রংপুর
গাইবান্ধায় কঠোর লকডাউনে যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি
কঠোর লকডাউনের ৭ম দিনে গাইবান্ধায় মানুষ ও যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে জনসমাগমও।
জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মধ্যেই জেলার বিভিন্ন সড়কে রিকশা, মোটরসাইকেল ও ইজিবা্ইক চলতে দেখা গেছে।
এদিকে বিধিনিষেধ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬৭টি মামলায় ৪৩ হাজার ৮শ’ টাকা জরিমানা করেছে। লকডাউন কার্যকরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনী সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা একটু সুযোগ পেলেই তারা দোকানের অর্ধেক পাল্লা খুলে অবাধে বেচাকেনা করে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে লোকজনের চলাচলের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ শহরতলি এলাকাগুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দোকান কর্মচারী ও মালিকদের দাঁড়িয়ে থেকে ভীড় করতে দেখা যায়।
এদিকে উন্মুক্ত স্থানে কাচাবাজার বসানোর কথা থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না। শহরের পুরাতন বাজারে কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানা তো দুরের কথা কেউ মাস্ক না পড়ে আগের মতই যথারীতি ভীড় করে কেনাকাটা করছে। শহরে জনসমাগম আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে যাওয়ায় মনেই হয় না যে লকডাউন চলছে।
মুনিয়া
রংপুর
একটা পরোটা খেয়ে দিন পার করছেন নব্বই বছরের বৃদ্ধ
একটা পরোটা খেয়ে অর্ধেক দিন পার করেছেন এক বৃদ্ধ। এমন নির্মম পরিস্থিতিতে পড়েছেন নব্বই বছরের অসহায় দিন মজুর আয়নাল হক। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মাথা গোঁজার ঠাই নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন তিনি। আয়নাল হকের বাড়ি ফুলবাড়ী উপজেলার চর গোরক মন্ডল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে। তিনি দুই ছেলে ও পাঁচ মেয়ের জনক। দুই ছেলের আলাদা সংসার। বাড়ির পাশেই এক মেয়ের জামাই দিন মজুর হলেও বৃদ্ধ বাবা-মার কিছুটা হলেও খোঁজ খবর নেন বলে জানা গেছে।
আগ্রাসী ধরলা তীব্র ভাঙনে বাড়ির ভিটা-মাটি গিলতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে খাস জমির ওপর ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার কাজও শেষ। কিন্তু কোথায় হবে তার মাথা গোঁজার ঠিকানা? মৃত্যুর কাছাকাছি সময় এসে এমন কঠিন সময় পাড় করবেন জীবনেও ভাবেননি তিনি। টানা চারদিন ধরে টিনের চালায় অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে দিন কাটাচ্ছেন আয়নাল হক। বৃদ্ধ আয়নাল হক ও তাঁর স্ত্রী আম্বীয়া বেগমসহ দুই জনের সংসার। আগে দিন মজুরী করে সংসার চালালেও এখন বয়সের ভারে দিন মজুরী কাজ ছেড়ে দেন। বাড়িতেই সামান্য পুঁজির ছোট একটা দোকান করেই অতিকষ্টে খেয়ে না খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। এরই মধ্যে ঘর-বাড়িসহ তিন থেকে চার বার ধরলার ভাঙনে তিনি সব কিছুই হারিয়ে চরম দুরদিন পার করেছেন। নিজস্ব জমি না থাকায় সরকারি খাস জমিতে থাকতেন। সেই খাস জমিও ধরলা নদীর পেটে যাচ্ছে। বর্তমানে মানুষের দয়ায় কোন রকমেই এক বেলা খেয়ে না খেয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করলেও মাথা গোঁজার ঠাই টুকু কোথায় জুটবে এ নিয়ে চরম দুচিন্তায় পড়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়ির উঠানে নিজের হাতে রোপনকৃত কাঁঠাল গাছ স্পর্শ করে ফ্যাল ফ্যাল করে নির্বাক দৃষ্টিতে ধরলার দিকে তাকিয়ে আছেন নব্বই বছরের বৃদ্ধ আয়নাল হক।
আয়নাল হকের সাথে কথা হলে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, কি কবো বাহে, খাস জমিও গেলো, এখন কোথায় যামু জানি না। শেষ স্মৃতি আমার হাতে রোপনকৃত এই কাঁঠাল গাছটির বড় মায়া হচ্ছে। অনেক কাঁঠাল ধরেছে। এই কাঁঠাল গাছটি রক্ষা করতে পারলাম না বাহে। তোমরাতো স্বচোখে দেখলেন ধরলা নদী আমার বাড়ির কাছে এসে বাড়ির-ভিটা গিলতে শুরু করেছে। পানি কমলেও এখনও নদীতে তীব্র স্রোত। দুই দিন আগে বাড়ি-ঘরগুলো বেড়া চাটি খুলে দিয়েছে। এক দিকে স্রোত অন্য দিকে ভাঙন যেকোন মুহুর্তে আমার বাড়ি ভিটাটুকু বিলীন হয়ে যাবে। এখন কি করবো বুঝতেছি না বাহে। নিজের বাড়ি-ঘর ও জমি-জমা ধরলায় বিলীন হলেও অন্যের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি যাতে নদী গর্ভে বিলীন না হয় সেজন্য তিনি অশ্রু কন্ঠে দ্রুত চর গোরক মন্ডল এলাকায় ধরলার ভাঙন ঠেকাতে একটি টেকসই বাঁধ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী জানান, চর গোরক মন্ডল এলাকার আয়নাল হকের বাড়িসহ গত এক থেকে দেড় বছরে ধরলার তীব্র ভাঙনে ৫০ টি পরিবার ও হাফ কিলোমিটার সড়কসহ শত শত ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর এক থেকে দেড় বছরে ৬ হাজার জিওব্যাগ দিয়েছেন। কিন্তু ভাঙন ঠেকানো যায়নি।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ধরলার ভাঙনে হুমকির মুখে ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মুজিব কেল্লার ভবন, স্কুল, মাদ্রাসাসহ ওই এলাকার এক হাজার পরিবার। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোডর্কে জানালে তারা চার দিন আগে মাত্র ২৫০ টি জিওব্যাগ দিয়েছে। যেখানে কমপক্ষে ৫০ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ জিওব্যাগ হলে ভাঙ্গন রক্ষা সম্ভব। তাই তিনি নদী গর্ভে বিলীন হাফ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও পুরোপুরি ভাঙন রোধ করতে স্থায়ী তীর রক্ষা বাঁধের জোড় দাবী জানিয়েছেন। সেই সাথে ভাঙনের শিকার অসহায় দিন মজুর আয়নাল হককে সব ধরণের সহযোগীতা করা আশ্বাস দেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইসমত ত্বোহা জানান, চর-গোরক মন্ডল এলাকায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ৬ থেকে ৭ হাজার জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। আসলে জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব না। ভাঙন রোধে স্থায়ী তীর রক্ষা বাঁধ দেওয়ার জন্য কয়েক দফায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারপরেও ভাঙন রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ অব্যাহত আছে।
বৃদ্ধকে সহায়তার বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনমা তারান্নুম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
কে/এস
রংপুর
পঞ্চগড়ে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে জান্নাতুন আক্তার (২) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু জান্নাতুন একই গ্রামের দিনমুজুর আইনুল হকের মেয়ে।
রোববার (২৩ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের কানাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে শিশুটির মা শাহিনা বেগম বাড়িতে কাজ করছিল। এদিকে শিশু জান্নাতুন বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময় সবার অজান্তে বাড়ির পেছনে চলে যায়। একসময় অসাবধানবসত পাশে থাকা পুকুরের পানিতে পড়ে যায় শিশুটি। কিছু সময় পর তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে। স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
রংপুর
রৌমারীতে চিতাবাঘের বাচ্চা উদ্ধার
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় একটি চিতাবাঘের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। বাচ্চাটি গেলো রোববার (১৬ জুন) রাতে কর্তিমারী আরএস ফ্যাশন এ ঢুকে পড়েছিল। বাচ্চাটির মা চিতাবাঘ এলাকায় থাকতে পারে বলে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ৬ দিন পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বাঘের বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, পাশ্ববর্তী ভারতের আসাম প্রদেশের মানকারচর পাহাড় থেকে বন্যার পানির স্রোতে চিতাবাঘের বাচ্চাটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারে গভীর রাতে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে।দোকানের মালিক উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাসেল ইসলাম বাঘের বাচ্চাটিকে না মেরে বাড়িতে একটি খাচায় আটকে রাখা হয়।
দোকান মালিক রাসেল ইসলাম জানান, রাত প্রায় আড়াইটার দিকে আমার দোকানে চিতাবাঘের বাচ্চাটি প্রবেশ করে। প্রথমে মনে করি সেটি বিড়াল। কিন্তু ভালো করে দেখি চিতা বাঘের বাচ্চা। পরে পাটের চট দিয়ে বাচ্চাটিকে ধরে খাচায় আটকিয়ে রাখি। বাচ্চাটি মানুষ দেখলে গর্জে উঠে এবং ভয় পায়। বাচ্চাটিকে বিভিন্ন প্রকার মাংস খাওয়ানো হচ্ছে। পরে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে খবর দেয়া হয়।
রৌমারী বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গ্রামে একটি চিতা বাঘের বাচ্চা ঢুকে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং চিতা বাঘের বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, বনবিভাগের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
-
বাংলাদেশ4 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বলিউড4 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
বাংলাদেশ3 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
বলিউড7 days ago
‘বাবা চান না আমি বিয়ে করি’, বিস্ফোরক মন্তব্য সোনাক্ষীর
-
অপরাধ4 days ago
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর
-
দুর্ঘটনা1 day ago
সেতু ভেঙ্গে মাইক্রোবাস খালে, নিহত ৯
-
টুকিটাকি11 hours ago
নারী সহকর্মীর সঙ্গে হোটেলে ধরা, পুলিশের ডিএসপি থেকে কনস্টেবলে পদাবনতি