Connect with us

রংপুর

পুলিশ কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, যুবক আটক

Published

on

মোবাইল ফোনে কখনো পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, কখনো থানার ওসি, কখনো মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা আবার কখনো জনপ্রতিনিধি পরিচয়ে পুলিশের উপর প্রভাব খাটাতো আবার কখনো জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত আতানুর রহমান নামের এক যুবক। প্রতারক আতানুর রহমান কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের চর বিষ্ণুপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে।

প্রতারক ওই যুবককে ২৯ জুলাই বৃস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিষ্ণুপুর মন্ডলের বাজার থেকে আটক করে কচকাটা থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনে বিভিন্ন পর্ণগ্রাফিরও পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানান, আতানুর দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের কর্মকর্তা সেজে দেশের বিভিন্ন থানার অফিসারদের ফোন দিয়ে বিভ্রান্ত করে আসছিল। কখনো এস আই সেজে ফোনে ভয়ভীতি দেখিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। কখনো জনপ্রতিনিধি সেজে পুলিশের উপর প্রভাব খাটাতো।

পুলিশ আরোও জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রতারক আতানুর কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলমের মোবাইলে ফোনে ফোন দিয়ে উপজেলার বেরুবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। সে সময় দুটি ফোন নম্বর ব্যবহার করেন তিনি। পরে ওই দুটি নম্বরের বিপরীতে একটি জিডি করেন ওসি। আটক আতানুরের কাছে পাওয়া তিনটি সিমের মধ্যে একটির নম্বরের সাথে জিডি করা মোবাইল নম্বরের মিল পাওয়া গেছে।

এছাড়া আতানুর স¤প্রতি কচাকাটা থানার এক এসআইয়ের পরিচয়ে ফোনে কচাকাটা বাজারের এক ব্যবসায়িকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ হাজার টাকা ও একটি জিডির তদন্দকারী কর্মকর্তা সেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজনের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

Advertisement

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, আতানুর রহমানের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড থেকে জানা গেছে সে দেশের বিভিন্ন থানায় ফোন দিয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে ও জনসাধারণকে প্রতারণারও প্রমান মিলেছে। এছাড়া গত ডিসেম্বর মাসে দুটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন দিয়ে চেয়াম্যান পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে।

তিনি আরেও জানান, আতানুরের বিরুদ্ধে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ও একটি মোবাইল ফোনে পর্ণগ্রাফি রাখার অপরাধে মোট দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মুনিয়া

জনদুর্ভোগ

বাড়ছে তিস্তার পানি, চর-নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

Published

on

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা অববাহিকায় পানি বাড়ছে। এর প্রভাবে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন লোকজন।

সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ এলাকার মহসিন আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। হাতীবান্ধা উপজেলার চরসিন্দুর্না গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, তিস্তার পানিতে আমার বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। অনেক বাদাম গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমে বলেন, ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

Advertisement

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকসহ এক নারী কারবারি গ্রেপ্তার

Published

on

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে অভিযুক্ত ওই নারীকে কুড়িগ্রাম কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের ভায়ালটারী গ্রামের মাদক কারবারি জান্নাতী বেগমের বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো হ্যাপি গোল্ড ও কিং ফিসার নামের ৭৭ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রুহুল আমিন বলেন, গ্রেপ্তার মাদক কারবারির নাগেশ্বরী থানায় একটি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা রয়েছে। সেই সাথে কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূল করার লক্ষ্যে আমাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে তিস্তার

Published

on

তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ।

শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার ২৮ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার নিচে।

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, ‘গতকাল ভোর থেকে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়ছে। বর্ষার আগে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় বন্যা হলে নদীপাড়ের মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নদী তীরবর্তী আবাদি জমিগুলো তলিয়ে গেলে বাদাম ও শাক-সবজির ক্ষতি হবে।’

Advertisement

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, ‘কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সব সময় নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখতে বলা হয়েছে।’

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version