বাংলাদেশ
শিশুর নামে মিথ্যা মামলায় ২ এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
Published
2 years agoon
By
বিপ্লব আহসানচট্টগ্রামে শিশুর নামে মিথ্যা চার্জশিট ও মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার অপরাধে চট্টগ্রামে দুই এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আমলী আদালতে মামলা দায়ের হওয়ার পর পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। এর আগে শিশু আদালত এবং চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ জজ ফেরদৌস আরা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বেঞ্চ সহকারি সৈয়দ নুর-এ-খোদা জানান, অভিযুক্ত এসআই সুবীর পাল পতেঙ্গা থানায় ও এসআই আনোয়ার হোসেন শিল্প পুলিশ চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন। ঘটনার সময় অভিযুক্তরা পতেঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। তারা ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল মিথ্যা মামলা দায়ের, ওই বছরের ৩ অক্টোবর মিথ্যা চার্জশিট দাখিল ও ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল আদালতে এসে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন। তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১৭৭, ১৮১, ১৯৩ ও ২১১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বিচারক ফেরদৌস আরা জানান, গেলো ৪ সেপ্টেম্বর ৯/২০২০ শিশু আদালতের মামলার রায় প্রকাশিত হয়। উক্ত মামলার অভিযুক্ত শিশুর বিরুদ্ধে পতেঙ্গা মডেল থানার শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন বাটারফ্লাই পার্কের সামনে পাকা রাস্তার উপর দুটি স্বর্ণের বার আনার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালান মামলা দায়ের করেন এসআই আনোয়ার হোসেন। এসআই সুবীর পাল তদন্ত করে চার্জশিট দেন, গেলো ১১ এপ্রিল তারা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত উল্লেখ করেন, 'অভিযুক্ত শিশুর নিকটআত্মীয় এএইচএম সুমন শুল্ক বিহীন দুটি স্বর্ণের বার বাহরাইন থেকে আনেন। ব্যাগেজ পরিদর্শক তা আটক করেন। পরবর্তীতে এএইচএম সুমন বিধি মোতাবেক শুল্ক পরিশোধ করে বার দুটি নিজ হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্ত শিশুর কাছে হস্তান্তর করেন। স্বর্ণের বার দুটি বহন বিষয়ে সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে আটক করে পতেঙ্গা থানায় নেন। উদ্ধার করা স্বর্ণের বার দুটির একটি দাবি করে শিশুকে ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব দেয় পুলিশ। শিশুর মা জব্ধ করা স্বর্ণের বারের বৈধ কাগজপত্র দেখালেও পুলিশের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অহেতুক বিলম্বে মামলাটি দাখিল করা হয় এবং মামলার এজাহারকারী তার দায়ের করা মিথ্যা মামলার সমর্থনে শপথ গ্রহণপূর্বক মিথ্যা সাক্ষ্য দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত জানান, ডি.ডব্লিউ ২ কর্তৃক জব্ধ করা স্বর্ণের বারের কাগজপত্র উপস্থাপন করা সত্ত্বেও তা আমলে না নিয়ে এবং ওই বিষয়ে সংশ্নিষ্ট রাজস্ব অফিস হতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ছাড়াই এজাহারকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং মিথ্যা প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল করেছেন। প্রকৃত সত্য জানা সত্ত্বেও মিথ্যা প্রতিবেদনের স্বপক্ষে শপথ নেয়াসহ মিথ্য সাক্ষ্য দিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এই মামলার অভিযুক্ত শিশু সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১ মাস ৬ দিন জেল হাজতে আটক থেকে একই বছরের ২৮ মে জামিন পায়।'
বিচারকের দায়ের করা ওই মামলায় কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। ৫ ধরণের আলামত সংযুক্ত করা হয়েছে।
শিশু আদালতের ব্যঞ্চ সহকারী মো. কফিল উদ্দিন জানান, মিথ্যা মামলা, চার্জশিট ও সাক্ষী দেয়ায় এসআই আনোয়ার হোসেন ও এসআই সুবীর পালের বিরুদ্ধে বিচারক বাদী হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে সাক্ষী হিসেবে আমার নামও রয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারি সৈয়দ নুর -এ-খোদা বলেন, মাননীয় বিচারক মামলা দায়ের করার পর তা আমলে নিয়ে শুনানি করে অভিযুক্ত দুই এসআই'র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
অভিযুক্ত এসআই সুবীর পাল বলেন, আমি ঢাকায় একটি মামলার কাজে এসেছিলাম। এখন চট্টগ্রামের পথে আছি। ২০১৯ সালের মামলার সর্ম্পকে এই মুহুর্তে বিস্তারিত কিছু মনে পড়ছে না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
বিপ্লব আহসান
অন্যরা যা পড়ছেন
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
খাটে পড়ে ছিলো প্রবাসীর মায়ের গলাকাটা মরদেহ
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সৌদির বিশাল বিনিয়োগ
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার : প্রধানমন্ত্রী
মালিবাগে নির্মাণাধীন ভবনের গর্তে ক্রেন, শ্রমিক নিহত
জাতীয়
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
Published
42 mins agoon
মার্চ ২৯, ২০২৪জালিয়াতি যেনো পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের । প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯ ছাত্রী ভর্তির বিষয়টি সমাধান না হওয়ার মধ্যেই প্রথম শ্রেণিতে জালিয়াতি করে আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির একটি বি্শেষ সূত্র জানায়, নতুন এই ভর্তি জালিয়াতির তদন্ত করছে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান। জালিয়াতি করে প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রী ভর্তি করার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রথম শ্রেণির ৩৬ ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ভর্তি সংশ্লিষ্টদের পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। গত ২৫ মার্চের চিঠিতে জবাব চাওয়া হয়।
ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্যান্য সসস্যরা হলেন- ধানমন্ডি প্রভাতি শাখা প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বায়ান্ন টিভিকে বলেন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষ হওয়ার পর অমরা এব্যাপারে গণমাধ্যমকে অবহিত করবো।
আপনিতো ভর্তি কমিটির আহবায়ক-তাহলে জালিয়াতির বিষয়টি আপনিই ভাল জানেন-এমন যুক্তির জবাবে তিনি বলেন, দেখেন প্রথম শ্রেণিতে নতুন করে ৩৬ ছাত্রীর ভর্তির ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়ার পরই তার তদন্ত করার জন্য কমিটি কাজ করছে। একটু সময় দেন, সবকিছু তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য নিশ্চিত করে গভর্নিং বডির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘ভর্তির বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে এবিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রী ভর্তির ঘটনা ফাঁস হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বেইলি রোডে অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখার (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে বরখাস্ত করা হয়।
তাকে ঘটনা ফাঁসের জন্য দায়ী করা হলে তিনি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি লিখিতভাবে তুলে ধরেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দেওয়া লিখিত অভিযোগে শাহ আলম জানান, ‘মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।
শাহ আলম খানের এই লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর তদন্ত শুরু করতে নড়েচড়ে বসে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের একটি সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন ফরম বাছাইয়ের জন্য মাউশি’র (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর) নীতিমালা অমান্য করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভর্তির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির যাচাই-বাছাইয়ে প্রতীয়মান হয় প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন শিক্ষার্থীর জন্মসনদ ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সঠিক নয়। এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি কমিটির বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির ৩৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনিয়মের তথ্য পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বর্ণিত প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বিনা ব্যর্থতায় আগামী ৪ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য বলা হলো। লিখিত বক্তব্য পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে।’
প্রসঙ্গত, নতুন ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির আগে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়। এই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটের রায়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচলককে নির্দেশ দেন আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের পরই মাউশি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আপিল করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
Published
7 hours agoon
মার্চ ২৮, ২০২৪বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে বাংলাদেশি এক সাংবাদিকের তোলা প্রশ্নের জবাবে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণ ও মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে তিনি জানতে চান, ‘২৬ মার্চ উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন তাঁর বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ ও মানবাধিকার রক্ষায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অভাবে দেশটির জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই বিবেচনায় বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নিতে পারে?
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে বলার মতো কিছু তাঁর কাছে এখন নেই। তবে এই প্রশাসনের শুরু থেকেই তাঁরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি গণতন্ত্রের উন্নয়ন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এটা অবশ্যই তাঁর শীর্ষ অগ্রাধিকারগুলোর একটি। তাই বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় তাঁরা অব্যাহতভাবে এসব বিষয় স্পষ্ট করছেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সমানে রেখে তিনি এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। তাঁরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণ ও মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য তাঁরা সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়টিও স্থান পায়। এবিষয়ে সাংবাদিকের একটি প্রশ্ন ছিলো-ভঅরতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দিল্লিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী। ভারতের বিরোধী দলগুলোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দসহ ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
জবাবে মার্কিন ডিপার্টেমেন্ট অব স্টেটের মুখপাত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার ও তাঁর বিচারের ওপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের বেশ কিছু ব্যাংক হিসাব সে দেশের সরকার জব্দ (ফ্রিজ) করেছে। তারা বলেছে, এ কারণে নির্বাচনী প্রচার চালাতে তাদের অসুবিধা হবে। আমরা চাই প্রতিটি বিষয়ের বিচারই যেন সুষ্ঠুভাবে দ্রুত ও ন্যায্য হয়। আশা করি, এতে কারও আপত্তি থাকবে না।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘ আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তরে আমি বলবো-আমি কূটনীতিকদের ব্যক্তিগত কথাপকোথন নিয়ে কথা বলবো না। তবে প্রকাশ্যে আমি এখানে যেটি বলতে পারি তা হলো- আমরা ন্যায্য, স্বচ্ছ, সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করি। আমরা মনে করিনা যে এতে কারো আপত্তি থাকা উচিত। আমরা এই বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে স্পষ্ট করবো।
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান, অতিরিক্ত আইজিপি মো. আলী মিয়া।
সিআইডি জানায়, জেট রোবটিক অ্যাপসের (Zet Robatic Apps) মাধ্যমে এই চক্রটি প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক রেমিটেন্স রুট পরিবর্তন করে পাচার করতো।
মোঃ আলী মিয়া জানান, চক্রটির মূল হোতা শহিদুল ইসলাম মামুন ২০২০ সাল থেকে দুবাই থাকে। সেখানে মামুনসহ আরও ৫ জন রয়েছে। মালয়েশিয়ান সফটওয়্যার ডেভেলপারের মাধ্যমে তৈরিকৃত এই অ্যাপস কাস্টোমাইজ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে এই চক্র। এজেন্ট সিমগুলো বাংলাদেশে থাকলেও এর নিয়ন্ত্রণ তারা দুবাই বসে করতে পারেন। দুবাই বসেই তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন নম্বরে ক্যাশ-ইন এর মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করতে পারেন।
সিআইডি প্রধান বলেন, এই হুন্ডির কাজে তারা এজেন্টদের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিকট থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর জন্য তাদের স্বজনদের নম্বর সংগ্রহ করেন। এরপর সংগ্রহকৃত অর্থ বাংলাদেশি এজেন্ট সিম থেকে অ্যাপস ব্যবহার করে প্রবাসীদের আত্মীয়দের নম্বরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু রেমিটেন্সের ডলার নিজেরা রেখে দেয় অন্য দেশে।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ১৮টি সিমকার্ড ১টি ল্যাপটপ ও ৬টি মডেমসহ নগদ ২৮ লক্ষ ৫১ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মূল হোতা বাদে অন্য আটককৃতরা হলেন, মো. নাসিম আহেমেদ (৬২), ফজলে রাব্বি সুমন (৩২), মো. কামরুজ্জামান (৩৩), মো. জহির উদ্দিন (৩৭) এবং মো. খায়রুল ইসলাম পিয়াস (৩৪)।
জাতীয়
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
জালিয়াতি যেনো পিছু ছাড়ছে না রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের । প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈধভাবে ১৬৯...
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিযয় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সময় বুধবার...
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে ডিজিটাল হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে বসেই প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে একটি চক্র। অভিযান চালিয়ে...
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। ২০২৩...
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত সিরিয়ার কিলার মো. লোকমান ওরফে আজরাইলকে দুই দশক পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে র্যাব-১৫...
জবির প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন...
দূষণে বাংলাদেশে বছরে মারা যাচ্ছেন ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষ
দূষণ এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকির দিক দিয়ে তুলনামূলক বেশি ক্ষতি করছে দরিদ্র, পাঁচ বছরের কম শিশু, বয়স্ক এবং নারীদের। এছাড়াও প্রতিবছর...
রেলওয়ের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
কেনাকাটায় কয়েকশ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের...
কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকা পরিদর্শন করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)...
কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের আড়ৎ কারওয়ান বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানই থাকছে না। শহরকে যানজটমুক্ত করার...
১৬৯ ছাত্রীর পর ভিকারুননিসায় আরও ৩৬ ছাত্রী ভর্তির তথ্য ফাঁস
নির্বাচনে হেরেছেন ২৩৮ বার, ফের লড়াইয়ের প্রস্তুতি
লোকসভায় দলের টিকিট না পেয়ে কীটনাশক পানে আত্মহত্যা
দেড় মাস বয়সের সেই শিশুটি ৫০ বছর পর মায়ের কোলে
বাংলাদেশে বাইডেনের শীর্ষ অগ্রাধিকার কী, স্পষ্ট করলো যুক্তরাষ্ট্র
আবারও এক টেবিলে বিএনপি-জামায়াত
‘নির্বাচনে যা খরচ করেছি, এটা আমি তুলবো’
হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার : আটক ৫
চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ
দুই দশক পর সিরিয়াল কিলার আজরাইল গ্রেপ্তার
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
দ্রুত ভিসা দেওয়ার নির্দেশনা ইতালি দূতাবাসের
প্রথম ওভারেই ২ উইকেট পেলেন মোস্তাফিজ
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
গরুর মাংসের দাম কেজি প্রতি পৌনে ৬ লাখ টাকা!
ডিবিতে যে অভিযোগ দিলেন তিশার বাবা
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশ5 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে থাকা জলদস্যুদের ঘিরে ফেলা হচ্ছে
- বাংলাদেশ5 days ago
মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ছাত্র অপহরণ: চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা
- বাংলাদেশ4 days ago
৮ জেলায় শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির শঙ্কা
- জাতীয়4 days ago
জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে অভিযানের পক্ষে নয় মালিকপক্ষ
- আন্তর্জাতিক5 days ago
বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ ‘উইন্ডরানার’ওড়ার অপেক্ষায়
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গাজায় যুদ্ধবিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব আটকে দিল চীন-রাশিয়া
- আন্তর্জাতিক6 days ago
গায়ের চামড়া কেটে মায়ের জন্য জুতা বানালেন ছেলে
- এশিয়া3 days ago
যেকারণে যুক্তরাষ্ট্র সফর বাতিল করলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী