অন্যান্য
বিশ্বে আরও ৯ হাজার প্রাণহানি
আসছে না বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজারের বেশি মানুষকে প্রাণহীন করেছে ভাইরাসটি। এতেকরে মৃতের সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে পৌনে ছয় লাখ মানুষের। এ নিয়ে বিশ্বে করোনা রোগীর সংখ্যা সোয়া ৬ কোটি ছাড়িয়েছে আজ। তবে অনেকটা পিছিয়ে সুস্থতার হার।
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ১৮২ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬২ জনে। নতুন করে ৯ হাজার ২৩১ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৮ জনে ঠেকেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থতা লাভ করেছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। এর মধ্যে গত একদিনেই বেঁচে ফিরেছেন ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ জন রোগী।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৮টি দেশ অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ২৫৪ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৩ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ৬২ লাখ ৯০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৩৭ জনের।
সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া ফ্রান্সকে টপকে চারে উঠেছে রাশিয়া। যেখানে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ২২ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৮ জন।
পাঁচে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫২ হাজার ১২৭ জনের।
ছয়ে থাকা স্পেনে ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ লাখ ৪৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৪৪ হাজার ৬৬৮ জনের।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারি গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এমতাবস্থায় নতুন করে চার সপ্তাহের লকডাউন চলছে সেখানে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ১৬ লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৫৮ হাজার ৩০ জনের।
একইপথে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দ্বিতীয় দফায় ক্রমেই করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় গত ৬ নভেম্বর থেকে সেখানে লকডাউন জারি হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৫ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৫৪ হাজার ৩৬৩ জনের। সুস্থতা লাভ করেছেন এক-তৃতীয়াংশ রোগী।
আরও পড়ুনঃ
মেক্সিকোয় করোনার ভুক্তভোগী ১০ লাখ ৯০ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৮৭৩ জনের। মৃত্যু হারে যা যেকোন দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।
এদিকে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী- আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৯ জন মানুষ। এর মধ্যে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ জন সুস্থতা লাভ করলেও প্রাণহানি ঘটেছে ৬ হাজার ৫৮০ জনের।
এস
অন্যান্য
পাপুয়া নিউ গিনিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ৫
ওসেনিয়া অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউ গিনিতে রিখটার স্কেলে শক্তিশালী ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত পাঁচজন নিহত ও সহস্রাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। পাপুয়া নিউ গিনির বন্যা কবলিত উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার ( ২৫মার্চ) দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ইস্ট সেপিক প্রদেশের গভর্নর অ্যালান বার্ড বলেছেন, এখন পর্যন্ত ১ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পে প্রদেশের বেশিরভাগ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্মীরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়নে কাজ করছেন।
সেপিক নদীর তীরবর্তী কয়েক ডজন গ্রাম বড় ধরনের বন্যার মুখোমুখি হয়েছে। এর মাঝেই রোববার ভোরের দিকে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
প্রাদেশিক পুলিশের কমান্ডার ক্রিস্টোফার তামারি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছে। তবে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগোযোগমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা যায়, কাঠের তৈরি শত শত বাড়িঘর প্রায় হাঁটু সমান পানিতে ভেঙে পড়েছে।
পাপুয়া নিউ গিনেতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তলদেশ ঘিরে থাকা ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ‘‘রিং অব ফায়ারে’’ দেশটির অবস্থান।
অন্যান্য
প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করলো অস্ট্রেলিয়া
প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া পবিত্র মাহে রমজান শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে। কাল সোমবার শাবান মাসের শেষ দিন হবে। আর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। ভৌগোলিক অবস্থান এবং আগে চাঁদ ওঠার কারণে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রোজার তারিখ ঘোষণা করে থাকে।
রোববার (১০ মার্চ) ইমামদের ফেডারেল কাউন্সিল, ফতোয়া ও শরীয়াহ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যান্ড মুফতির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গালফ নিউজ।
এদিকে আজ রোববার ১০ মার্চ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সৌদির রয়্যাল কোর্ট সাধারণ মানুষকে চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া আরব আমিরাতও তাদের জনগণকে একই আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ১০ মার্চ রমজানের চাঁদ দেখা যাবে না বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আন্তর্জাতিক জোতির্বিদ্যা কেন্দ্র। এর বদলে পরের দিন ১১ মার্চ চাঁদ দেখা যাবে এবং ১২ মার্চ থেকে মুসল্লিরা রোজা রাখা শুরু করবেন বলে জানিয়েছে তারা।
আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ মার্চ গ্রিনিচ সময় অনুযায়ী, সকাল ৯টায় চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ হবে। কিন্তু এদিন আরব বিশ্বের কোনো অঞ্চল থেকে খালি চোখে অথবা টেলিস্কোপ দিয়ে চাঁদ দেখা সম্ভব নয়। ওইদিন চাঁদটি ইসলামিক বিশ্বের শহরগুলো থেকে সূর্যাস্তের পরপরই ডুবে যাবে।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া পূর্ব গোলার্ধে অবস্থিত এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় সময়ের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে দেশটি। পশ্চিম গোলার্ধে যেসব দেশ রয়েছে সেগুলোর তুলনায় আগে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামিক চন্দ্র মাস শুরু হয়।
অন্যান্য
নারীদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ নিয়ে ভয়াবহ তথ্য দিলো ইউনিসেফ
নানা কারণে বিশ্বে ২৩ কোটির বেশি নারী যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়েছেন। আর ২০১৬ সালের পর অর্থাৎ গত ৮ বছরে যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার নারীর সংখ্যা সারা বিশ্বে বেড়েছে ১৫ শতাংশ বা ৩ কোটি।
৮ মার্চ (শুক্রবার) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল ইউনিসেফের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ এফজিএম (ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন) নামে পরিচিত। ক্লিটরিস (ভগাঙ্কুর) ও লেবিয়া মাইনরার আংশিক বা পূর্ণ অপসারণ এবং যোনিপথ সংকুচিত করতে সেলাই—এ প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
যৌনাঙ্গচ্ছেদের কারণে বড় ধরনের রক্তপাত বা সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া নারীর উর্বরতা সমস্যা, সন্তান জন্মদানে জটিলতা, মৃত সন্তান প্রসব ও যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক সম্পর্কের মতো দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে এফজিএম।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশ নারী যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার বেশি হচ্ছে , সেসব দেশে নারী যৌনাঙ্গচ্ছেদের ঘটনা কমছে খুব ধীরে। নারী যৌনাঙ্গচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে বেশি আফ্রিকার দেশগুলোতে; সেখানে ১৪ কোটির বেশি নারী এ ঘটনার শিকার হয়েছেন। এশিয়ায় ৮ কোটি ও মধ্যপ্রাচ্যে ৬ কোটি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিয়েরা লিওনে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোরী ও তরুণী যাঁরা যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার হয়ে থাকেন, তাঁদের সংখ্যা গত ৩০ বছরে ৯৫ শতাংশ থেকে কমে ৬১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ইথিওপিয়া, বুরকিনা ফাসো ও কেনিয়াতেও যৌনাঙ্গচ্ছেদের প্রবণতা বেশ খানিকটা কমার বিষয় লক্ষ করা গেছে।
তবে সোমালিয়ায় ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৯৯ শতাংশ, গিনির ৯৫ শতাংশ, জিবুতির ৯০ শতাংশ ও মালির ৮৯ শতাংশ যৌনাঙ্গচ্ছেদের শিকার হন।
ইউনিসেফ বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষতিকর এ চর্চা দূর করতে অগ্রগতির বর্তমান স্তর ২৭ গুণ বৃদ্ধি করতে হবে।
এ বিষয়ে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রুসেল বলেন, যৌনাঙ্গচ্ছের কারণে নারীর শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে, এছাড়া তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। তিনি বলেন, ‘কম বয়সে আরও বেশিসংখ্যক নারীর অঙ্গচ্ছেদের শিকার হওয়ার ঘটনা, জা এক উদ্বেগজনক প্রবণতা। এমনকি অনেক কন্যাশিশু পাঁচ বছরের আগেই এমন অঙ্গচ্ছেদের শিকার হচ্ছে।’
- ঢাকা7 days ago
প্রেমের টানে মামিকে নিয়ে পালালেন ভাগ্নে
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ4 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- জাতীয়3 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে