Connect with us

অর্থনীতি

রমজানে ব্যবসায়ীদের সংযমী হওয়ার আহ্বান : বাণিজ্যমন্ত্রী

Published

on

উৎসবের দিনে বিশ্বজুড়ে পণ্যের দাম কমে, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। আপনাদের (ব্যবসায়ী) একটুখানি সংযমী হওয়া দরকার। পবিত্র রমজান মাসে অতিরিক্ত লাভ না করে ব্যবসায়ীদের সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অন্যদিকে ভোক্তারা যেন একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনেন, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রতি জোর দিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, বি‌ভিন্ন দেশে নানা উৎসবে অনেক ছাড়ের ব‌্যবস্থা থাকে। তারা অল্প লাভ করেন। আমাদের দেশে তার উল্টো। সামনে রমজান মাস, আপনারাও একটু সং‌য‌মী হোন। অল্প লাভ ক‌রুন।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশের বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম বেশি। আর এ সংকটে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী অবৈধভাবে পণ্য মজুত করে বাজার আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।

এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থাকতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি।

Advertisement

সঠিক মূল্যে পণ্য বিক্রির বিষয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো রমজানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। পণ্য কেনার পর ভোক্তাকে বিক্রির রসিদ দিতে হবে। রসিদ না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়টি যথাযথভাবে তদারকি করা হবে।’

তিনি বলেন, রমজান মাসের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি পণ্য মজুত রয়েছে। পণ্য সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। ভোক্তারা যদি চাহিদার বেশি পণ্য না কেনেন এবং একবারে এক মাসের পণ্য না কেনেন, তাহলে বাজারে পণ্যের ওপর কোনো চাপ পড়বে না। পাশাপাশি পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

 

 

 

Advertisement

অর্থনীতি

টানা চতুর্থবারের মতো বাড়লো স্বর্ণের দাম

Published

on

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা হয়েছে রোববার (১২ মে) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

শনিবার (১১ মে) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে নতুন করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (১২ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৭৫৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৪ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ হাজার ৯৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৩৮ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৩৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Advertisement

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

বেগুনের কেজি ১২০, মুরগির দাম ৪২০

Published

on

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে লাউ ও ঢ্যাঁড়স ব্যতীত কোনো সবজিই ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। এক কেজি বেগুনের দাম এখন ১০০-১২০ টাকা। মাছ-মাংস, ডিম, সবজি ও মসলাসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম চড়া। দাম বাড়তে থাকলে সবজি কেনা অসাধ্য হয়ে যাবে বলে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানী ও এর আশেপাশের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানতে পারে গণমাধ্যম।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গেলো সপ্তাহে প্রতি কেজি  ৫০ টাকার পটল, আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এছাড়া, বরবটি ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, ঝিঁঙে ৬০ টাকা, এক ফালি মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকা, কচুমুখি ১৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, প্রতি পিস চাল কুমড়া ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ১২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা ও প্রতি পিস বাঁধা কপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে।

রায়ের বাজারের সবজি বিক্রেতা রমিজ মিয়া জানান, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহে কৃষকের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাহিদার তুলনায় কৃষক তেমন সবজি উৎপাদন করতে না পারায় ঢাকায় সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে সবজির দাম বেড়েছে।

Advertisement

সবজি ক্রেতা রহমতুল্লাহ জানান, সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে, কিনে খাওয়াই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেবল লাউয়ের দাম কিছুটা কম। তাছাড়া, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেগুন না কি মানুষ খায় না, অথচ সেই বেগুনও ১০০-১২০ টাকা কেজি। যারা নিম্নআয়ের মানুষ,তাঁরা এমন চলতে থাকলে কোনো সবজিই আর কিনে খেতে পারবে না।

স্বস্তি নেই মাছের বাজারে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বড় সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২০০০ টাকা এবং ছোট ৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মালিবাগ মাছ বাজারে বিক্রেতা তুহিন বলেন, এক মাস আগের চেয়ে প্রতিটি মাছে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়েছে। এতে তাঁদের বেচাকেনা কমেছে। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে গেছে। আরতে মাছ নাই। যা পান, তা চড়া দাম। ক্রেতারা নিচ্ছেন না।

মাংসের স্বাদ পেতেও ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০-৪২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালী মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ৮০ টাকা।

Advertisement

এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

প্রসঙ্গত,  নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতাদের দাবি, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

সংসদে বাজেট পেশ ৬ জুন

Published

on

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। এদিন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ‘আগামী ৬ জুন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। সূত্র : বাসস

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version