ঢালিউড
বীরকে গর্ভে নিয়ে ‘বীর’ সিনেমার শুটিং করেছি: বুবলি
বাবা-মা হয়েছেন এ সংবাদ সম্প্রতি গণমাধ্যমে এনেছেন ঢাকাই সিনেমার তারকা জুটি শাকিব-বুবলী। আড়াই বছর আগে তাদের ঘর আলো করে এসেছে ছোট্ট রাজপুত্র শেহজাদ খান বীর। সন্তানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেটি টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়।
প্রিয় তারকাদের ব্যক্তিজীবনের নানান ইস্যু জানতে অনুরাগীদের আগ্রহের মাত্রা বেশিই থাকে। সন্তানের দেখা পেয়ে তারা শাকিব-বুবলীর প্রেম-বিয়ের খবর জানতেও উৎসাহী হয়ে পড়েন। আর এ জন্য বিয়ে ও সন্তান জন্মের তারিখ প্রকাশ করেছেন নায়িকা। এবার জানালেন শাকিবের সঙ্গে প্রেমের শুরুর কথা।
গণমাধ্যমকে বুবলী বলেন, ‘বসগিরি’র আগেই ‘প্রিয়া রে’ নামের একটি ছবিতে অভিনয়ের ব্যপারে কথা হচ্ছিল। ফলে শুটিংয়ের আগে থেকেই শাকিবের সঙ্গে কিছুটা জানাশোনা হয়েছিল। পরবর্তীতে ‘বসগিরি’র শুটিংয়ের শেষের দিকে তাদের প্রেমের সূত্রপাত হয়। একটা সময় বিয়ে, তারপর সন্তান।
নায়িকা আরও জানান, আমি কিন্তু সন্তানের বিষয়টি গোপন করিনি। যদি গোপন রাখতে চাইতাম, তা হলে বীরকে গর্ভে নিয়ে শুটিংয়ে যেতাম না। আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরই আমার কাজের সেক্টরের অনেকেই এ ব্যাপারে কমবেশি জানতেন। এটি ছিল ওপেন সিক্রেট। তাছাড়া আমাদের দুজনের পরিবার, কাছের মানুষ- সবাই তো জানতেন। সুতরাং এটিকে গোপন বলা যায় না।
এক সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেন, শাকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদ এ ধরনের গুজব খুবই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে, যার কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হলে এখন কেন আমরা বিয়ে আর সন্তানের বিষয়টি সামনে আনব? তাহলে তো আট মাস আগেই আনতাম। আসলে কে বা কারা এ ধরনের ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছেন তা বোধোগম্য নয়।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানের বিষয়টি সামনে আনার পর থেকে নানা ভিত্তিহীন গুজব অনেকে সামনে এনে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাইছেন, যা আসলে ঠিক নয়। আমরা বিয়ে করেছি, সন্তান পৃথিবীতে এসেছে সুন্দর একটি পরিবারের জন্য। সুন্দরভাবে সংসার করার জন্য, বিচ্ছেদের জন্য নয়। কাজেই এ ধরনের খবরের কোনো ভিত্তি নেই।
ঢালিউড
মোশাররফ করিমের সাত জেলায় সাত বউ!
ট্রাক ড্রাইভার আব্বাসের সাত জেলায় থাকা সাত বউ। আব্বাস একজন দুর্দান্ত প্রেমিক মানুষ। এক বউয়ের থেকে অপর বউকে গোপন রেখে সে সুনিপুণভাবে সাত সংসার সামলায়। এদিকে একজন বৃদ্ধের সাথে বিয়ে হওয়া থেকে সদ্য যুবতী সুন্দরীকে বাঁচানোর পর সুন্দরী আব্বাসের প্রেমে পড়ে ও তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আব্বাস জানে আট মানে সর্বনাশ। এতে আব্বাস ওই সুন্দরীকে বিয়ে করতে না চাইলেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে সুন্দরীকে বিয়ে করতে হয়। এরপর আব্বাসের সাত সংসারে শুরু হয় গন্ডগোল।
এমনই গল্পে নির্মিত হচ্ছে ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। গল্পের আব্বাস চরিত্রে অভিনয় করছেন মোশাররফ করিম। হইচইয়ের এই সিরিজটি নির্মাণ করছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই তাদের নতুন সিজনে ছয়টি সিরিজের ঘোষণা করেছে। ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’তারই একটি।
হইচই মিট ২০২৪ প্রসঙ্গে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, হইচই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ঢাকা মেট্রো সিরিজটি রিলিজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এরপর আমরা আরও ১৮ টি সিরিজ রিলিজ করেছি যা বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত হয়েছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে হইচই এর লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের কাছে তাদের নিজের ভাষায় মানসম্মত বিনোদন পৌঁছে দেয়া। পাশাপাশি আমরা দর্শকদের জন্য পছন্দসই কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের সাথে কাজ করছি। আমরা এ বছর ছয়টি কনটেন্টের ঘোষণা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।
ঢালিউড
যিশু না নিশো, কে শাকিবের ‘তুফান’এ ভিলেন?
