Connect with us

বাংলাদেশ

শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকের জন্য মাউশির ৬৩ নির্দেশনা

Published

on

মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের ৬৩টি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক উপপরিচালক, আঞ্চলিক পরিচালকদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা করা, আনন্দময় শিখন পরিবেশ, মাস্ক পরিধান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ম্যানেজিং কমিটি, ও গভর্নিং বডির সহযোগিতা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির জন্য ৫টি নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। সেগুলো হলো- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুকরণে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহযোগিতা, স্বাস্থ্যবিধিতে কোনো বড় পরিবর্তন আসলে তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

প্রতিষ্ঠানপ্রধানের জন্য দেওয়া ১৪টি নির্দেশনা হলো- শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আনন্দময় শিখন পরিবেশ, সবার মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আসন বিন্যাসসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

Advertisement

অভিভাবকদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো- সন্তানকে মাস্ক পরিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা, প্রতিষ্ঠানে সঠিক সময়ে প্রেরণ ও বাসায় আসা নিশ্চিত করা।

শিক্ষকদের ৮টি নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। যাতে রয়েছে, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মোটিভেশন দেওয়া, শিক্ষার্থীদের মনোসামাসিক সহযোগিতা, আনন্দঘন পরিবেশে শ্রেণি পাঠদান, হাঁচি-কাশিতে শিষ্টাচার মেনে চলা।

শিক্ষার্থীদের জন্যও ৮টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, রুটিন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত যাওয়া, দূরত্ব মেনে গমন-প্রবেশ ও ক্লাসে বসা, অকারণে ক্লাস থেকে বের না হওয়াসহ আরও কিছু নির্দেশনা।

এছাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য ছয়টি, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য সাতটি, আঞ্চলিক উপপরিচালকের (মাধ্যমিক) জন্য তিনটি ও আঞ্চলিক পরিচালকদের জন্য চারটি নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মুক্তা মাহমুদ

Advertisement

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত

Published

on

আগামীকাল অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের‌ কারণে এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রোববারের (২৬ মে) পরীক্ষার সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ মে রোববার অনুষ্ঠাতব্য অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত এ পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে। পরীক্ষার অন্যান্য সময় ও তারিখ অপরিবর্তিত থাকবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে-পরে কী কী করবেন আর করবেন না

Published

on

রোববার মধ্যরাতে উপকূল পার করবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, রোববার মধ্যরাতে ভারতের সাগরদ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করবে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আশঙ্কা রয়েছে নানা ধরনের বিপদের। এই সময়ে কী কী করবেন, তা আগেভাগেই জেনে নেয়া দরকার।

প্রথমেই দেখে নিন ঘূর্ণিঝড় আসার আগে কী কী করবেন বা করবেন না। বিশেষ করে বিদ্যুতের বিষয়ে এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বিষয়ে আলাদা করে সতর্ক হতে হবে এই সময়ে। তাছাড়াও আছে অনেক কিছু। রইল তালিকা।

১. বাড়িতে ইলেকট্রিকের জিনিস সাবধানে রাখুন। ঝড় আসার আগেই প্লাগ থেকে যে যে যন্ত্রপাতি খুলে নেওয়া সম্ভব, সেগুলি খুলে ফেলুন। মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ধরনের যন্ত্রপাতি প্লাগের সঙ্গে লাগিয়ে রাখবেন না। তাহলে এগুলির ক্ষতি হতে পারে।

২. মোবাইল ফোন যেমন এই সময়ে চার্জ দেবেন না। তেমনই সেটি ব্যবহারও করবেন না। তাহলে বজ্রপাতে সেটির ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়ি পাকা নয়, এই সময়ে তাঁধের মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা খুব দরকারি।

৩. ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পরেও অনেককক্ষণ বিদ্যুত না থাকতে পারে। তার জন্য আগাম সতর্ক থাকুন। ব্যাটারিচালিত যন্ত্রে চার্জ দিয়ে রাখুন। ইনভার্টার জাতীয় যন্ত্র থাকলে, তাতেও চার্জ দিয়ে রাখুন।

Advertisement

৪. এবার খাবারদাবারের প্রসঙ্গ। ঘূর্ণিঝড় আসার আগে থেকেই খাবার এবং পানি যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করে রাখুন। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু থাকলে, তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে রাখুন। কারণ ঝড় কেটে যাওয়ার কত ক্ষণ পরে খাবারের দোকান পাবেন, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এর পাশাপাশি বাড়িতে দরকারি ওষুধও রেখে দিতে হবে।

৫. ছাদ থেকে উড়ে যেতে পারে, এমন জিনিস রাখবেন না। গাছের টব বা অন্য ভারি জিনিসও ছাদের ভিতর দিকে রাখুন। না হলে সেগুলি নীচে পড়ে কারও বিপদ ঘটাতে পারে।

৬. খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা। বাড়িতে কাচের জানলা আছে? বা কাঠের জানলার ফ্রেমের মধ্যে কাচ লাগানো আছে? তাহলে আগে থেকে তার উপর পিচবোর্ড আটকে দিন। তাহলে কাচ সুরক্ষিত থাকবে।

৭. এবার আসা যাক ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন কী করবেন সেই প্রসঙ্গে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে, এই সময়ে বাড়ি থেকে বেরোতে যাবেন না। এর আগেও ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়ে অনেকেই বিপদ ডেকে এনেছেন। ফলে সেটি এড়িয়ে চলুন। জমা পানিতে পা দেবেন না। তাহলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

৮. ঝড় কেটে যাওয়ার পরে কী করবেন, সেটিও জেনে নিতে হবে। প্রথমেই বলে রাখা দরকার, কোথাও আঘাত পেলে বা কেটে গেলে ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দরকার মতো টিকা নিন। আর প্রাথমিক চিকিৎসা করান।

Advertisement

৯. ঝড় থেমে যাওয়ার পরে এদিক ওদিকে নানা ধরনের নোংরা আবর্জনা জমা হয়, সে সব দ্রুত পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। এগুলি থেকে নানা ধরনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

১০. শেষে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা। ঝড় থেমে যাওয়ার পরে বহু জায়গাতেই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকে। তা থেকে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। এই বিষয়ে সাবধান হন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মোংলা-পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত

Published

on

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি রূপ নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসছে। রোববার(২৬ মে) রাত ১২টা থেকে সকালের মধ্যে এটি আঘাত হানতে পারে। এমতাবস্থায় দেশের মোংলা-পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বায়ান্ন্ টিভিকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা ছয়টার দিকেই ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’–এ পরিণত হয়েছে। এ কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর  বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে ছিল বলেও জানান আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির।

রোববার(২৬ মে) রাত ১২টা থেকে সকালের মধ্যে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল’ নামে এটি আঘাত হানতে পারে। রোববার মধ্যরাত নাগাদ উপকূলীয় এলাকা খুলনা, মংলা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার পর আজ সন্ধ্যা থেকেই ভোলা, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version