Connect with us

দুর্ঘটনা

বিস্ফোরণের কারণ জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

রাজধানীর গুলিস্তানের ভবনে বিস্ফোরণের কারণ জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বুধবার (৮ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এরপর সিদ্ধান্ত নিতে পারবো কেন এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ ইমারতে পরিণত হয়েছে। এখানে মূল দায়িত্ব পালন করছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সহায়তা করছে পুলিশ ও র‌্যাব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র না নিয়ে কিংবা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে কেউ যেন এ ধরনের ভবন নির্মাণ না করেন। সবকিছু মেনে ভবন নির্মাণ করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা কমে যেত।

এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের কাছে সিদ্দিকবাজারের নর্থ-সাউথ রোডে ১৮০/১ হোল্ডিংয়ের সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।

Advertisement

যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার তিনতলা পর্যন্ত পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের কয়েকটি ভবনও।

বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থল থেকে আহতদের হাসপাতালে নেয়ার কাজ করেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজ করেছেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন শতাধিক মানুষ, যাদের মধ্যে ৭০ জনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন, যাদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার ভবনটি থেকে ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

চট্টগ্রাম

পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু

Published

on

কক্সবাজারের রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুরা হলো- দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর (১২) এবং একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আলম বলেন, গেলো রোববার রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার পাহাড়ি ছড়ায় গর্তে জমে থাকা পানিতে স্থানীয় ৬ থেকে ৭ জন শিশু মিলে গোসলে করতে নামে।

তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে ৪ জন শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ৪ জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা আবু তাহের দেওয়ান জানান, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। শিশুদের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যান চালকসহ নিহত ২

Published

on

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালকসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতি (৪৫) ও অপরজনের নাম জানা যায়নি। তার বয়স ৫০।

রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাত পৌনে ২টার দিকে মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি পিকআপ ভ্যান ইউ টার্ন নিচ্ছিল। তখন তুহিন পরিবহনের একটি বাস পিকআপে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমরেমুচরে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়।

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা পিকআপ ভ্যানের ভিতর থেকে মুমূর্ষু ওই দুইজনকে বের করে রাস্তায় রেখেছে। তখন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সুন্দরবনের আগুন

Published

on

২৪ ঘণ্টার বেশি পার হলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি সুন্দরবনের আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে দুপুর ১২ টা থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ফায়ার সার্ভিসের সাথে যুক্ত হয়  যুক্ত হয়।

রোববার (৫ মে) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের উৎস থেকে পানির উৎস স্থানভেদে ২.৫ কি.মি. এছাড়া চলাচলের রাস্তা দুর্গম এবং ফায়ার পাম্প রাখার জায়গা না থাকাসহ বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আগুন নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।

মো. শাজাহান জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে ৬টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন সংলগ্ন খাল থেকে পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে পাম্প বসানোর মতো কোনো জায়গা না থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য অগ্নিদুর্ঘটনার জায়গা পানি দিয়ে সংকুচিত করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার।

এদিকে সুন্দরবন রক্ষায় বিমান বাহিনীর একটি এমআই ১৭১ এরিয়াল ফায়ার ফাইটিং ক্যাম্পবেল হেলিকপ্টার  ছয়জন এয়ার ক্রু এবং ৭ জন গ্রাউন্ড ক্রুসহ মোট ১৩ জনের একটি টিম নিয়ে আগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়। হেলিকপ্টার থেকে ৪ ঘণ্টায় ফায়ার বাকেট অপারেশন করে ৪০ হাজার লিটার পানি নিক্ষেপের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হয়।

প্রসঙ্গত,  জেলা প্রশাসন নিরাপত্তাজনিত কারণে রাতে আগুন নেভানোর কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে আবারও অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version