Connect with us

ফিচার

ইতিহাসে ভালোবাসা দিবস…

Published

on

ভালবাসা দিবস

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ উদযাপন করছে দিবসটি। এ দিনটিকেই ভালোবাসা প্রকাশের দিবস হিসেবে নেয়ার কতগুলো ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশী উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খ্রীস্টান ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ঘিরে।

ইতালীর ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন শিশুপ্রেমিক।  তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস ছিলেন দেব-দেবী পুজারী। সম্রাট তাকে দেব-দেবী পুজা করতে বললে তিনি অস্বীকার করেন। এতে সম্রাট ক্ষুদ্ধ হয়ে ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।  সেদিন ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেই থেকেই প্রেমিক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন শুরু করে তার ভক্তরা।

সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নিয়ে আরেকটি মতও রয়েছে। তরুণ-তরুণীদের অনেকেই ফুল উপহার নিয়ে কারারুদ্ধ সেন্ট ভ্যালেন্টাইকে দেখতে যেতেন। কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েও ভ্যালেন্টাইনকে দেখতে যেতো। একসময় ভ্যালেন্টাইন অন্ধ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যান। ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় দৃষ্টি ফিরে পায় ওই মেয়েটি। যুবক-যুবতীদের প্রতি তার ভালোবাসা আর ভ্যালেন্টাইনের প্রতি যুবক-যুবকদের ভালোবাসার কথা জানতে পেরে সম্রাট ক্ষুব্ধ হন  পরে ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন।

 

Advertisement

সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে নিয়ে আরেকটি মত পাওয়া যায়। সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রাখতে দরকার হয় রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াসের বিশাল সেনাবাহিনী প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে যুবকদের বিয়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত দেন সম্রাট। যাতে যুবকরা সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য হয়।  এ ঘোষণায় ক্ষেপে যায় দেশের যুবক-যুবতীরা। ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনও সম্রাটের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।  তিনি গোপনে গির্জায় বিয়ে পড়াতে থাকেন। সেই থেকে তিনি পরিচিতি পেতে থাকেন  ‘ভালোবাসার বন্ধু বা ‘Friend of Lovers’ নামে। বিষয়টি সম্রাট ক্রাডিয়াস শুনে ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেপ্তার করে  মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেন।

ভালবাসা দিবস নিয়ে আরেকটি প্রচলিত মত হচ্ছে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটির দিন ছিলো।  রোমানরা বিশ্বাস করতো জুনোর ইচ্ছা ছাড়া কোনও বিয়ে সফল হয় না। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারী তারা লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে তরুণ-তরুণীদের লটারীর মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই করত।

 

এমন অনেক প্রচলিত ঘটনা, তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস নিয়ে। একেকজন একেকভাবে এর যুক্তি ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তবে সব কিছু ছাপিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা চিরন্তর। আর এ ভালোবাসা থেকেই ভালোবাসা দিবসের উৎপত্তি।

সাংবাদিক শফিক রেহমানের হাত ধরে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন শুরু হয়। সে থেকেই এদেশের প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে উদযাপন করে। এ দিনে নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দু’ছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।

Advertisement

 

এমনও শোনা যায় তেজগাঁও ‘লাভ রোড’-র নামকরণটিও করেছেন যায়াযায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান।

 

ফিচার

প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস

Published

on

বলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।

এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে,  প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।

আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।

আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।

তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)

Published

on

৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।

নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।

নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।

নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।

Advertisement

এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।

তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।

এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।

Advertisement

ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ফিচার

বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড

Published

on

একে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।

যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।

জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?

এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র‍্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।

এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।

Advertisement

বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’

সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।

ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।

আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।

Advertisement

ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।

দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

জাতীয়26 mins ago

প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৫-২০ শতাংশ : ইসি সচিব

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফার চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের। জানালেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) মো. জাহাংগীর আলম।...

জাতীয়26 mins ago

আরও ১০টি এয়ারবাস কিনবে সরকার : বিমানমন্ত্রী

এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি আরও ১০টি উড়োজাহাজ কিনবে সরকার। বললেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে...

আইন-বিচার1 hour ago

চুন্নুকে এবার এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয় সংসদে আইনজীবী ও সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের (ব্যারিস্টার সুমন) বিরুদ্ধে নালিশ করেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক...

জাতীয়2 hours ago

মডেল মসজিদেই হজের ট্রেনিং নেয়া যাবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ঘরে বসেই হজের সব কাজ করতে পারছে জনগণ। হজযাত্রীদের জন্য যে ব্যবস্থাপনা সেটা সরকার প্রতিবারই উন্নত করছে।...

জাতীয়2 hours ago

হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীর আশকোনা ক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার (০৮মে) আনুষ্ঠানিকভাবে...

আইন-বিচার3 hours ago

আফতাব নগরে বসানো যাবে না পশুর হাট: হাইকোর্ট

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুরহাট বসানোর সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আসন্ন ঈদে আফতাবনগরে...

জাতীয়3 hours ago

ফের পিআইবির ডিজি হলেন জাফর ওয়াজেদ

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে ফের নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ। তাকে আবারও দুই বছরের জন্য চুক্তিতে...

জাতীয়3 hours ago

প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ: ইসি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফা ভোটগ্রহণের প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ। জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মনিটরিং সেল। বুধবার...

জাতীয়5 hours ago

চটেছেন চুন্নু, ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে সংসদে নালিশ

বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু আলোচিত আইনজীবী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে...

জাতীয়6 hours ago

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ...

Advertisement
ব্যাংক3 mins ago

নাস্তার প্যাকেটে সাংবাদিকদের মিললো টাকা ভর্তি খাম

ঢাকা14 mins ago

রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের অনন্য উদ্যোগ

জাতীয়26 mins ago

প্রথম চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৫-২০ শতাংশ : ইসি সচিব

জাতীয়26 mins ago

আরও ১০টি এয়ারবাস কিনবে সরকার : বিমানমন্ত্রী

বলিউড33 mins ago

বিচ্ছেদের পরেও মুখোমুখি কারিনা-শাহিদ!

রাজশাহী40 mins ago

বগুড়ায় দুই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি

রাজনীতি54 mins ago

উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে জনগণ : রিজভী

ঢাকা1 hour ago

নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

আইন-বিচার1 hour ago

চুন্নুকে এবার এক হাত নিলেন ব্যারিস্টার সুমন

আন্তর্জাতিক1 hour ago

স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন

ঢালিউড6 days ago

‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’

আন্তর্জাতিক6 days ago

যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!

তথ্য-প্রযুক্তি5 days ago

গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি

ঢালিউড6 days ago

শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরামর্শ6 days ago

পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’

অপরাধ7 days ago

শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র‍্যাব কর্মকর্তা

দেশজুড়ে7 days ago

‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা

বাংলাদেশ4 days ago

স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ

ঢাকা2 days ago

হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ঢালিউড6 days ago

শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী

উত্তর আমেরিকা2 weeks ago

সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)

আইন-বিচার2 weeks ago

বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

জাতীয়1 month ago

গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী

ফুটবল1 month ago

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু

টুকিটাকি2 months ago

জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!

অর্থনীতি2 months ago

বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া

বাংলাদেশ2 months ago

রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ

হলিউড2 months ago

নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু

ফুটবল2 months ago

জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব

টুকিটাকি2 months ago

রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায়
Exit mobile version