বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৪৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রামক শনাক্ত হয়েছে। যা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ। আর এই সময়ে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ হাজার ৬৩৭ জনে। আর মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৫ জনে।
রোববার (৪ জুলাই) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১২১ জন আক্রান্ত নিয়ে মোট ৮ হাজার ১৯৫ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ২৭ জন নিয়ে মোট ২৫৪০ জন, ভোলা জেলায় নতুন ১৫ জন সহ মোট ২০৮৭ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৮২ জন নিয়ে মোট ২৪১৬ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ২২ জন নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৪৯২ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ৭৬ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯০৭ জন।
আরো জানা গেছে, মোট আক্রান্ত ১৮ হাজার ৬৩৭ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ১৮১ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ২ জনের এবং ঝালকাঠি জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুইজনের এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৫ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৪৩ জনের মধ্যে ১১ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনো হাতে পাওয়া যায়নি বলে বলে নিশ্চিত করেছেন শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালকের তথ্য সংরক্ষক জাকারিয়া খান স্বপন।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৮ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৬৫ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যারমধ্যে ৫৯.০৪ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
এস
