ফিচার
লাস ভেগাসের গা ছমছমে সংগ্রহশালা!
Published
1 year agoon
By
অনন্যা চৈতীআমেরিকার লাস ভেগাস মানেই নেশা ধরানো নৈশজীবন, জুয়া খেলার ‘স্বর্গ’, ক্যাসিনো-রেস্তরাঁ-হোটেল থেকে ঝাঁ-চকচকে শপিং মল। লাস ভেগাসের যততত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিনোদনের নানা উপকরণ। তবে আমেরিকার এ শহরে রয়েছে একটি গা ছমছমে সংগ্রহশালাও। তার টানেও নাকি অনেকে পা রাখেন লাস ভেগাসে। কী কী রয়েছে এই মিউজিয়ামে? কেনই বা এতে ঢুকলে ভয়ে কেঁপে ওঠেন অনেকে?
নেভাদার এই মরুশহরে হুল্লোড়ে সময় কাটানোর পাশাপাশি বহু পর্যটকই নাকি অন্তত এক বার ঘুরতে যান জাক বেগানস-এর মিউজিয়ামে।
হাজার হাজার বর্গফুট জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এ মিউজিয়ামে রয়েছে এমন এক ‘ভূতুড়ে’ পুতুল, যার দিকে তাকালেই নাকি প্রচণ্ড মাথাযন্ত্রণা শুরু হয়। অনেকের আবার বুকে ব্যথা করে। রয়েছে সেই চেয়ারটি, যাতে নাকি শেষ সময়ে বসেছিলেন প্রয়াত পপ-তারকা মাইকেল জ্যাকসন।
পুরো মিউজিয়াম জুড়ে এ ধরনের নানা সামগ্রীর ‘কুখ্যাতির’ কথা ফুটে উঠেছে টেলিভিশনে পর্দায়। সেই সঙ্গে খ্যাতি এনে দিয়েছে জাককেও।
জাকের ‘ভূতুড়ে’ মিউজিয়ামটি যে জমিতে রয়েছে, এককালে তার মালিক ছিলেন সিরিল এস নামে এক নামজাদা ব্যবসায়ী।
সেটা ছিল ১৯৩৮ সালের কথা। ১১,০০০ বর্গফুটের বিশাল জায়গায় উপরে এই মিউজিয়ামটি গড়ে উঠেছে। তিরিশের দশকের শেষে এই বিল্ডিংটি গড়ে তোলেন সিরিল।
তবে বহু বছর পর তা হাতবদল হয়ে জাকের দখলে আসে।
আধিভৌতিক বিষয়ে জাকের নিজেরও উৎসাহ কম নয়। ভূতুড়ে কারবার নিয়ে নিজের তৈরি খানা দশেক তথ্যচিত্র এবং টেলিসিরিজও তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। তার সবক’টিতেই অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
‘তেনাদের’ নানা কাণ্ড নিয়ে আমেরিকার টেলিভিশনে একটি জনপ্রিয় সিরিজও তৈরি করেছিলেন জাক। ২০০৮ সালে ‘ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার্স’ নামে একটি সিরিজ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে ওই একই নামে একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছিল। যার সহপ্রযোজক ছিলেন খোদ জাক।
তার টুপিতে অবশ্য আরও একটি পালক রয়েছে। নিজেকে ‘প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর’ হিসাবে পরিচয় দিতেও ভালবাসেন জাক। ভূত ধরে বেড়ানোই যার নেশা। ইতিমধ্যে এর উপরে বেস্টসেলার বইও লিখে ফেলেছেন।
জাকের মতো তার মিউজিয়ামটিও কম আকর্ষণীয় নয়। হাজার হাজার বর্গফুট ধরে ছড়িয়ে থাকা মিউজিয়ামে মোট ৩৩টি ঘর রয়েছে। তাতে টিকিট কেটে ঢোকার পর গাইডের সাহায্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন উৎসাহীরা। সেই মিউজিয়ামের এক একটি ঘরে নাকি রয়েছে ভূতুড়ে জিনিসপত্র।
জাকের মিউজিয়ামে পা রাখলেই দেখতে পাবেন মাইকেল জ্যাকসনের একটি চেয়ার। অনেকে যেটিকে মাইকেলের ‘প্রোপোফল চেয়ার’ বলে ডাকেন। ২০০৯ সালের ২৫ জুনের রাতে যে চেয়ারে বসে নাকি ‘প্রোপোফল’ সেবন করেছিলেন মাইকেল। ঘিয়ে রঙের ওই চেয়ারটি থাকত মাইকেলের শোয়ার ঘরে, ঠিক তার বিছানার কাছেই। লস অ্যাঞ্চেলেসের হোমবি হিলসের প্রাসাদে পপ-তারকার শেষ সময়ে তাকে পরীক্ষা করেছিলেন চিকিৎসক কনরাড মারে। মাইকেলের মৃত্যুতে কনরাডের ভূমিকাও এককালে আতশকাচের তলায় ছিল।
কনরাডের দাবি, গদিমোড়া ওই চেয়ারে বসেই বেশি মাত্রায় ‘প্রোপোফল’ নিয়েছিলেন মাইকেল। সে জন্যই কি মাইকেলের মৃত্যু হয়েছিল? এ নিয়ে রহস্য মেটেনি। তবে ওই ওষুধটি অ্যানাস্থেটিকের কাজ করে।
এমনকি, ঘুমের ব্যঘাত ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শে এর সেবন করেন অনেকে। ওই চেয়ারটিও নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছেন জাক।
জাকের মিউজিয়ামে পর্যটকদের সবচেয়ে টানে বোধ হয় ‘পেগি ডল’। অনেকের দাবি, দুনিয়ার সবচেয়ে ভূতুড়ে পুতুল এটি। একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতি খোপে বসানো হয়েছে পুতুলটিকে। সাদাটে ফ্রকের নিরীহ চেহারার একটি বাচ্চার মুখের আদলের এই পুতুলটিকে দেখলেই নাকি বুকে ব্যথা, মাথা ধড়ফড় করা শুরু হয়।
‘পেগি ডলের’ মধ্যে নাকি দুষ্ট আত্মা বাসা বেঁধে রয়েছে। জাকের টেলি-সিরিজেযত বার পেগির মুখ ভেসে উঠেছে, তত বারই নাকি দর্শকেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাদের গা শিরশির করে উঠেছে। একবার নাকি টিভিতে পেগিকে দেখার পর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এক মহিলার। তা নিয়েও শিরোনামে উঠে এসেছিল এই পুতুলটি।
পেগির ‘ভূতুড়ে’ কীর্তি নিয়ে নেটমাধ্যমেও হইচই হয়েছিল। এক জন লিখেছিলেন, ‘‘টিভিতে পেগিকে দেখার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সে রাতে দুঃস্বপ্নও দেখি। সাধারণত, এ ধরনের স্বপ্ন দেখি না। তবে খুব মনে রয়েছে, কী ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম।’’ অন্য জনের মন্তব্য, ‘‘পেগিকে দেখার পর কারও কি প্রচণ্ড মাথা ধরে ছিল? এক বার মোটে তাকিয়েছিলাম। অদ্ভুত…। ওর কালো চোখ দুটো ভয় পাইয়ে দিয়েছিল!’’
জাকের মিউজিয়ামে একটি শয়তানের চেয়ার ঘিরেও কম কথা ছড়ায়নি। তাতে বসেই নাকি শয়তান দোল খায়। ডেভিড গ্লাটজেলের দাদা কার্ল গ্লাটজেল জুনিয়রের কাছ থেকে চেয়ারটি কিনেছিলেন জাক। সেই চেয়ারটির উপর নাকি শয়তানের আত্মা ভর করে।
লোকজন বলাবলি করে, ১১ বছরের ডেভিডকে নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল চল্লিশটি দুষ্ট আত্মা। তারপর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে সে। ডেভিডের ঘরেই নাকি ওই চেয়ারটি রাখা ছিল। ২০১৯ সালে এক সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল, চেয়ারটি আপনাআপনিই দুলত, মাটি থেকে কিছুটা উপরে উড়ে বেড়াত। এমনকি, কখনও আবার একেবারে হাওয়ায় মিলিয়ে যেত।
সে বছর ‘শয়তানের’ চেয়ারে বসার পর নাকি এক বার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল খোদ জাকের। তার দাবি ছিল, ‘‘শয়তানের চেয়ারে বসার পর আমার পিঠ জুড়ে এতটাই ব্যথা করতে শুরু করে যে রাতে ঘুমাতে পারিনি।
অনেক দিন পর্যন্ত সে ব্যথা ছিল। অথচ এমন কোনও ভারী জিনিসও তুলিনি সেদিন।’’
‘ভূতুড়ে’ মিউজিয়ামে একটি পুরনো ভ্যান ঘিরে লোকজনের আগ্রহও কম নয়। জ্যাক কেভরকিয়ান নামে আমেরিকার এক প্যাথোলজিস্টের টেলিভিশন শোয়ে ওই ভ্যানটিকে দেখা যেত। চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যার পক্ষে সওয়াল করা জ্যাকের কাছ থেকে ভ্যানটি ৩২,৫০০ ডলারে কিনেছিলেন জাক। ওই ভ্যানে করেই নাকি আত্মঘাতী হওয়া ১৩০ ব্যক্তির দেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
জাকের কাছে রয়েছে বহু সিরিয়াল কিলারের সংগ্রহে থাকা জিনিসপত্রও। সে সবই তার মিউজিয়ামে দেখা যায়। ষাটের দশকের কুখ্যাত অপরাধী চার্লস ম্যানসনের রক্তমাখা ছাই থেকে সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডির চশমা- সবেতেই হামলে পড়েন উৎসাহীরা।
সূত্র: ফ্লিপবোর্ড
অন্যরা যা পড়ছেন
ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তাপমাত্রা
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকরা শোষণের শিকার- জানালো জাতিসংঘ
রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
ঈদের পরে দাম বেড়েছে আলু-পেঁয়াজের, কমেছে সবজির
মার্কিন প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফর: ‘চমক’ নেই, অভিমত বিশ্লেষকদের
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান নবম
‘প্রেমিকার দেয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চিরবিদায় নিলেন প্রেমিক’
ফিচার
প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস
Published
4 months agoon
জানুয়ারি ৬, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীবলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।
এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে, প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।
আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।
আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।
তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।
ফিচার
শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)
Published
4 months agoon
জানুয়ারি ৪, ২০২৪৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।
নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।
নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।
এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।
তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।
এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।
ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।
ফিচার
বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড
Published
4 months agoon
ডিসেম্বর ২০, ২০২৩By
অনন্যা চৈতীএকে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।
জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?
এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।
এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।
বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’
সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।
ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।
আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।
দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।
জাতীয়
প্রচণ্ড গরমে গলে যাচ্ছে যশোরের রাস্তার পিচ
যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন...
ডিসি-এসপিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক ২৫ এপ্রিল
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দেশের সব জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি)এবং বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের ডেকেছে...
গরমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (হাইকোর্ট-আপিল বিভাগ) মামলা পরিচালনার সময় আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধকতা শিথিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। আইনজীবীরা চাইলে গাউন...
তাপদাহের কারণে স্কুল-কলেজ ১ সপ্তাহ বন্ধ থাকবে
সারাদেশের উপর দিয়ে চলমান তাপদাহ ও আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতা জারির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের সকল স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। শনিবার (২০...
সাবমেরিন ক্যাবলে সরবরাহ বন্ধ, ইন্টারনেটে ধীরগতি
দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সিমিউই-৫) সংযোগে কারিগরি ক্রটির কারণে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে ফাইবার ক্যাবল...
‘তিলকে তাল নয়, তালগাছের ঝাড় সমেত উপস্থাপন করা হয়েছে’
আমার পরিবার ও আমার নামে অসত্য তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। বলেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি)...
ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ
এবার ঈদুল ফিতরে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।...
মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও...
কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে যাত্রীদের নদীতে ঝাঁপ
চাঁদপুরের মাঝিরচরে ভোলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন যাত্রীরা।...
খরচ কমলো হজ প্যাকেজের
এ বছর সাধারণ হজ প্যাকেজের খরচ সরকারিভাবে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৮ টাকা এবং বেসরকারিভাবে ৮২ হাজার ৮১৮ টাকা কমানো...
গর্ভবতী স্ত্রীকে বিছানায় বেঁধে পুড়িয়ে মারলো স্বামী
‘সরকার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে’
সন্তান ও নাতি-নাতনিকে হত্যা-যে কারণে হানিয়া তুরস্কে গেলেন
হেরে যাওয়ায় কানসেলোর মেয়ের মৃত্যু কামনা বার্সা সমর্থকদের
গরমে ফলের রস নাকি স্যালাইন?
ওজন ঝরাতে নাস্তায় যে ৫ খাবার খাবেন
হিট স্ট্রোকে দুই জেলায় দুইজনের মৃত্যু
ত্বকের জেল্লায় বেলের শরবত
প্রচণ্ড গরমে গলে যাচ্ছে যশোরের রাস্তার পিচ
পুলিশ ভ্যানেই মহিলা কয়েদিকে গণধর্ষণ
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা
চড়-থাপ্পড়েই বাড়বে নারীদের সৌন্দর্য!
সন্যাসী হতে ২০০ কোটি রুপির সম্পত্তি দান করলেন দম্পতি
‘প্রেমিকার দেয়া প্যান্ট ও শার্ট পরে চিরবিদায় নিলেন প্রেমিক’
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- আন্তর্জাতিক3 days ago
ইরান-ইসরায়েল প্রসঙ্গে অবস্থান স্পষ্ট করলো সৌদি
- ইসলাম4 days ago
ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
- আন্তর্জাতিক3 days ago
ইসরাইলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- আইন-বিচার5 days ago
নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
- বাংলাদেশ23 hours ago
ধেয়ে আসছে তীব্র ঝড়
- বাংলাদেশ2 days ago
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন খন্দকার আল মঈন
- টুকিটাকি5 days ago
অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন করলেন শিক্ষিকা
- লাইফস্টাইল3 days ago
চড়-থাপ্পড়েই বাড়বে নারীদের সৌন্দর্য!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন