Connect with us

উত্তর আমেরিকা

তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে

Avatar of author

Published

on

১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের বলা হয় টিনএজার। ১৯৫০ এর দশকে বেশ জনপ্রিয় হয় টিনএজার শব্দটি। এই বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর পরিবর্তন ঘটে ও প্রভাবিত হয়। বিল ব্রাইসন তার স্মৃতিকথা দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অব থান্ডারবোল্ট কিড এ লিখেছেন, এই বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা বাড়ির বাইরে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ে। মাতাল হওয়া, গর্ভধারণ করা বা গাড়ি দুর্ঘটনা এসব আমেরিকান নাগরিকদের টিনএজারদের নিয়ে মূল আতঙ্কের বিষয়।

আজকাল, আমেরিকান কিশোর-কিশোরীরা যে ঝুঁকির সম্মুখীন হয় তা ভেতর থেকে আসে। ছেলেদের এখন দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার চেয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি। অপরিকল্পিত গর্ভাবস্থার মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। দেশটিতে দুর্ঘটনার পর এখন ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মৃত্যু হয় আত্মহত্যা করার কারণে। অর্থাৎ মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা।

কিশোর-কিশোরীদের মানসিক সমস্যা তরুণ বয়সে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধিতে প্রবল ভূমিকা রাখে। করোনা মহামারির আগে কম থাকলেও দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই প্রবণতা। ২০২১ সালে প্রায় অর্ধেক আমেরিকান মাধ্যমিক পড়ুয়া বলে তারা বিগত বছরে ক্রমাগত দুঃখ ও হতাশা অনুভব করেছে, যার পরিমাণ ২০০৯ সালের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেড়েছে।

পাঁচজনের মধ্যে একজনের আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করে এবং এই হার প্রায় ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে, ৬ শতাংশের চেয়ে ৯ শতাংশের জীবন শেষ করে ফেলার প্রবণতা বেড়েছে। তবে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের জন্য এই প্রবণতা অভূতপূর্ব ঘটনা নয়। তবে দশ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের জন্য আত্মহত্যার প্রবণতার হার আগের চেয়ে অনেক বেশি।

তরুণদের কাছে তাদের অনুভূতি নিয়ে আলোচনা করা আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যদি তাদের মধ্যে হতাশা বেড়ে যায় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে সেই হতাশা কম হয়। এটি আরও বৃহ্ত্তর স্বার্থে ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু সতর্কবার্তা হচ্ছে, গেলো কয়েক দশকে আমেরিকান তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার হার, চেষ্টা, আহত ও মৃত্যু বেড়ে যাচ্ছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) প্রাথমিক তথ্য বলছে, গেলো বছর, কোনো বয়সের বা গোষ্ঠীর মৃত্যু ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী পুরুষদের চেয়ে বৃদ্ধি পায়নি।

Advertisement

আত্মহত্যার প্রবণতার কারণগুলো স্পষ্ট বোঝার এটি শুরু মাত্র। স্বাভাবিকভাবে ধারণা করা হয়, শৈশবে দারিদ্র্য, পিতামাতার অসুলভ আচরণ বা পিতামাতার হতাশা এসবের কারণে কিশোর-কিশোরীদের আচরণে পরিবর্তন ঘটে। যদিও প্রকৃতপক্ষে, শৈশবের দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। কীভাবে তাদের জীবনমান বদলে যায় সেটি একটির সঙ্গে আরেকটির নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতা ও একাকীত্ব মূলত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।

কীভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করা যায় এবং আরও ভালোভাবে টিনএজারদের রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের যুক্তিসঙ্গত ধারণা রয়েছে। সব তরুণ-তরুণী সমান ঝুঁকির মধ্যে থাকে না। যদিও আমেরিকার মেয়েরা তাদের জীবন শেষ করার চিন্তা করে বা এটি করার চেষ্টা করার জন্য নিজেকে আহত করার শঙ্কা বেশি, তবে কিশোর ছেলেদের আত্মহত্যা করে মারা যাওয়ার প্রবণতা প্রায় তিনগুণ বেশি। বিশেষ করে যেসব তরুণ-তরুণী সমকামী তাদের আত্মহত্যার প্রবণতা তিনগুণ বেশি। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন যে শিশুরা গুরুতর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিল, যেমন অপদস্ত বা অবহেলা, তাদের সুখী শৈশব থাকলেও আত্মহত্যার প্রবণতা ২৫ গুণ বেশি।

ভৌগোলিক কারণও দায়ী তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতার পেছনে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, গ্রামীণ পরিবেশে বসবাসকারী শিশুরা যত্নের অভাবে উচ্চতর ঝুঁকিতে থাকে আত্মহত্যার ক্ষেত্রে। উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবকরা অন্য যে কোনো গোষ্ঠীর তুলনায় বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়। আলাস্কায় প্রতি লাখে তরুণদের বার্ষিক আত্মহত্যার হার ৪২ শতাংশ। যে কোনও রাজ্যের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ এবং জাতীয় হিসাবে গড়ে চারগুণ বেশি।

শুধু আমেরিকাতে নয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও মেক্সিকোসহ আরও অনেক দেশেই গেলো কয়েক দশকে তরুণদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে নিয়ে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছয়জনের মধ্যে একজনের মানসিক-স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা আছে। যেখানে ২০১৭ সালে তা ছিল নয়জনের মধ্যে একজনের। বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কিত একটি জার্নালের তথ্য বলছে, ২০১২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কিশোরদের একাকীত্ব বেড়েছে ৩৭টি দেশের মধ্যে ৩৬টিতে।

দুর্ভাগ্যজনক সত্য হলেও ব্যতিক্রমী ঘটনা হচ্ছে, আমেরিকায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। যদিও ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। ২০২১ সালে সেখানে প্রতি এক লাখ যুবকদের মধ্যে ৬ দশমিক ৪ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। যেখানে আমেরিকান তরুণ ১১ দশমিক ২ শতাংশ এ ধরনের পথ বেছে নেয়।

Advertisement

আমেরিকায় বন্দুক হাতে পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আত্মহত্যার জন্য ছেলেদের একটি সাধারণ ব্যাপার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা। যে কারণে সহজে ব্যাখ্যা পাওয়া যায়, কেন ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বেশি বন্দুক হামলায় মারা যায়। সুইজারল্যান্ডে, ২০০৩ সালের পর সামরিক-সার্ভিসে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার দ্রুত কমে যায় যখন দেশটি তার সেনাবাহিনীর আকার অর্ধেক করে দেয়। যেখানে প্রায়শই সৈন্যদের অস্ত্র বাড়িতে নিয়ে যেতে হতো। মহামারি চলাকালীন আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্রের বিক্রি বেড়েছে। যার দরুণ ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ, যাদের মধ্যে অর্ধেকই শিশু এবং বাড়িতে বন্দুক আছে। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকদের একটি বিশ্লেষণ বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে আমেরিকানদের আত্মহত্যা বৃদ্ধির জন্য বন্দুকই দায়ী।

তবে এই গল্পে শুধু বন্দুকই একমাত্র অংশ নয়। অন্যান্য কারণ যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব, জলবায়ু-পরিবর্তন নিয়ে হতাশাও প্রভাব ফেলে এতে। তাছাড়া আরও কিছু কারণ আছে, তরুণরা তাদের পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত সেটিও মুখ্য হয়ে ওঠে। সিডিসি বলছে, যে সব শিশু স্কুলে অবাধে মেলামেশা করে তাদের মানসিক জটিলতার মধ্যে পড়ার শঙ্কা ক্ষীণ এবং আত্মহত্যার প্রবণতাও ৫০ শতাংশের কম।

এই প্রতিরক্ষামূলক স্তর ভীতি তৈরি করতে পারে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্যাথরিন কেইস বলেন, কিশোরকালীন কার্যক্রমের ধরন যা সেই সামাজিক সংযোগের নির্দেশক হয়, বা আপনার সামাজিক বৃত্তে আশপাশের পরিবেশ ও অনুভূতি এমনভাবে তৈরি করবে যা কাঠামোগতভাবে পরিবর্তিত হয়।

আগে টিনএজাররা সনাতন পদ্ধতিতে যোগাযোগ বজায় রাখতো, যেমন খেলাধুলা, ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি। ১৯৭০ এর দশকে ১২তম ক্লাসের শিক্ষার্থী প্রতিদিনই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতো। ডক্টর কেইস গবেষণায় নিম্ন স্তরের সামাজিক কার্যক্রম ও বিষণ্নতার রিপোর্টের মধ্যে একটি সম্পর্কও খুঁজে পেয়েছেন।

একটি বিতর্ক জিইয়ে আছে, তা হলো সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের বিচ্ছিন্ন করে নাকি সংযোগের জন্য একটি নতুন বিকল্প তৈরি করে। স্কুলের পরিবেশের মতোই, অনলাইন অভিজ্ঞতা শিশুদের সাহায্য বা ক্ষতিও করতে পারে। সিডিসির তথ্য বলছে, কোভিডের সময় সহকর্মী, পরিবার বা অন্যান্যদের সম্পৃক্ততা স্কুলে লোকদের সঙ্গে সংযুক্ত অনুভূতির মতোই প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ফেলেছিল। সামাজিক মাধ্যমগুলো সে সময় তাদের কম একা বোধ করা থেকে বিরত রেখেছিল। তবে এটি আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, যেমন ১৪ বছর বয়সী ব্রিটিশ মলি রাসেলের আত্মহত্যার সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে ভিন্ন তথ্য। সামাজিক-মিডিয়ার ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু তার মৃত্যুর জন্য দায়ী, বলে উপসংহারে এসেছে।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

উত্তর আমেরিকা

আজ বিরল সূর্যগ্রহণ, দিন হবে রাত

Avatar of author

Published

on

সূর্যগ্রহণ

চলতি বছরের আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) বিরল সূর্যগ্রহণ হতে যাচ্ছে। এদিনের সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে। তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে কোটি কোটি মানুষ। কারণ, এই গ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যকে পুরোটাই ঢেকে দেবে। ফলে এদিন পৃথিবী দিনের বেলা কয়েক মিনিটের জন্য অন্ধকারে ঢেকে যাবে।

পূর্ণ সূর্যগ্রহণ কী?

সূর্যগ্রহণে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এমন অবস্থানে আসে যে, চাঁদ সূর্যের আলোকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেয়। এ সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য (কখনো কখনো কয়েক মিনিটের জন্যও) আকাশ এতটাই অন্ধকার হয়ে যায় যে, মনে হয় সেটা রাতের আকাশ। একেই বলা হয় পূর্ণ সূর্যগ্রহণ।

দেখা যাবে যেসব দেশে

মহাজাগতিক বিরল এই দৃশ্যের সাক্ষী হবে মাত্র তিনটি দেশ। ওইদিন সূর্যকে ঢেকে ফেলবে চাঁদ।

Advertisement

জানা গেছে, বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের কারণে সোমবার মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে ভরদুপুরে চাঁদের ছায়া সূর্যকে তিন মিনিট ৪০ সেকেন্ড ঢেকে ফেলায় এ তিন দেশের দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার।

৮ এপ্রিল স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ০৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। সেখান থেকে চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

জ্যোতির্বিদরা জানিয়েছেন, এ বছর পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সঙ্গে আরও একটি অন্যরকম বিরল দৃশ্যও দেখা যাবে। খালি চোখে সরাসরি দেখা যাবে জ্বলন্ত গ্রহদের। এমন কিছু গ্রহ দেখা যাবে, যাদের দেখা মেলাটা খুবই বিরল।

সতর্কতা জারি

সূর্যগ্রহণ পৃথিবীর একটা বড় অংশে দেখা যাবে না। তবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে আমেরিকার বেশির ভাগ জায়গায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেন্টাকি, ওহিও, পেনসিলভানিয়া, নিউ ইয়র্ক, ভারমন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ারে দেখা যাবে এই পূর্ণ সূর্যগ্রহণ। দেখা যাবে টেনেসি এবং মিশিগানের কিছু অংশ থেকেও।

Advertisement

এসব জায়গার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গ্রহণের সময় সরাসরি তাকানোর ফলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি গ্রহণের রশ্মি থেকে হতে পারে স্থায়ী অন্ধত্বও। ফলে সৌর ফিল্টার বা গ্রহণ চশমা ছাড়া গ্রহণ দেখতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

এসব জায়গার বাসিন্দাদের খাবার কিনে রাখতে বলা হয়েছে। গ্রহণ দেখতে আসা পর্যটকদের ভিড়ের কারণে যাতে স্থানীয়দের খাবারে টান না পড়ে, সে কারণেই এই ব্যবস্থার নির্দেশ।

এদিকে, সূর্যগ্রহণের এই দৃশ্য যেসব স্থান থেকে ভালো দেখা যায়, তার মধ্যে নায়াগ্রা জলপ্রপাত অন্যতম। কিন্তু সেদিন ওই অঞ্চলে সূর্যগ্রহণ দেখতে উৎসুক দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কানাডা অংশের আশপাশের শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গাজা নিয়ে আলোচনাকালে কেঁপে উঠল জাতিসংঘ ভবন

Avatar of author

Published

on

জাতিসংঘ সদর দপ্তর। ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা করার সময় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে জাতিসংঘ সদর দপ্তর। স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও আশপাশের অঞ্চলে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওইসময় গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘে নিযুক্ত সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জান্তি সোয়েরিপ্তো বক্তব্য রাখছিলেন।তার বক্তব্যের মাঝেই হঠাৎ করে জাতিসংঘ ভবনটি কেঁপে ওঠে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জাতিসংঘ কম্পনের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমিকম্পের সময় সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রধান জান্তি সোয়েরিপ্তো কথা বলছিলেন। ভূমিকম্পের সময় তিনি কথা বলা বন্ধ করে দেন। এসময় পাশ থেকে কেউ মজা করে বলেন, আপনি মাটি কাঁপাচ্ছেন।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নিউ জার্সিতে। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার পর নিউইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আর পুরো শহরজুড়ে ভূমিকম্পের সাইরেন বেজে ওঠেছিল।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা, ব্যবসা ও পুলিশ বিভাগে বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে: নিউ ইয়র্ক মেয়র

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

‘নিউইয়র্কের বাঙ্গালি কমিউনিটি দিন দিন আরো বড় হচ্ছে। আপনি চারপাশে তাকান দেখতে পাবেন ব্রঙ্কসে রয়েছে বাঙালি কমিউনিটির বড় একটি অংশ রয়েছে। ’-এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে   অবদান রাখা বাঙালি কমিউনিটির প্রশংসা করলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস।

জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কণ্ঠস্বর হতে যাওয়া নতুন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক সময়’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিসব উপলক্ষে উদ্বোধনী সংখ্যা প্রকাশ হলেও ২ এপ্রিল অনুষ্ঠানিক ভাবে পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক মেয়র।অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র এরিক এডামসকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান আইবিটিভি ইউএসএ’র  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  ও নিউইয়র্ক সময়ের সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলা হোসেন।

পরে উডসাইডের গুলশান টেরেসে ফিতা কেটে পত্রিকার উদ্বোধন করেন এরিক এডামস।এখন থেকে প্রতি শুক্রবার নিউইয়র্কবাসীর হাতে পৌঁছাবে নিউইয়র্ক সময়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র বলেন,  নিউইয়র্কের বাঙ্গালি কমিউনিটি দিন দিন আরো বড় হচ্ছে। চারপাশে তাকালে আপনি দেখতে পাবেন ব্রঙ্কসে রয়েছে বাঙালি কমিউনিটির বড় একটি অংশ। আপনারা কুইন্সে দেখবেন বাঙালি জণগণের বড় একটি অংশ বাস করছে। ব্রুকলিনেও আপনারা একই ধরণের দৃশ্য দেখতে পাবেন। বাঙালির সংখ্যা বাড়ছে।  শক্তিশালী হচ্ছে কমিউনিটি।  আপনারা দেখছেন মার্কিন  পুলিশ বাহিনীতে বাঙালিদের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে। বাঙালি কমিউনিটি ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে বাঙালিরা মনে করেন এখানে তারা একটি মার্কিন পরিবারের মতো বসবাস করছেন। বাঙালিরা বিশ্বাস রাখছেন মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থায়, বিশ্বাস রাখছেন ব্যবসা-বাণিজ্যে এবং জননিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি। আপনারা পুলিশ বাহিনী,  বিজনেস কমিউনিটি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মার্কিন বিশ্বাসের প্রতি আপনারা আস্থা রাখছেন।একারণে আমি মনে করি আইবিটিভি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘নিউইয়র্ক সময়’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশ করেছে, এটা কমিউনিটির উন্নয়ন, শক্তি এবং সামর্থের বহিঃপ্রকাশ। আশাকরি বাঙ্গালি কমিউনিটির ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ হয়ে উঠবে ‘নিউইয়র্ক সময়।’

Advertisement

পত্রিকাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান নাঈমা খান ও সিইও ডা. ইভান খান, ডেমোক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান,  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ,  মিনা সুইটসের চেয়ারম্যান রিফাতী ফারুকসহ কমিউনিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আইন-বিচার2 hours ago

গ্রামীণ ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের ডমুরিয়া শাখায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে সদস্যদের টাকা বিতরণ না করে আত্মসাতের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের তিন...

শিক্ষা-মন্ত্রণালয়-লোগো শিক্ষা-মন্ত্রণালয়-লোগো
জাতীয়7 hours ago

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস উদযাপনের নির্দেশ

আগামীকাল ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। দেশের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, মোনাজাত...

মাদকবিরোধী মাদকবিরোধী
অপরাধ7 hours ago

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩    

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...

ড. ইউনুস ড. ইউনুস
আইন-বিচার7 hours ago

স্থায়ী জামিন পাননি ড.ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থায়ী জামিনের...

জাতীয়22 hours ago

স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১০টায়...

বাংলাদেশ23 hours ago

সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি

দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ত্যাগ করে সন্যাসী হতে চলেছেন এক দম্পতি।এরই  ধারাবাহিকতায় নিজেদের  ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি সাধারণ জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন।...

আবহাওয়া, গরম আবহাওয়া, গরম
বাংলাদেশ23 hours ago

বৈশাখে পুড়ছে দেশ, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়ালো

দেশের বেশিরভাগ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই তাপমাত্রা নতুন নতুন রেকর্ড করছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে...

ডাকসুর-সাবেক-ভিপি-নুরুল-হক ডাকসুর-সাবেক-ভিপি-নুরুল-হক
আইন-বিচার24 hours ago

নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

চট্টগ্রামে হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (১৫...

দেশজুড়ে1 day ago

প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ১৮৯১ মনোনয়ন দাখিল

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে এক হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র...

জাতীয়1 day ago

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ডেকেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।  আগামী ২ মে এ অধিবেসন বসছে। আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয়...

Advertisement
মাহি
বিনোদন11 mins ago

এই অশান্তি আর ভাল্লাগে না, উফফ: মাহি

৫-শিশুকে-কান-ধরে-দাঁড়-করিয়ে-রাখা
ঢাকা32 mins ago

৫ শিশুকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন ইউএনও

ঢাকায়-বৃষ্টি
আবহাওয়া37 mins ago

যে কারণে ঢাকায় হঠাৎ বৃষ্টি

আমদানি-রপ্তানি40 mins ago

আরও ৫০ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দিলো সরকার

শ্রাবন্তী
বিনোদন43 mins ago

জিতুর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন শ্রাবন্তী

মরদেহ
দেশজুড়ে1 hour ago

ঠিকাদারির টাকা নিয়ে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ সংঘর্ষ, নিহত ১

আন্তর্জাতিক1 hour ago

ইরানি ড্রোন ভূপাতিত: সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জর্ডানিরা

ঢাকা মেডিকেল
ঢাকা1 hour ago

বাবার চড়ে শিশুর মৃত্যু

আইন-বিচার2 hours ago

গ্রামীণ ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আন্তর্জাতিক2 hours ago

পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন-বিরোধী দলের এমপির হাতাহাতি, কিল-ঘুষি

আন্তর্জাতিক6 days ago

বিড়াল বাঁচাতে গিয়ে একই পরিবারের ৫ জন নিহত

বাংলাদেশ3 days ago

ইসরাইল থেকে সরাসরি ঢাকায় বিমানের অবতরণ- যা জানা গেলো

আন্তর্জাতিক2 days ago

ইসরাইলে ইরানের হামলা: ভূমধ্যসাগরে ঢুকলো রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

দেশজুড়ে3 days ago

যুবকের পায়ুপথ থেকে বের করা হলো ৬ ইঞ্চি ডাব

ফায়ার-সার্ভিস
জাতীয়4 days ago

নিয়ন্ত্রণে এসেছে বাড্ডার আগুন

আন্তর্জাতিক2 days ago

ইরানে পাল্টা হামলার বিষয়ে যা জানালো বাইডেন

বাংলাদেশ6 days ago

যাত্রীদের মারধরে নয়, চালক-কন্ডাক্টরের মৃত্যু হয় যেভাবে

আন্তর্জাতিক7 days ago

রাতে নয়, দেশটিতে দিনে দেখা গেলো ঈদের চাঁদ!

আন্তর্জাতিক2 days ago

ইসরাইলে ইরানের হামলা: প্রতিক্রিয়া জানালো ভারত ও চীন

আন্তর্জাতিক2 days ago

নজিরবিহীন ইরানি হামলায় ইসরায়েলের যেসব ক্ষতি হলো

প্রধানমন্ত্রী-শেখ-হাসিনা
জাতীয়3 weeks ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল3 weeks ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি4 weeks ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি1 month ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

রেশমা
বাংলাদেশ1 month ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড1 month ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল1 month ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

অর্থনীতি2 months ago

গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!

অপরাধ2 months ago

ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা

সর্বাধিক পঠিত