পরামর্শ
নবজাতকটি সুস্থ আছে কি না তা জানতে যে টেস্ট করা জরুরি
সদ্যোজাতর সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম ত্রুটি এড়িয়ে গেলে বয়স বাড়লে অনেক সমস্যা হয়। নবজাতকটি সুস্থ আছে কি না তা জানতে কিছু জরুরি টেস্ট রয়েছে। সেগুলি শিশু জন্মের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই করে ফেলতে হয়।
টেস্টের রিপোর্ট আর প্রথম পাঁচটা বছর বেড়ে ওঠার প্রতিটি পর্যায়ে শিশুর ভাব প্রকাশ ঠিক হচ্ছে কিনা সেটা দেখে নেওয়া খুব জরুরি।
জন্মের পর যে টেস্ট করতেই হবে-
শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর করতে হবে ‘টিপ টু টো এক্সামিনেশন’। এর দ্বারা চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে মাথার তালু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়। কী কী টেস্ট রয়েছে?
প্রথমেই আসে মাথার আকার ও ওজনের সঠিক পরিমাপ করা। মাথার তালু খোলা না থাকলে মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
চোখে যে পথে আলো প্রবেশ করে তার দ্বারা দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা হয়, যাকে ‘রেড রিফ্লেক্স’ বলা হয়।
জন্মের পরই শ্রবণশক্তি পরীক্ষা হয়, যাকে ‘ইউনিভার্সাল নিউবর্ন হিয়ারিং স্ক্রিনিং’ বলা হয়। যে কোনও বয়সেই এই পরীক্ষা করা যেতে পারে।
নবজাতক শিশুর তালু কাটা আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়। অনেকেরই জন্মগত তালু কাটা থাকে। তাই পর্যবেক্ষণ জরুরি।
পরবর্তী ধাপে হার্ট ও ফুসফুসের যথাযথ পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। ফুসফুসের কোনও সমস্যা থাকলে পালস অক্সিমিটার অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি তীব্র হয়। বড় কোনও ত্রুটি জন্মের সময় জানা যায় এবং ছোট ত্রুটি জন্মের পর ২-৩ মাসের মধ্যে প্রকাশ পায়।
পেটের পর্যবেক্ষণে হাত দিয়ে ডাক্তার লিভার ও কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমের আন্দাজ করতে পারেন। কোনও শিশুর প্রস্রাব কম হলে ও অস্বাভাবিক ফুলে গেলে কিডনির সমস্যা আছে ধরে নেওয়া যায়।
জিনগত সমস্যা নির্ধারণে জন্মের তিন দিনের মাথায় থাইরয়েড টেস্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়। থাইরয়েড পরীক্ষা একটি শিশুর জন্য অপরিহার্য হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অনেক শিশুর সঠিক সময়ে থাইরয়েড পরীক্ষা না হওয়ায় কারণে তাদের মস্তিষ্কের বিকাশ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়।
অটিজম এড়াতে খেয়াল রাখুন-
এক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে রোগনির্ণয় জরুরি। সর্বদা লক্ষণের ওপর নজর দিতে হবে যা তিন বছর বয়সের আগেই প্রকাশ পায়। কী কী খেয়াল রাখবেন? সাধারণ শিশু স্তনদুগ্ধ পানের সময় মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে খায় কিন্তু অটিজমের শিশুরা নিজের জগতে ব্যস্ত থাকে, মায়ের সঙ্গে মুখোমুখি সংযোগ স্থাপন করে না, সামাজিকীকরণে ব্যর্থ হয়, কারও সঙ্গে স্বাভাবিক বাক্যবিনিময়ে বিরত থাকতে পছন্দ করে। যাদের খুব সামান্য অটিজম থাকে তারা জীবনের সমস্ত পর্যায় পেরিয়ে এলেও নিজের সঙ্গকে বেশি প্রাধান্য দেয়। বন্ধুদের থেকে আলাদা থাকে, একাকীত্ব পছন্দ করে। বাহ্যিক লক্ষণগুলো সম্পর্কে সর্বদা বাবা-মাকে সজাগ থাকতে হবে। তবেই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ডাক্তাররা পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা করতে পারেন।
জন্মের প্রথম পর্যায়ে শিশুর কোনও অঙ্গের দুর্বলতা বা অসুস্থতা ধরা পড়লে তা চিকিৎসা করা সম্ভব ও সমস্যার সমাধানও তাড়াতাড়ি হয়।
যে বিষয়গুলি নজরে রাখবেন –
জন্মের ১-৩ মাসের মধ্যে কারও কথা শুনে বা কারও দিকে তাকিয়ে হাসছে কি না।
১.৫-৩.৫ মাসের মধ্যে যেকোনও বস্তুর প্রতি আকর্ষণ রয়েছে কি না।
ছ’মাস বয়সে শিশু পিছন থেকে পেট ও বুকে ভর দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং ঘণ্টা জাতীয় শব্দে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে, এটা না করলে সজাগ হোন।
৫ মাসে হাত থেকে হাতে জিনিস দেওয়া-নেওয়া করবে।
৭ মাসে নিজে বসার এবং ফার্নিচারকে অবলম্বন করে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে।
১০-১২ মাস বয়সে অন্যের সাহায্যে হাঁটতে শুরু করা এবং ১৫ মাস থেকে সাধারণত পিছনদিকে হাঁটা ও অন্যের সাহায্যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা শুরু করবে।
উপরোক্ত লক্ষণ সমূহ শিশু বিশেষে একটু-আধটু এদিক-ওদিক হতে পারে। যে কোনও একটির বিলম্বে সত্বর ডাক্তারের পরামর্শ নিন কারণ শিশুর অনেক ত্রুটিই তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করলে সেরে যায়।
পরামর্শ
৫০ পেরিয়েও মা হওয়া যায়! বেশি বয়সে সন্তানধারণের উপায়গুলি কী?
পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কউর। ২০২২ সালে দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রয়াত হন সিধু। ছেলের মৃত্যুর দুই বছরের মাথায় দ্বিতীয় বার মা হলেন তিনি। রোববার সকালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন চরণ। গত মাসের শেষ দিকে প্রকাশ্যে আসে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর। ৫৫ বছর বয়সে মা হওয়ার খবরে শুরু হয় জোর চর্চা।
৫০ পেরিয়ে মা হওয়া সহজ নয়। একটা বয়সের পর আর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে কোনও আশার আলো নেই, এমনও নয়। ৫৫ বছর বয়সে মা হয়েছেন প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কউর। এর আগেও এমন অসাধ্য সাধনের উদাহরণ রয়েছে।
স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের নির্দিষ্ট একটা বয়স থাকে। ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে সন্তানধারণ করার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। মেয়েদের ঋতুস্রাবের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে শুরু করে ৪০-৪৫ পর্যন্ত ঋতুস্রাব চলার কথা। ৫০ তো দূরের কথা, ৩৫ বছরের পর সন্তানধারণ বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু নাওমি বা সিধুর মা চরণ কীভাবে পারলেন?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আসলে এই বয়সে প্রজননে সহায়ক হরমোনগুলির মাত্রা কমে যায়। তাই স্বাভাবিক নিয়মে সন্তানধারণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আইভিএফ পদ্ধতিতে ডিম্বাণু প্রতিস্থাপন করতে হয়। তার পর বাইরে থেকে হরমোনের সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের সহযোগিতা ছাড়া ৯ মাস পর্যন্ত সন্তানধারণ করা সম্ভব নয়। আসলে অনেকেরই ধারণা, ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণুও নিঃশেষিত হয়ে যায়। সত্যিই কি তাই?
প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সঙ্গে একটি করে ডিম্বাণু বেরিয়ে যায়। এই ভাবে প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত ৩৬০ থেকে ৩৭০টি ডিম্বাণু বেরিয়ে যায়। কিন্তু ডিম্বাশয়ে হাজার হাজার ডিম্বাণু থাকে। তার মধ্যে থেকে যদি ৩৭০টি বেরিয়েও যায়, তা হলেও অসুবিধা নেই। ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু থাকে। কিন্তু নিস্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে, একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কেউ চাইলে নিজের ডিম্বাণু হিমায়িত অবস্থায় রাখতে পারেন। ডিম্বাণু ফ্রিজ় করে রাখা হয়। ৫০-এর পর স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সন্তানধারণ একেবারেই সম্ভব নয়। হয় অন্য কারও থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করতে হবে, না হয় বিশেষ পদ্ধতিতে তা নিজের শরীর থেকে ডিম্বাণু নিয়ে নিষিক্ত করার পরই প্রতিস্থাপন করা হয় জরায়ুতে। তবে এই চিকিৎসাপদ্ধতি যথেষ্ট ব্যয়বহুল।
৫০-এর পর মা হওয়ার কিছু ঝুঁকিও থাকে। অনেকে ক্ষেত্রেই অনিচ্ছাকৃত গর্ভপাতের মতো ঘটনা ঘটে। ডায়াবিটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রি-ক্ল্যাম্পসিয়া অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যা অনেক সময় জীবনহানির কারণ হয়েও উঠতে পারে।
পরামর্শ
কিডনিতে সমস্যা বুঝবেন কী কী লক্ষণ দেখে
মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল কিডনি। এই অঙ্গের সমস্যা সময় থাকতে না সামলানো গেলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মুশকিল হলো, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলি এতটাই মৃদু হয় যে, অসুখ গভীর না হলে বুঝে ওঠা যায় না। জানুন, কী কী লক্ষণ থাকলে আগেভাগেই হতে হবে সতর্ক।
১. ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ মানেই ডায়াবিটিস নয়, এই উপসর্গ কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মূত্রের সঙ্গে রক্ত বার হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। মূত্রে অ্যালবুমিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়।
২. কাজকর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা কিডনির সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। বৃক্ক বা কিডনির মূল কাজই হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। শরীরে এই কারণে অক্সিজ়েনেরও ঘাটতি হয়। ফলে ক্লান্ত লাগে আক্রান্তের। এমনকি, দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাও। রক্তাল্পতার অন্যতম প্রধান লক্ষণই হল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্লান্তি।
৩. কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলি দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি।
৪. মানবদেহে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই উপাদানগুলির বড় ভূমিকা থাকে। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা ও হাড়ের সমস্যা কিডনির অসুখের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
৫. কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। অনেক সময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের ফলে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়। মূলত ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে।
পরামর্শ
রোজা রাখার যতো স্বাস্থ্য উপকারিতা
১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুসলমানরা নিয়মিতভাবে রমজান মাসে রোজা রেখে আসছেন। শুরু হয়েছে রমজান মাস। শুধু ধর্মীয় রীতি অনুসারেই নয়, রোজা রাখার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। যা শুনলে আপনাকে বিস্মিত করবে। প্রাচীন গ্রীকরাও শরীরকে সুস্থ রাখেতে রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছিল। এমনকি কিছু বিজ্ঞানীরাও রোজা রাখার মানসিক ও শারীরিক সুবিধা গবেষণার মাধ্যমে খুঁজে বের করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের বেলায় কম খাদ্য গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন- উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদরোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি ঘটায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রোজা রাখার আরও উপকারিতা সম্পর্কে-
মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে
মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে রোজ রাখলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মস্তিষ্কে নতুন কোষ গঠেনে সাহায্য করে ফাস্টিং। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটে। একইভাবে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত হরমোন কর্টিসলের পরিমাণ কমার কারণে মানসিক চাপও কমে।
নেশার আসক্তি কমে
সব ধরনের বদঅভ্যাস দূর করার রমজান মাস সেরা সময় হতে পারে। যাদের ধূমপানসহ চা বা কফির নেশা আছে তারা চাইলেই এ সময় বাজে অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলতে পারেন। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের তথ্যমতে, ফাস্টিংয়ের মাধ্যমে ধূমপান খুব সহজেই ত্যাগ করা যায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
• রোজা রাখার আগে যে কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করা জরুরি
• রমজানে সুস্থ থাকতে যে নিয়ম মানা জরুরি
রোজা রাখলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কার্ডিওলজিস্টরা এক সমীক্ষার মাধ্যমে দেখতে পান, রোজা রাখার ফলে লিপিড প্রোফাইলে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে উচ্চ মাত্রায় কোলেস্টেরলে ভুগছেন এমন রোগীদের রক্তে কোলেস্টেরল দ্রুত কমতে শুরু করে।
কম কোলেস্টেরল কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বাড়ায়, হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। রমজানের পর আপনি একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করেন, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
ওজন কমে ও নিয়ন্ত্রণে থাকে
ওজন কমানোর রেসে যারা দৌড়ান তারা ওজন কমালেও পরবর্তীতে তা আবারও বেড়ে যায়। কখনো কখনো অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দেয়। তবে জানেন কি, রমজানে রোজা রাখার কারণে পাকস্থলী ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয়ে যায়।
ফলে কম খাবারেও আপনি পেট ভরা অনুভব করবেন। ফলে অতিরিক্ত ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকবে না। তাই স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করার মাধ্যমে এ সময় খুব সহজেই কিন্তু আপনি ওজন ঝরাতে পারেন।
শরীর টক্সিনমুক্ত হয়
ফাস্টিং বা রোজার মাধ্যমে আপনি শরীরকে টক্সিনমুক্ত করতে পারবেন সহজেই। সারাদিন না খেয়ে থাকার মাধ্যমে পাচনতন্ত্রকে ডিটক্সিফাই করার সুযোগ মেলে রমজানে। যখন আপনার শরীর শক্তির জন্য জমিয়ে রাখা চর্বি পোড়াতে শুরু করে তখন এর সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিকারক টক্সিনগুলোও ধ্বংস হয়ে যায়। এ কারণে শরীর বিষমুক্ত করতে ফাস্টিংয়ের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: আলজাজিরা/গাল্ফনিউজ
এএম/
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন