ব্রাজিলের আচরণকে বিব্রতকর বললেন মেসি

আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা ব্রাজিলে এলেন। ৩ দিন থাকলেন, অনুশীলন করলেন। হোটেলে সময় কাটালেন। এরপর ম্যাচ অনুশীলন, ম্যাচের আগে ওয়ার্ম আপ, একাদশ ঘোষণা- সবকিছু হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। তবে বিপত্তি ঘটে খেলা শুরুর মিনিট ছয়েক পরে। যখন মাঠে ব্রাজিল প্রশাসনের অনুপ্রবেশে না খেলেই মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা দল।  

কোয়ারেন্টিন না মানার জন্য অভিযুক্ত ৪ খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে বের করে নিল ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আর তাতেই বাতিলের খাতায় নাম লেখাল সুপার ক্ল্যাসিকো মহারণ। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি খোদ লিওনেল মেসি। মাঠ ছাড়ার সময় স্বাগতিকদের এমন আচরণের সমালোচনা করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। 

৩ দিন অবস্থান করার পর কেন এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল হলো তাই নিয়েই ক্ষোভ মেসির। এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে ৬ বারের ব্যালন জয়ী বলেন, ‘আমরা তিনদিন আগে এসেছি (ব্রাজিলে)। তারা তো তখনই আমাদের বিদায় করে দিতে পারতো। এটা আসলেই খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’

ব্রাজিলিয়ান হেলথ রেগুলেটরি এজেন্সির নির্দেশনা অনুয়ায়ী, ব্রাজিলিয়ান ছাড়া অন্য কেউ ব্রিটেন, উত্তর আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত থেকে ব্রাজিলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই দেশটিতে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

সুপার ক্ল্যাসিকো বাতিল হয়ে যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগির কি হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে এ ক্ষেত্রে ব্রাজিল অন্তত কনমেবলের নিয়মকে নিজেদের পক্ষে পাচ্ছে না। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে না। খেলতে বাধা দেওয়া যাবে না। খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নয়। 

এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট। তবে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে কনমেবল জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি ও কমিশনার এই ম্যাচের রিপোর্ট জমা দেবেন ফিফার শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির কাছে। এরপর কী হবে না হবে সেটা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ফিফাই সিদ্ধান্ত নেবে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে ফিফার ওপর।

এস

Recommended For You

Exit mobile version