সাগরে ভাসার এক সপ্তাহ পর ইতালিতে বাংলাদেশিসহ ২৫৭ অভিবাসী

প্রায় এক সপ্তাহ সাগরে ভাসার পর বাংলাদেশীসহ আড়াইশোর বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে ইতালির বন্দরে নোঙর করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ। তিউনিসিয়া উপকূলের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের উদ্ধারের এক সপ্তাহ পর শনিবার জাহাজটি ত্রাপানি বন্দরে ভিড়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গেল সপ্তাহে তিউনিসিয়া উপকূল থেকে বাংলাদেশ, মরক্কো, মিশর ও সিরিয়ার অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধারের পর জাহাজটিকে বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি কোনো দেশ। শনিবার ইতালির সিসিলি দ্বীপের ত্রাপানি বন্দরে নোঙর করে জার্মানির দাতব্য সংস্থার সি ওয়াচ জাহাজটি। সেখানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের করোনা পরীক্ষার পর দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনের জন্য অন্য একটি জাহাজে পাঠানো হয়েছে।

গেল রোববার ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ইউরোপগামী ৩৯৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে সি ওয়াচ ও ওশেন ভাইকিং জাহাজ। একটি কাঠের নৌযান থেকে বিপজ্জনকভাবে গাদাগাদি করে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। এর মধ্যে সি ওয়াচ ইতালিতে নোঙর করতে পারলেও দেড়শোর মতো অভিবাসন প্রত্যাশীকে নিয়ে এখনো সাগরে ভাসছে ওশেন ভাইকিং জাহাজ।

জাহাজটিতে থাকা অভিবাসীদের বেশিরভাগই মরক্কো, বাংলাদেশ, মিসর ও সিরিয়া থেকে আসা। জার্মান সংস্থা সি ওয়াচ পরিচালিত জাহাজটি ইতালির বন্দরের কাছাকাছি পৌঁছালে অভিবাসীদের হাত নাড়তে এবং হাততালি দিতে দেখা যায়। ইতালি ভালো লেখা একটি প্ল্যাকার্ড উঁচিয়ে ধরেন জাহাজটির ডেকে বসা এক ব্যক্তি।

একজন প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্বৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, নোঙর করা জাহাজ থেকে আরেকটি কোয়ারেন্টিন জাহাজে নেওয়ার আগে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। করোনা ছড়ানোর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কোয়ারেন্টিন জাহাজটিতে তাদের দুই সপ্তাহ অবস্থান করতে হবে।

সম্প্রতি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবেশের জন্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাযাত্রা বেড়ে গেছে।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সংঘাতময় এবং দারিদ্যপীড়িত আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে মারা গেছে এক হাজার ১০০ জন।

 

এসএন

Recommended For You

Exit mobile version