Connect with us

বাংলাদেশ

বড় বড় প্রকল্প দুর্নীতির সুযোগ করে দিচ্ছে: পরীকল্পনামন্ত্রী

Published

on

দুর্নীতি একটি ব্যাধি। শিক্ষা ও প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বস্তরের দুর্নীতিকে প্রতিকার করা জরুরি। কিন্তু বড় বড় প্রকল্পগুলো দুর্নীতি, লুটপাট ও অপচয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান।

শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় নর্দান ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হন। 

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। সেখানে বিচারক ছিলেন- উন্নয়নকর্মী ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক রুহুল আমিন, রিয়াদ হোসাইন, দৌলত আক্তার মালা ও আরিফুর রহমান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, সমাজে দুর্নীতি আছে এবং আমরা এটি নিয়ে চিন্তিত। অসহিষ্ণুতা নয় আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি হ্রাস করা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। 

Advertisement

হাইটেক পার্কে যেসব ব্যত্যয় ঘটেছে তা দূরীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উচ্চ শিক্ষার প্রসারে সরকার আন্তরিক এবং সে জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। অটোমেশন বা যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পথ চলা শুরু করেছে। কিন্তু দ্রুত গতির চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে বাংলাদেশ কতখানি যুক্ত হতে পারছে সেটি হচ্ছে আলোচনার বিষয়। 

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মেশিন টু মেশিন যোগাযোগ, বিগ ডাটা, রিয়েল টাইম ডাটা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, আধুনিক রোবটিক্স, ন্যানো টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, থ্রিডি প্রিন্টিং, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ইত্যাদি বিষয় চলে আসে। কিন্তু এগুলির কোনটিতেই এখনো আমরা আশানুরুপ অবস্থান তৈরি করতে পারিনি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হওয়ার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ইন্টারনেট সুবিধা। অথচ ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশ সুদান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডার মতো দেশের চেয়েও পিছিয়ে আছে।

তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট গতিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১৩৫ তম। ইন্টারনেট গতিতে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে আফগানিস্তান ও ভেনেজুয়েলা। তবে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানে অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। চালু হয়েছে ৯৯৯ ও ৩৩৩ এর মতো জরুরী সেবা কার্যক্রম, মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স, অনলাইন মার্কেটিং ইত্যাদি কার্যক্রম। 

‘ছায়া সংসদ থেকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ১০টি সুপারিশ করা হয়। সুপারিশগুলো হলো- মোবাইল কোম্পানিগুলো প্রতি জিবিতে ৩০০ গুন মুনাফা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই সারাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবস্থা করা। প্রথাগত শিক্ষার বাইরে বৃত্তিমূলক ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।’ 

Advertisement

‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে বিভিন্ন সেক্টরের ওপর যে প্রভাব পড়বে তা নিরূপণ করে নিরসনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। শুধুমাত্র পোশাক খাতের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানিমুখী শিল্পসহ অন্যান্য সেক্টরে উৎপাদন বৈচিত্রতা নিশ্চিত করা। সৃজনশীল ও বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার সুযোগ বাড়িয়ে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অধিক হারে গবেষণার সুযোগ প্রদান। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন সমস্যাকে প্রযুক্তি ও বুদ্ধিভিত্তিক উপায়ে সমাধানের গুরুত্ব দিতে হবে’। 

‘প্রযুক্তিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহারের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। হাইটেক পার্কসমূহে যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা। প্রযুক্তিতে দক্ষ ও অদক্ষ মানুষের মধ্যে সমাজে যেন বৈষম্য তৈরি করতে না পারে তা বিবেচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে কর্মসংকোচনের যে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে তা নিরসনে ক্রান্তিকালীন কর্মসূচি গ্রহণ করা।’ 

এস

অপরাধ

সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।

র‌্যাব জানায়,  সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।

প্রাথমিকভাবে র‌্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এসব চক্রের সদস্যরা। গাজীপুরে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট জব্দসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর বটতলা মোড়ের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গি উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন পক্ষিয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. শিবলু (৩৯)। ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৭)।

পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব চক্রের সদস্যরা। জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চক্র অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল নোট জব্দসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের সাথে জড়িত আরও ৩/৪ জনের তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাছা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।

মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version