রূপচর্চা
প্রিয়াঙ্কা যেভাবে তার রূপকে ফুটিয়ে তুলেন
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মানেই চুঁইয়ে পড়া সৌন্দর্য। লাল ঠোঁট, টোনড ফিগার, কোঁকড়া চুল আর মুখে লাস্যময়ী হাসি। সব মিলিয়ে কাত তামাম পুরুষকুল। সদ্য মা হয়েছেন। বয়সও চল্লিশ ছাড়িয়েছে। কিন্তু তার গহন গহিন রহস্য আজও ভেদ করতে পারেনি কেউ।
সাধারণের তুলনায় রূপচর্চায় বেশি সময় ব্যয় করেন সেলিব্রেটিরা। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু হাজার মেকআপের পরেও সেই মোহময়ী লুক সবার আসে না। এ জন্য কিছু কৌশলও লাগে। নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রূপচর্চার ভিডিও শেয়ার করে থাকেন এই বলিউড সুন্দরী।
এখানে প্রিয়াঙ্কার মেকআপের সেই রহস্য ফাঁস করা হল।
গ্রাফিক আইলাইনার : তাকে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, মুখে কিছুটা নাটকীয়তা চান প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এ জন্য তিনি ব্যবহার করেন উইংকড লাইনার। এটাই তাকে অন্যদের তুলনায় কিছুটা আলাদা করে দেয়।
হাইলাইটেড হেয়ার : হ্যাঁ, চুলে রঙ করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বেস কালার থেকে কিছুটা আলাদা হাইলাইটেড কালারও করেন। আর এটা যে তাকে আরও লাস্যময়ী করে তোলে সেটা বলাই বাহুল্য।
বিয়ের দিন : নিক জোনাসকে বিয়ের দিন প্রিয়াঙ্কার সাজ মনে আছে? ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচীর তৈরি লাল লেহঙ্গা, গলায় মুক্তোর মালা তো আছেই। সঙ্গে টানা ভুরু, লাল রঙে রাঙানো ঠোঁট, ছোট্ট টিপ আর আরব এবং ইজিপ্টের মেয়েদের মতো চোখের কোণে কালো ঘষা রঙ। বিয়ের দিন এভাবেই সাজতে হয়।
চুল : চুলে রঙ তো আছেই। কত রকমের ছাঁটেই না পিগি চপসকে দেখা গেছে। আসলে চুল নিয়ে যত রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায় সব করেছেন প্রিয়াঙ্কা। তার বার্তা পরিষ্কার, দু’দিনের জীবন, খুব করে বাঁচো।
বেরি লিপস : সাধারণত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মানেই লাল ঠোঁট। অবশ্য লিপস্টিকের রঙ নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম করেননি দেশি গার্ল। তবে তাঁর সবচেয়ে পছন্দ বেরি শেডের লিপস্টিক। মেকআপ কিটে না থাকলে কেনার এটাই সময়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা : ৪০ বছর বয়সেও প্রিয়াঙ্কার রূপ, টোনড ফিগারের রহস্য জানতে সদা উৎসুক তাঁর অনুগামীরা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া আজ দেশের অনেক মহিলার কাছেই অনুপ্রেরণার আরেক নাম। শুধু অনুপ্রেরণা নয়, তার পোশাক, সাজগোজ থেকে মেকআপ, অনুকরণও করেন অনেকেই।
ব্যবসায়ী মন : তবে শুধু অভিনয় বা ফিটনেস রহস্য নয়। ব্যবসায়ী প্রিয়াঙ্কার সাহস এবং নতুন কিছু করার উদ্যম যে কখনও হারাতে নেই সেটাও শেখার আছে। এই ক্ষেত্রেও সোনা ফলাচ্ছেন দেশি গার্ল।
View this post on Instagram
রূপচর্চা
যে টনিকে বন্ধ হবে চুল ওঠা, গজাবে নতুন চুলও
চুলের হাল ফেরাতে সজনে ডাঁটা ও পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তো বিউটি ওয়ার্লডেও এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এমনকী নানা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টেও সজনের ব্যবহার বহুলপ্রচলিত। বাড়িতেই মৌসুমি সজনে দিয়ে বানিয়ে ফেলুন হেয়ার টনিক। এই টনিক নিয়মিত চুলে লাগালেই শাইন ঝরে পড়বে, সেই সঙ্গে বাকি অনেক সমস্যাও চলে আসবে নিয়ন্ত্রণে।
চুলের জন্যে উপকারী সজনে
সজনেতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ, যা স্ক্যাল্পের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া সজনেতে উপস্থিত pterygospermin নামক এক উপাদান স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে একাই একশো।
সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের ফলিকলকে মজবুত করতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই চুল ঝরে যায় না।
রয়েছে এই গুণাগুণও
এই গাছের পাতায় ও ডাঁটায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। সেই সঙ্গে চুলের উপরে তৈরি করে এক সুরক্ষাস্তর।
সজনেতে জিংক, ভিটামিন এ এবং আয়রনের উপস্থিতিও মেলে। আর এই প্রতিটি উপাদানই চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চুলের বন্ধু পেঁয়াজও
পেঁয়াজের রসও যে চুলের জন্যে বেশ উপকারী, সে কথা আর নতুন করে বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। এতে উপস্থিত একাধিক উপকারী উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। এমনকী চুল পড়া কমায় বলেও একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজে উপস্থিত সালফার চুলের জেল্লা বাড়ায় আর স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্যও বজায় রাখে। তাই তো হেয়ার কেয়ারে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এই হেয়ার টনিক বানাতে আপনার প্রয়োজন পড়বে-
১) সজনে পাতা
২) সজনে ডাঁটা
৩) পেঁয়াজের রস
৪) আমন্ড অয়েল
বানানোর নিয়মটি শিখে নিন
প্রথমে সজনে ডাঁটাগুলি ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপরে সেই ডাঁটা পানিরত ভিজিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে ডাঁটা চিপে রস বের করে একটি সাদা কাপড়ে ছেঁকে অন্য পাত্রে রাখুন। এদিকে পাতাগুলিও ভালো করে ধুয়ে নিন। আর একটি গোটা পেঁয়াজের রস করে আলাদা পাত্রে রাখুন।
পরের ধাপগুলি আরও সহজ
একটি সসপ্যানে পরিমাণ মতো পানি ফোটান। পানি ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে দিয়ে একে একে যোগ করুন সজনে ডাঁটার নির্যাস এবং পেঁয়াজের রস। এবার তাতে সজনে পাতাগুলিও দিয়ে দিন। হালকা আঁচে প্রতিটি উপকরণ ফোটাতে থাকুন। শেষে জল অর্ধেক হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে পাত্র চাপা দিয়ে দিন।
ঠান্ডা হওয়ার পরে সুতির কাপড়ে এই মিশ্রণ ছেঁকে একটি পাত্রে রাখুন। এবার সেই মিশ্রণে যোগ করুন আমন্ড অয়েল এবং ২ ফোঁটা রোজমেরি অয়েল। প্রতিটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে কাচের শিশিতে তুলে রাখুন। তাহলেই তৈরি আপনার নিজস্ব হেয়ার টনিক!
ব্যবহার করুন এই নিয়মে
এই হেয়ার টনিক ড্রপারের সাহায্যে স্ক্যাল্পে ও চুলের গোড়ায় লাগান। হাতের আঙুলের চাপে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন। তারপরে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন এই নিয়ম মেনে চললেই উপকার মিলবে ষোলো আনা।
রূপচর্চা
ত্বকে জেল্লা আনতে দারুণ কাজ করে আলুর খোসা
চটজলদি ত্বকে জেল্লা আনতে দারুণ কাজ করে আলুর খোসা। তাই খরচ করে পার্লারে না গিয়ে এখন থেকেই আলুর খোসা ঘষতে শুরু করুন। কি কি কাজে লাগে জেনে নিন।
১. চোখের তলার কালি দূর করতে:
চোখের তলায় জমে থাকা কালো দাগকেই ইংরেজিতে বলে ‘ডার্ক সার্কেল’। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ডার্ক সার্কেল কমাতে দারুণ উপযোগী আলুর খোসা। খোসা পাতলা করে কেটে তার পর পরিষ্কার একটি কাপড়ের টুকরোতে মুড়ে মিনিট ২০ দিয়ে রাখতে হবে চোখে। দিন কয়েক নিয়মিত এই টোটকা মেনে চললেই ফিরবে চোখের আশপাশের জেল্লা।
২. ব্রণর সমস্যা কমাতে:
বিশেষজ্ঞদের মতে, আলুর খোসায় থাকে ক্যাটেকোলাজ নামক একটি উপাদান। এই উপাদানটি ব্রণর কালো দাগ কমাতে সহায়তা করে। আলুর খোসার মধ্যে আধ চামচ মধু মিশিয়ে মেখে নিন মুখে। মিনিট কুড়ি পর জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন মুখ।
৩. রোদে পোড়া ত্বকের পরিচর্যায়:
রোদে পোড়া ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে আলুর খোসা। রোদে পুড়ে যাওয়া অংশে আলুর খোসা পাতলা করে কেটে নিয়ে সরাসরি লাগানো যেতে পারে।
রূপচর্চা
নখ সুন্দর করার সহজ উপায়
পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর নখ আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির প্রকাশ করে। আর তাই হাত-পায়ের নখ পরিষ্কার রাখাটা জরুরি। নখে ময়লা জমে থাকলে দেখতে ভালো লাগে না। অনেক সময় নখ ধূসর কিংবা হলুদ হয়ে যায়। যা নখের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে আবার নানারকম রোগের বার্তা দেয়। এ সময় নখের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। রইলো প্রয়োজনীয় টিপস।
নারকেল তেলে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নখে ও আঙুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে নখ দ্রুত বড় হয় এবং সৌন্দর্য বাড়ে।
হার্বাল চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও নখ বাড়াতে সাহায্য করে। নখের কোমলতা বাড়ায়।
কমলালেবুর জুস খেলে শরীরে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে। যা নখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
লেবুর জুসে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি। যা দ্রুত নখ বাড়াতে সাহায্য করে। নখের সৌন্দর্য বাড়াতে লেবু ও অলিভ ওয়েলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটুখানি লেবুর রসের সঙ্গে তিন চা চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিয়ে গরম করে নিতে হবে। ওই মিশ্রণ দিয়ে নখ ম্যাসেজ করে নিলেই নখ হবে সুন্দর ও ঝকঝকে।
তিলের তেল নখের জন্য ভালো। এই তেল নখে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং নখে কিউটিকল পুষ্টি পায়। যা নখ বাড়তে সাহায্য করে। এছাড়া নিম ও আমলার তেলও নখের সৌন্দর্য বাড়াতে দারুণ কাজ করে।
নখও কিন্তু শরীরেরই অংশ। শরীর ভালো না থাকলে নখের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব নয়। একইভাবে শরীরের মতো নখের সুস্থতায় ভূমিকা রাখতে পারে সবুজ শাকসবজি। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেলস, প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে নখ ভালো থাকবে। খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন বাদাম, বীজ, দুগ্ধজাত খাবার ও মাছ।
এ সব কিছু মেনে চলার পরেও নখের অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন