Connect with us

অপরাধ

নড়াইলে অস্ত্রসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার

Published

on

নড়াইলের কালিয়ায় অস্ত্রসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) রাতে উপজেলার ভোমবাগ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. শিমুল হোসেন বিল্লাল (২৫) ও মোহাম্মদ বিপুল হোসেন (২৭)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে একটি পাইপগানসহ মো. শিমুল হোসেন বিল্লাল ও মোহাম্মদ বিপুল হোসেন নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কালিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া বলেন, আটককৃতদের মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মুনিয়া

অপরাধ

পাল্টাপাল্টি আক্রমণে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জেরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পাল্টাপাল্টি আক্রমণে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের পাশে সাইফুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ওইদিন সকালে শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

নিহত সাইফুল (২৫) দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে নিহত রেজাউল করিম (৩০) উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার হামিদ হোসেনের ছেলে।

নিহত সাইফুলের বড় বোন ফাতেমা বলেন, বানু ও নুরু হাকিম বংশের মধ্যে এক বছর ধরে হামলা ও মামলার ঘটনা চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে দুই পক্ষের হামলায় রেজাউল নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরই প্রতিশোধ হিসেবে অপরপক্ষের (নুর হাকিম) লোকজনকে খুঁজতে গিয়ে আমার ভাইকে দোকানে বসে থাকা অবস্থায় মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মারধরের শিকার আমি নিজেই হয়েছি। পাশাপাশি সাইফুলের স্ত্রী জাহেদাকে তারা মারধর করে আহত করেছে।

নিহতের মামা মোহাম্মদ আয়াস অভিযোগ করে জানান, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এনামুল হক পেটানোর সঙ্গে তাদের বিরোধ রয়েছে। তিনি সকালে রেজাউল করিম, শাহ এমরান ও নুর করিমকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। শাহপরীর দ্বীপ তিন রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছলে উত্তরপাড়ার এনামুল হক পেটানোর ছেলে মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে কয়েকজন দা, লোহার রড নিয়ে অটোরিকশাটির গতিরোধ করে।

এসময় রেজাউল করিমসহ তারা চারজন পালানোর চেষ্টা করেন। ফরহাদসহ তার লোকজন তখন রেজাউলের হাত, পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে চিকিৎসক রেজাউলকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একইদিনে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নিহত সাইফুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৪

Published

on

নীলফামারীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, ২টি ছুঁড়ি, ১টি লোহার হাতুড়ি, ১টি লোহার রড, ১টি টার্গেট লাইট, ৭টি মুঠোফোন ও ২টি রিফ্লেটিং ভেস্ট উদ্ধার করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) রাত পৌনে তিনটায় রংপুর-ডালিয়া মহাসড়কের অভিযান চালিয়ে ডালিয়া পাউবো অফিসের সামন থেকে তাদের আটক করে ডিমলা থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- বগুড়ার গাবতলী থানার মালিয়ার ডাঙ্গা এলাকার মো. নিয়ে প্রামাণিকের ছেলে মো. আলমগির হোসেন (৩০), বগুড়ার সোনাতলা এলাকার পশ্চিম পদ্মপাড়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সোনা মিয়া (৩০), নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে আলী হাসান বাবু (৩১), একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে মো. সবুজ হোসেন (২৭)।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার শেষ রাতে রংপুর-ডালিয়া মহাসড়কের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সামনে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহাসড়কের দুইপাশ ঘেরাও করে একটি প্রাইভেটকার, ছোরা, লোহার হাতুড়ি, লোহার রড, টার্গেট লাইট, মুঠোফোন ও নিরাপত্তা বাহিনীর রিফ্লেটিং ভেস্টসহ চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপার এলাকার আজাদুল হকের ছেলে শান্ত ইসলামসহ (২৬) চার পাঁচজন আসামি পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। আটককৃতরা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায় জানান, ভ্রাম্যমাণ অবস্থায়, মাইক্রোবাস, জিপসহ বিভিন্ন যানবাহনে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিলো। ডাকাতির প্রস্তুতি কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পালাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

ওসি আরও জানান, আসামিরা বিভিন্ন থানার এজাহারভুক্ত আসামি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর কথা জানান তিনি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

ট্রেনের ৫০০ টিকিট কিনেন তারা, যেভাবে ধরা পড়লো

Published

on

রেলওয়ের প্রায় ৫০০ টিকিটসহ কালোবাজারি চক্রের ১০ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটকরা বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে বিপুল সংখ্যক টিকিট কিনে রেখেছিল। যেগুলো দুই থেকে তিন গুণ দামে বিক্রি করতো।

শুক্রবার (১৪ জুন) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর জানান, টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের ধরতে গেলো বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই অভিযানে ঢাকার কমলাপুর ও আশপাশের এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চক্রের ১০ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের (বেসরকারি ব্যবস্থাপায় চলাচলকারী ট্রেনের) বিক্রয় প্রতিনিধিও রয়েছেন।

আটকরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের মো. সোহেল রানা (২৭), রংপুরের মো. মাহবুবুর রহমান (২৮) ও মো. বকুল হোসেন (২৫), নাটোরের মো. শিপন আহমেদ (২৯), চুয়াডাঙ্গার মো. আরিফ (৩৮), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহাদাত হোসেন (৩৫), জামালপুরের মো. মনির (২৫), নরসিংদীর শিপন চন্দ্র দাস (৩৫) ও মনির আহমেদ (৩০) এবং ফরিদপুরের মো. রাজা মোল্লা (২৬)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ট্রেনের প্রায় ৫০০ টিকেট ছাড়াও ১০টি মোবাইল ফোন, ১০টি সিমকার্ডসহ কালোবাজির বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর আরও জানান, আটকদের মধ্যে দুই ধরনের চক্র রয়েছে। এরমধ্যে একটি চক্র যখন অনলাইনে টিকিট আপলোড হয়, তখন ভুলা এনআইডি ও সিম ব্যবহার করে সেই টিকিটগুলো কেটে নেয়। পরে তারা ফেসবুকের বিভিন্ন পেজে টিকিটের ছবি দিয়ে চড়া দামে সেগুলো বিক্রি করে। এ ক্ষেত্রে বিকাশ, রকেট কিংবা নগদের মাধ্যমে টাকা নিয়ে বিভিন্নজনের কাছে অনলাইনে টিকিটের সফট কপি পাঠিয়ে দিতো চক্রটি।

Advertisement

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, এর বাইরেও একটি চক্র সশরীরে বিভিন্ন স্থানে টিকিট বিক্রি করতো। এরমধ্যে মৌচাক এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের মাধ্যমে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ের চারজনের সঙ্গে যোগসাজশে তারা টিকিট কালোবাজারি করতো। এরপর র‌্যাব-১৩ এর সঙ্গে যোগাযোগ করে আরও দুইজনকে আটক করা হয়। তারা ঠাকুরগাঁওয়ে বসে ভুয়া এনআইডি ও সিমকার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে টিকিট কাটতো। তাদের একটি বড় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে যার মাধ্যমে ভুয়া এনআইডি ও সিমের তথ্য আদান-প্রদান ছাড়াও টিকিটের চাহিদা নিয়ে আলোচনা হতো।

তিনি জানান, র‌্যাব-১৩ এর কাছে বিস্তারিত তথ্য জানার পর র‌্যাব-৩ এর সদস্যরা শুক্রবার ভোরে কমলাপুর-খিলগাঁও রেললাইন এলাকা থেকে মূল হোতা সোহেলকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে বিপুল ট্রেনের টিকিট ছাড়াও টিকিট বিক্রির আলামত, সিমকার্ডসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর জানান, টিকেট বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ বিক্রয়কারী সহযোগীদের মধ্যে কখনো নগদে আবার কখনো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাগ করতো বলে জানা গেছে। প্রতি মাসে জনপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতো চক্রটি। এভাবেই পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন দেশব্যাপী কালোবাজারি করে আসছিল তারা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version