রায়হান রাফি বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত তরুণ নির্মাতা। ইতোমধ্যে দর্শকদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে। এবার এই নির্মাতা ঢাকাই চলচ্চিত্রের নাম্বার ওয়ান নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে নির্মাণ করতে যাচ্ছেন নতুন চলচ্চিত্র ‘তুফান’।
ছবিটির ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই সিনেমাটি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। সিনেমা-সংশ্লিষ্টরা গোপন রাখছেন এর অভিনয় শিল্পীদের নামও। ক’দিন আগে জানা যায়, সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন মাসুমা রহমান নাবিলা ও ভারতের নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। এবার জানা গেছে, ‘তুফান’-এ দেখা যাবে কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তকে। তিনি হাজির হবেন ভিলেন চরিত্রে।
এর আগে গুঞ্জন রটে- সিনেমাটিতে খল নায়কের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে আফরান নিশোকে। তবে এর পরিচালক রায়হান রাফি তখন বিষয়টি নাকচ করে দেন।
এদিকে সিনেমার একাধিক সূত্র বলছে, নিশোর বদলে যিশুকে নেয়া হচ্ছে এতে। তবে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ আছে নির্মাতা থেকে শুরু করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সবাই।
যীশুর থাকা না থাকা নিয়ে আলফা আই–এর কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল বলেন, আমি নিজেই খবরটি প্রথম শুনলাম। যীশুর সঙ্গে তুফানের বিষয়ে আমাদের কোনো কথা হয়নি। যারাই সংবাদটি দিয়েছেন, তাদের কাউকে আমরা কোনো তথ্য দিইনি।
‘তুফান’ সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে বাংলাদেশ-ভারতের তিনটি সংস্থা এসভিএফ, আলফা আই এবং চরকি।
ঢালিউড
সিতারা-ই-ইমতিয়াজ পদক নিলেন অভিনেত্রী শবনম
পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ গ্রহণ করলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শবনম। গত শনিবার রাজধানীর ইসলামবাবাদে দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি।পাকিস্তানের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মানসূচক পুরস্কার এ দেওয়া হয়।
সম্মাননা প্রাপ্তিতে অনুভূতি জানিয়ে ৮১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে এমন একটি সম্মাননা পেয়ে তিনি গর্বিত। বাংলাদেশের মেয়ে হয়ে পাকিস্তানের সিনেমায় সম্মানের সাথে কাজ করেছেন। এটাই তার কাজের স্বীকৃতি। পুরস্কারটি গ্রহণ করার সময় চারিদিকে করতালিতে মুখর হয়ে উঠে। এ দৃশ্য ভুলবার না বলেও তিনি জানান।’
চিত্রপরিচালক এহতেশামের ‘এদেশ তোমার আমার’ ছবি দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন শবনম। ওই ছবিতে নৃত্যে অভিনয়ের সুযোগ দেন।এহতেশামের আরও কিছু সিনেমায় অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবেও অভিনয় করেন শবনম। কিন্তু এহতেশামের পাশাপাশি পরিচালক মুস্তাফিজের নজর কাড়তে সক্ষম হন অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেই। মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬১ সালে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এতে তিনি ঝর্ণা বসাক থেকে ‘শবনম’ নাম ধারণ করেন।
তবে উর্দু চলচ্চিত্রে তাকে তারকাখ্যাতি এনে দেন পরিচালক এহতেশাম। ১৯৬৮ সালে তার পরিচালিত চান্দা ছবিতে অভিনয়ের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে যান শবনম। তার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য চান্দা সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হিট হয়। পাকিস্তানে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান এই অভিনেত্রী।পাকিস্তানের সিনেমায় তার অবদান এতোটাই যে, সেখানে ‘মহানায়িকা’ও বলা হয় শবনমকে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে শবনমকে ঘিরে ছবির প্রচুর লগ্নি থাকায় দেশের মাটিতে ফিরতে পারেন তিনি। ১৯৭১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সময় তাকে রাখা হয় কঠিন নজরদারিতে। পরবর্তীতে জন্মভূমিতে ফিরলেও অভিনয়ের জন্য আশা-যাওয়ার মধ্যেই থেকেছেন শবনম। ততদিনে পাকিস্তানের ইন্ডাস্ট্রি শবনমনির্ভর হয়ে ওঠে। ১৩টি নিগার আর ৩টি জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পারও শবনম পাকিস্তানে স্থায়ী হননি; ফেরেন আপন ভূমিতেই।
ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শবনম পাকিস্তানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। সেখানে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত একচ্ছত্র বিস্তার করেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত তিন দশক ধারাবাহিকভাবে একটি ইন্ড্রাস্টিতে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন শবনম। তিনি মোট ১৭০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে ১৫২টিই উর্দু সিনেমা। মাত্র ১৪টি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন শবনম। আর পাঞ্জাবি ভাষায় তার অভিনীত ছবির সংখ্যা ৪টি।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- আবহাওয়া7 days ago
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ কবে জানালো নাসা, দিন হবে রাতের মতো
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন