ময়মনসিংহে চিরকুট লিখে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

’বাবা মা ভাই বোনরা তোমরা আমাকে কমা করে দিও। বাবা তুমি এরা বাড়ির বাচ্চুর ছেরা জহিরুলেরে ক্ষমা করিও না। এ আমার জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়ে চলে গেছে। আমি এত বড় পাপ নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব না। ভালো থেকো বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, বাবা আমার বেঁচে থাকার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু ও আমাকে বেঁচে থাকতে দিল না।' এমনই একটি চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে মীম আক্তার (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের তেলুয়ারী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
 
শনিবার নিহত মীম আক্তারের বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে জহিরুল মিয়ার (১৯) বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মীমের মৃত্যুর পর থেকেই অভিযুক্ত জহিরুল মিয়া পলাতক রয়েছে।
 
মামলার এজাহারে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির টয়লেটের পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মিমের মা নেহেরা আক্তার। পরে তাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে মারা যায় মীম। মীমের বিষপানে আত্মহত্যার রহস্যটি বেরিয়ে আসে একটি চিরকুটের মাধ্যমে।

মীমের বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রেমের সম্পর্কের অবনতির কারণে আমার মেয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। সে চিরকুটে সেটিই লিখে গেছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, এ ঘটনায় একটি  মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত জহিরুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।

মুনিয়া

Recommended For You

Exit mobile version