আন্তর্জাতিক
টোঙ্গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির সতর্কতা জারি
প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ টোঙ্গায় আবারও ৭ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে সুনামি হতে পারে বলে দেশটিজুড়ে শতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতের তথ্য জানা যায়নি।
দেশটির রাজধানী থেকে ২১১ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এরপরই সেখানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। এরই মধ্যে দেশটির সরকার সেখানকার নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্খল ছিল মাটির ২৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ও তা থেকে সৃষ্ট সুনামিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় টোঙ্গার কিছু দ্বীপ।
ধ্বংস হয়ে যায় ওই অঞ্চলের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি। ১৭১টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটির মাত্র ৪৫টি দ্বীপে জনবসতি রয়েছে।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন নষ্ট হয় ১০০ কোটি মানুষের খাবার
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ। তবে এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) প্রকাশিত জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) ‘ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স রিপোর্ট ২০২৪’ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক–পঞ্চমাংশ।
আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয়। জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা।
খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে, যার পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।
ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।
এধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।
এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।
ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।’
খাবার অপচয়ের আরেকটি কারণ হিসেবে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করে সোয়ানেল বলেন, উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।
উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক
হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা ২ ফিলিস্তিনিকে
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। গেলো ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার নিরীহ মানুষ। এবার ইসরায়েল বাহিনীর এক নৃশংস আচারনের দৃশ্য সামনে এলো।
কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভিডিও ফুটেজ দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু’জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।
مشاهد مروعة لإعدام جنود إسرائيليين مدنيين فلسطينيين أثناء محاولتهم العودة لشمال قطاع غزة pic.twitter.com/s5CDRV4NOt
— أنس الشريف Anas Al-Sharif (@AnasAlSharif0) March 27, 2024
এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।
আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক
ভোর না হতেই গুলির শব্দে কাঁপলো কলকাতা বিমানবন্দর
ভোরের আলো ফোটার কিছুক্ষণ পরেই গুলির শব্দে কেঁপে উঠলো কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। হঠাৎ বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর গেটের কাছ থেকে গুলির শব্দ আসে। এতে হইচই পড়ে যায় গোটা এলাকায়। লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, কর্তব্যরত এক সিআইএসএফ জওয়ান মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। তিনি নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে খবর পুলিশ। চিনার পার্কের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহত ওই জওয়ানকে। তার নাম সি বিষ্ণু (২৫), বাড়ি তেলঙ্গানায়। ২০২২ থেকে সিআইএসএফ-এ কর্মরত তিনি।
জানা যায়, এদিন ভোর ৫টার দিকে কলকাতা বিমানবন্দরের ৫ নম্বর গেটের ওয়াচ টাওয়ার থেকে গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে যান সেদিকে।
সিআইএসএফ জানিয়েছে, কর্মীরা টাওয়ারে উঠে দেখেন তাদের এক সহকর্মী মাটিতে লুটিয়ে রয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। পাশেই পড়ে রয়েছে তার সার্ভিস রাইফেল। দ্রুত ওই রক্ষীকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
সিআইএসএফ কর্মীরা জানিয়েছেন, বিষ্ণুর গলায় গুলি লেগেছে। তিনি সার্ভিস রাইফেল থেকে নিজের থুতনির নিচে গুলি চালিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ওই জওয়ানের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, কর্তব্যরত অবস্থায় সিআইএসএফ জওয়ানরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারেন না। তবে বিষ্ণুর মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট খুলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কর্মক্ষেত্রে কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে তিনি হতাশ ছিলেন কি না, কিংবা অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন