাদের দাফন করা হয়।
দেশজুড়ে
মাছ ধরার সময় পেটে ঢুকে যাওয়া কুঁচিয়া জীবন্ত মিললো অপারেশনে
সিলেটে মাছ ধরার সময় পায়ুপথে জীবন্ত কুঁচিয়া ঢুকে যায় এক জেলের পেটে। অপারেশন করে ২৫ ইঞ্চি লম্বা ওই কুঁচিয়া যখন বের করা হয়, তখনও সেটি জীবন্ত ছিলো।
গত রোববার (২৪ মার্চ) রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে এ অপারেশন করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ এর প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলম।
ডা. কাজী জানে আলম জানান, রোববার ওই রোগী হাসপাতালে এসেছিলো। লোকটি মাছ ধরতে পানিতে নামলে তার পায়ুপথ দিয়ে জ্যান্ত একটি কুঁচিয়া মাছ ঢুকে যায়। রোগীর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিওমেক হাসপাতালে রাত সাড়ে দশটার দিকে অস্ত্রোপচার করা হয়, অস্ত্রোপচার চলে রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত। পরে ২৫ ইঞ্চির কুঁচিয়া মাছটি পেট থেকে বের করা হয়।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়, ২৩ মার্চ নিজ এলাকায় হাওরে মাছ ধরতে যান জেলে সমরা মুন্ডা। দুই হাতে দুটি কুঁচিয়া থাকা অবস্থায় তিনি কাদামাটিতে আটকে পড়েন। এসময় হাতে থাকা একটি কুঁচিয়া তার প্যান্টের ভেতরে ঢুকে যায়। আরেকটি কাদায় পড়ে। তখন তিনি অনুভব করেন তার পায়ুপথে কিছু ঢুুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে বাড়িতে চলে যান। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি পেটে ব্যথা অনুভব করেন। একপর্যায়ে পেটব্যথা প্রকট আকার ধারণ করায় তিনি স্থানীয় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানেও কোনো সমাধান না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
চিকিৎসরা জানিয়েছেন, জীবন্ত কুঁচিয়া সমরা মুন্ডার পেটের ভেতরে ছিদ্র করে ফেলেছিলো। যে কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে ছিলেন রোগী। এ ধরনের ঘটনা বিরল ও অবিশ্বাস্য বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য,অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।
সিলেট
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ীর একটি ঘরের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, বাকপ্রতিবন্ধি ফয়জুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী শিরি বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬), সাদিয়া বেগম (১৩) ও ছেলে সায়েম মিয়া (৮)। এ ঘটনায় সোনিয়া আক্তার নামে ৭ বছরের একটি মেয়ে বেঁচে আছে। চিকিৎসার জন্য স্থানীয়রা সোনিয়াকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন ও গোয়াল বাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাছুম বলেন, রাত ৩টার দিকে ঝড়ের সময় তাদের ঘর থেকে তিনশ হাত দূরে বজ্রপাত পড়ে। বজ্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যায়। সেহরি খাওয়া শেষে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ভোর ৫টার দিকে বিদ্যুৎ আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরে আগুন লেগে যায়। এসময় বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বের হওয়ার জন্য দরজা খুলতে যান। দরজাতে বিদ্যুৎ থাকায় একে এক পাঁচজনই মারা যান।
ইউপি সদস্য বলেন, বজ্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ঘরের উপরে থাকা পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে টিনে পড়ে। টিনের ঘর হওয়ায় পুরো ঘরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তাদের উদ্ধার করেন। বিকাল ৪টার দিকে জানাযা শেষে তাদের দাফন করা হবে।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন