Connect with us

লাইফস্টাইল

গোলগোল ভূমি যেভাবে ঝড় তুলেছে পুরুষহৃদয়ে…

Published

on

ভূমি পেডনেকর

শুধু বড় পর্দায় নয়, সমাজমাধ্যমেও এখন আলো ছড়াচ্ছেন বলিউড, টলিউডের নায়ক-নায়িকারা। নিজেদের সাজের ছবি দিয়ে দোলা দেন অনুরাগীদের মনে। নিজেদের জীবনের নানা ঘটনার খুঁটিনাটি ভাগও করে নেন কেউ কেউ। একই স্রোতে গা ভাসিয়েছেন বলিতারকা ভূমি পেডনেকর।

ইদানীং ভূমির খোলামেলা সাজপোশাক দুর্বল করছে পুরুষহৃদয়! সম্প্রতি কালো রঙের পোশাক পরে সমাজমাধ্যমে ঝড় তুললেন ‘দম লগাকে হাইসা’ ছবির এ অভিনেত্রী।

তবে এখন ‘দম লগাকে হাইসা’ ছবির অভিনেত্রীকে চেনা দায়। বড় পর্দায় প্রথম যে গোলগোল ভূমিকে দেখেছিলেন দর্শক, এখন আর সেই চেহারার সঙ্গে কোনও মিল নেই। ছিপছিপে শরীর, লাস্যময়ী রূপে এ যেন ভূমির অন্য এক অবতার। ভূমির ওজন ঝরানো নিয়ে বলিপাড়ায় প্রবল চর্চা। কী করে ৩৫ কেজি ওজন কমালেন নায়িকা?

‘দম লগাকে হাইসা’- ছবির জন্য ১৫ কেজি ওজন বাড়াতে হয় ভূমিকে। তখন তার ওজন ছিল ৭০ কেজি। ছবির চরিত্রের জন্য ভালমন্দ খেয়ে ৮৫ কেজি ওজন হয় ভূমির। প্রথম ছবিতে সাফল্যের পর ভূমির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হল ওজন কমানো। কোনও সার্জারি কিংবা কড়া ডায়েট ছাড়াই এক বছরেই প্রায় ৩২ কেজি ওজন ঝরিয়ে অনুরাগীদের চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

খেতে বড়ই ভালবাসেন ভূমি। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট থেকে ঘি, মাখন, ঘোল কিছুই বাদ দেননি অভিনেত্রী। কেবল চিনি খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিয়েছিলে তিনি। আর ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণের উপর রাশ টেনেছিলেন তিনি।

Advertisement

ভূমি বলেন, ওজন কমানোর জন্য তিনি কখনও পুষ্টিবিদের সাহায্য নেননি। খাবারের বিষয়ে মায়ের প্রচুর জ্ঞান আর গুগলের ভরসাতেই ওজন কমেছে তার। ওজন ঝরানোর জন্য ভূমি নিয়মিত ৭ লিটার পানি পান করতেন। সারা দিনে বিভিন্ন ধরনের ‘ডিটক্স ওয়াটার’-এ চুমুক দিতেন তিনি। লেবুর রস, পুদিনা পাতা, শশা কুচি আর পানি দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ‘ডিটক্স ওয়াটার’।

ভূমির ওজন ঝরানোর ডায়েট প্ল্যান:

ভূমি পেডনেকর সকালে খান এক গ্লাস উষ্ণ পানি কিংবা ডিটক্স ওয়াটার। আধ ঘণ্টা পরে মুইশলির সঙ্গে সব রকম বীজ মিশিয়ে স্কিমড দুধ দিয়ে খান। প্রাতরাশে একটা পাউরুটি, দুটি ডিমের সাদা অংশের অমলেট আর এক বাটি ফল খান। খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে জিমে যান এ অভিনেত্রী।

দুপুরে বাড়িতে তৈরি রুটি, সব্জি আর ডাল। সঙ্গে অবশ্যই ঘোল কিংবা টক দই। রান্নায় খুব বেশি তেল পছন্দ করেন না তিনি।

রাতের খাবারে এক বাটি সালাদ, গ্রিলড চিকেন কিংবা টফু কিংবা সব রকম সব্জি ভাজা খান। কোনও কোনও দিন ভাত, রুটিও থাকে তার ডায়েটে। রাত ৮টার মধ্যেই রাতের খাবার খেয়ে নেন ভূমি।

সারা দিনে কখনও খিদে পেলে হয় আপেল, না হয় পেঁপে খান তিনি। মাঝেমধ্যে ড্রাই ফ্রুটস আর গ্রিন টি-ও চলে।

লাইফস্টাইল

ফুরফুরে থাকুন জাপানি টোটকায়

Published

on

দিনের বড় একটা অংশ কর্মজীবীদের অফিসেই কাটাতে হয়। ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের নানা জটিলতা, সহকর্মীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব ইত্যাদি কারণ মনের ওপর চাপ বাড়ায়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় ক্লান্তি আর অবসাদ গ্রাস করে নেয়।

মনে একবার ক্লান্তি জেঁকে বসলে তা আর সহজে যেতে চায় না। অনেকে এই অবসাদ দূর করতে মুঠো মুঠো ওষুধ খান। এতে সাময়িক সমাধান পাওয়া গেলেও ক্ষতি হয় শরীরের। তার চেয়ে বরং মন ফুরফুরে রাখতে পারেন জাপানি কিছু পদ্ধতিতে। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-

মেডিটেশন বা ধ্যান

আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসে চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন। জাপানি সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিকে ‘জাজেন’ বলে। প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যানমগ্ন থাকলে মন আর মস্তিষ্ক দুটোই শান্ত থাকবে। ভালো থাকবে মন।

ইকেবানা

Advertisement

বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা বিশেষ উৎসবের দিন অনেকেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। অন্দরে প্রবেশ করেই যদি এক গোছা ফুলে চোখ পড়ে তাহলে মন ভালো হয়ে যায়। পছন্দের ফুল দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। জাপানিরা একে ‘ইকেবানা’ বলেন।

ওনসেন

মনের গোপনে জমা মেঘ দূর করতে ভরসা রাখুন জাপানি ‘ওনসেন’ পদ্ধতিতে। উষ্ণ পানিতে গোসল করে মন ভালো করার এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় দেশটিতে। হালকা গরম পানি দেহের পেশিগুলোকে শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। এই পদ্ধতি উদ্বেগ দূর করে।

কিনহিন

হাঁটার সময় মন চঞ্চল হতে দেয়া যাবে না। মনকে স্থির রেখে হাঁটতে হবে। জাপানি ভাষায় এই অনুশীলনকে ‘কিনহিন’ বলা হয়। ধীরে ধীরে পথ হাঁটলে মন শান্ত হয়। স্থির থাকে। সুফল পেতে নিয়মিত কাজটি করতে হবে, নয়তো সুফল মিলবে না।

Advertisement

শিনরিন-ইয়োকু

জঙ্গল ভালবাসেন? তাহলে মন খারাপ লাগলে কদিন জঙ্গলে বেড়িয়ে আসুন। বুনো গাছের গন্ধ আর জঙ্গলের আলো-আঁধারিতে মন শান্ত হতে বাধ্য। জাপানি ভাষায় এই টোটকাকে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলা হয়। গবেষকদের মতে,সবুজ গাছপালার মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হয়। অবসাদের কারণ এই হরমোন।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

মশা তাড়াবার ৫টি কৌশল জেনে নিন

একে গরম, তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিং। তার উপর মশার উপদ্রব! মশা তাড়ানো ধূপ কিংবা স্প্রে ব্যবহার করাই যায়। কিন্তু রাসায়নিক দেয়া এই সব জিনিস শরীরের জন্য ভাল নয়। অনেকে আবার ধূপ বা স্প্রে-র গন্ধই সহ্য করতে পারেন না। তাদের দম শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শিশুদের জন্যেও এই ধরনের জিনিস নিরাপদ নয়। তা হলে উপায়? গরমে মশার হাত থেকে রক্ষা পাবেন কী ভাবে?

১. কর্পূর

মশার ধূপের গন্ধে অনেকেরই কষ্ট হয়। তার বদলে ঘরে কর্পূর জ্বালাতে পারেন। কর্পূর জ্বালালে ঘরে তেমন ধোঁয়াও হয় না। যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যেও কর্পূর নিরাপদ।

২. পোশাক

মশাকে বোকা বানাতে পারেন হালকা রঙের, গা-ঢাকা পোশাক পরে। গাঢ় রঙে মশা আকৃষ্ট হয়। শরীরের অনাবৃত অংশে মশা কামড়ায় বেশি। তাই গা ঢাকা পোশাক পরলেই ভাল।

Advertisement

৩. বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা

বাড়ি আশপাশে গাছপালা থাকলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই সময় করে আগাছা ছেঁটে ফেলাই ভাল। চার পাশে কোথাও যেন জল না জমে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জমা জলে মশা বংশ বিস্তার করে। তাই সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।

৪. আলোর সঠিক ব্যবহার

ঘরে সাদা আলো ভাল লাগে না বলে সর্বত্র হলুদ ‘মুড’ লাইট লাগিয়েছেন। কাজ থেকে ফিরে সেই হলুদ আলোতে ভেসে যেতে মন্দ লাগে না। এই হলদে আলো মশাদের বড়ই প্রিয়। তাদের দাপট কমাতে চাইলে সাদা আলো ব্যবহার করাই ভাল।

৫. প্রাকৃতিক উপায়

Advertisement

প্রাকৃতিক বেশ কিছু অয়েল যেমন ইউক্যালিপটাস, নিম, ল্যাভেন্ডার, সিনামন, থাইমের গন্ধে মশা পালিয়ে যায়। গায়ে, পোশাকে কিংবা ঘরের কোণে এই অয়েল ছড়িয়ে রাখতে পারেন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

দিনের যে সময়ে মিষ্টি খেলে শর্করা বাড়বে না

বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে কোন সময়ে কি খাচ্ছেন সেই দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকালে চিনি দেয়া চা, কফি থেকে দুপুরে কাপকেক কিংবা বিকেলে আইসক্রিম— যাই খান না কেন, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ভাল না। তা জেনেও এই ধরনের খাবার খাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে, ক্ষতি এড়াতে চাইলে জানতে হবে মিষ্টি খাওয়ার সঠিক সময়।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি কিংবা মিষ্টিজাতীয় খাবার খালি পেটে একেবারেই খাওয়া যাবে না। খালি পেটে মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে দুম করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে। তাকে কোনও মতেই সামাল দেয়া যাবে না। তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে এই নিয়ম কাজ করবে, এমন নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারের মতো খাবারের সঙ্গে মিষ্টি খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম।

তবে, শুধু যে রসগোল্লা, কেক, পেস্ট্রির মধ্যেই চিনি থাকে, এমন তো নয়। নরম ঠান্ডা পানীয়, প্যাকেটজাত কিংবা প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যেও চিনি থাকে। তাই সারা দিন কী খাচ্ছেন এবং কতটা পরিমাণ খাচ্ছেন, তার উপরেও রক্তে শর্করার ওঠা-নামা অনেকটাই নির্ভর করে। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর যদি মিষ্টি খান, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির আশঙ্কা কম। কারণ, এই সময়ে বিপাকক্রিয়া ভাল থাকে। শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকলে মিষ্টিজাতীয় খাবার তাড়াতাড়ি শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই খুব যদি ইচ্ছে হয়, দিনের বেলাতেই মিষ্টি খেয়ে নিন। রাতে শেষপাতে মিষ্টিমুখ না করাই ভাল। সকালের দিকে মিষ্টি খেলেও খেয়াল রাখবেন যেন, পেট খালি না থাকে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version